How many major physiographic regions are there in Bangladesh?
A
3
B
4
C
5
D
6
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ একটি বৃহৎ নদীবিধৌত ব-দ্বীপ, যার ভৌগোলিক গঠন উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে বিস্তৃত। দেশের প্রায় সব এলাকা নদীবিধৌত পলল দ্বারা গঠিত সমভূমি, যা প্রায় ১৮-২২ কিলোমিটার পুরু। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি তার বৈচিত্র্যের উপর ভিত্তি করে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় সৃষ্ট পাহাড়গুলোকে এই নামে পরিচিত।
-
এই যুগের সময়কাল প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে।
-
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জের পাহাড়সমূহ এই যুগের।
-
এ পাহাড়গুলোকে আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলা হয়।
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
-
এগুলোকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল হিসেবে দুইভাগে ভাগ করা যায়।
-
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
-
প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
মাটির রঙ লাল ও ধূসর।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয় যে এই উচ্চভূমিগুলো প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছে।
-
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ব্যতীত দেশের সমগ্র এলাকা সাম্প্রতিককালের পলি দ্বারা গঠিত।
-
এই প্লাবন সমভূমির বয়স ১২,০০০ বছরের কম।
-
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা সহ অসংখ্য উপনদী এবং শাখানদী সমগ্র দেশে ছড়িয়ে রয়েছে।
-
বন্যার সঙ্গে বাহিত পলিমাটি জমে এই সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
-
আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
-
অঞ্চলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও নিম্নভূমি, যা স্থানীয়ভাবে বিল, ঝিল ও হাওড় নামে পরিচিত।
-
উল্লেখযোগ্য বিল ও হাওড়: রাজশাহীর চলনবিল, ঢাকার আড়িয়াল বিল, গোপালগঞ্জের বিল, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার হাওড় ও বিল।
-
মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত প্রধান দ্বীপগুলো: হাতিয়া, সন্দ্বীপ, শাহবাজপুর ও ভোলা। এছাড়া দক্ষিণ উপকূলে আরও ছোট দ্বীপ রয়েছে।
-

0
Updated: 3 days ago
দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 week ago
A
ওয়ারেন হেস্টিংস
B
লর্ড বেন্টিংক
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড ডালহৌসি
দ্বৈত শাসন ছিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় প্রবর্তিত এক বিশেষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা কোম্পানি ও নবাবের মধ্যে ক্ষমতা বিভাজনের কারণে প্রশাসনিক জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।
-
রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন।
-
তিনি দেওয়ানি সনদের মাধ্যমে বাংলার সম্পদ লুণ্ঠনের একচেটিয়া ক্ষমতা লাভ করেন।
-
দিল্লি কর্তৃক কোম্পানিকে এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের ফলে সৃষ্টি হয় দ্বৈত শাসন।
-
এর ফলে কোম্পানি লাভ করে দায়িত্বহীন ক্ষমতা, আর নবাব পরিণত হন ক্ষমতাহীন শাসক।
-
নবাবের দায়িত্ব শুধু ষোলআনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
-
বাংলায় এর ফলে এক অভূতপূর্ব প্রশাসনিক জটিলতা এবং সারাদেশে সীমাহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটান।

0
Updated: 1 week ago
সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন গঠিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৩৭ অনুচ্ছেদ
B
১৩৮ অনুচ্ছেদ
C
১১১ অনুচ্ছেদ
D
১৩৯ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC) সংবিধানের একটি সাংবিধানিক সংস্থা, যা সরকারি চাকরি ও পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রতিষ্ঠা: সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।
-
উদ্দেশ্য: সরকারি চাকুরি ও পদে নিয়োগ প্রদান, পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
-
নিয়োগ: রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন।
-
শপথ: প্রধান বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসমূহ:
-
১৩৭ নং – সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠা
-
১৩৮ নং – সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য নিয়োগ
-
১৩৯ নং – সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্যপদের মেয়াদ
-
১৪০ নং – সরকারি কর্ম কমিশনের দায়িত্ব
-
১৪১ নং – বার্ষিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া
অতিরিক্ত তথ্য:
-
১১১ নং অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত – সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা।

0
Updated: 1 week ago
আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপত্তি হওয়া ঝড়গুলোকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
Created: 3 days ago
A
টর্নেডো
B
টাইফুন
C
সাইক্লোন
D
হারিকেন
ঘূর্ণিঝড় হারিকেন হলো একটি শক্তিশালী উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড়, যা সাধারণত আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপত্তি হয়। এটি ব্যাপক বৃষ্টি, প্রবল বাতাস এবং বন্যার সৃষ্টি করতে পারে, এবং প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে আঘাত হানতে দেখা যায়।
• হারিকেন মূলত আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপন্ন ঝড়।
• এটি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে আঘাত করে।
• হারিকেনের বাতাস সাধারণত প্রতি ঘন্টায় ১১৯ কিলোমিটার (৭৪ মাইল প্রতি ঘন্টা) বেগে প্রবাহিত হয়।
• হারিকেন থেকে ভারী বৃষ্টি এবং বন্যা ঘটতে পারে, যা ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।

0
Updated: 3 days ago