বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা প্রবর্তন করা হয় কোন সালে?
A
১৭০০ সালে
B
১৭৭২ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৯৩ সালে
উত্তরের বিবরণ
• চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
- ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
- ঐদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করে যে বন্দোবস্ত করা হয় তা-ই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকরা জমির উপর তাদের মালিকানা হারায়।
- ১৯৫০ সালের ‘পূর্ববঙ্গ জমিদার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে’র ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার বিলুপ্তি হয়।
তাছাড়া,
- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর প্রকৃতপক্ষে ইংরেজরাই বাংলার সত্যিকার শাসকরূপে আত্মপ্রকাশ করে।
- ক্লাইব প্রবর্তিত দ্বৈতশাসন ১৭৬৫ থেকে ১৭৭২ সাল পযর্ন্ত বিস্তৃত ছিল।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
কার নেতৃত্বে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
রুদ্র
B
মহীপাল
C
দিব্যক
D
হর্ষ
কৈবর্ত বিদ্রোহ
-
নেতৃত্বে: দিব্যক (দিব্য)
-
অন্য নাম: বরেন্দ্র বিদ্রোহ
-
ঘটনার সময়: প্রায় ১০৭৫–১০৮০ খ্রিষ্টাব্দ
-
সময়কালীন পাল রাজা: দ্বিতীয় মহীপাল
বিদ্রোহের কারণ ও সূত্রপাত
-
দিব্য প্রথমে পালদের একজন রাজকর্মচারী বা সামন্ত ছিলেন।
-
তিনি জেলে সম্প্রদায় (কৈবর্ত) থেকে শক্তিশালী বাহিনী গঠন করেন।
-
উদ্দেশ্য: বরেন্দ্র অঞ্চলে নিজেদের স্বতন্ত্র সার্বভৌমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
ফলাফল
-
কৈবর্তরা স্বল্প সময়ের জন্য বরেন্দ্র ভূমিতে রাজত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
১০৮২ খ্রিষ্টাব্দে:
-
মহীপালের ভাই রামপাল
-
সামন্তদের সাহায্য নিয়ে
-
কৈবর্ত শাসক ভীমকে পরাজিত ও হত্যা করেন
-
বরেন্দ্র অঞ্চলে পাল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
পাল শাসকদের সমসাময়িক সমতট অঞ্চলে (কুমিল্লা ও বিক্রমপুর)
-
স্বাধীনভাবে শাসনকারী রাজবংশ: খড়গ, দেব, চন্দ্র, বর্ম
-

0
Updated: 4 weeks ago
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন-
Created: 4 months ago
A
উ থান্ট
B
ট্রিগভেলি
C
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
D
কুট ওয়াল্ডহেইম
• জাতিসংঘের মহাসচিবগণ:
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব:
- নরওয়ের ট্রিগভেলাই।
- তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ থেকে নভেম্বর ১৯৫২ মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
- দ্বিতীয় মহাসচিব ছিলেন — দ্যাগ হ্যামারশোল্ড। তিনি সুইডেনের অধিবাসী ছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আফ্রিকার জাম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৬১ সালে তিনি মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
- তৃতীয় মহাসচিব — মিয়ানমারের উ থান্ট। তিনি ছিলেন জাতিসংঘের তৃতীয় মহাসচিব। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব পদে ছিলেন।
- চতুর্থ মহাসচিব — অস্ট্রিয়ার কুর্ট ওয়ার্ল্ডহেইম (তার সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে)।
- পঞ্চম মহাসচিব — পেরুর জাভিয়ার পেরেজ দ্য কুয়েলার (প্রথম আমেরিকান)। ষষ্ঠ মহাসচিব মিশরের ড. বুট্রোস ঘালি (প্রথম আফ্রিকান)।
- সপ্তম মহাসচিব — ঘানা'র কফি আনান (২০০১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী)।
- অষ্টম মহাসচিব — দক্ষিণ কোরিয়ার বান কি মুন।
- নবম ও বর্তমান মহাসচিব — পর্তুগালের অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
----------------------
• জাতিসংঘ সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- নামকরণ করেন — রুজভেল্ট।
- সনদ স্বাক্ষরিত হয় — ২৬ জুন, ১৯৪৫ সালে (সানফ্রানসিস্কো শহরে)।
- জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয় — ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে।
- প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল — ৫১ টি।
- জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর না করেও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয় — পোল্যান্ড (৫১ তম দেশ)।
- সদর দপ্তর — নিউইর্য়ক, যুক্তরাষ্ট্র।
- ইউরোপীয় সদর দপ্তর — জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
- জাতিসংঘের মহাসচিব — ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
- জাতিসংঘের দুইজন মহাসচিব নোবেল পুরস্কার পান।
- নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত মহাসচিবরা হলেন — দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (১৯৬১) ও কফি আনান (২০০১)।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোন ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়?
Created: 4 months ago
A
শামীম সিকদার
B
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ
C
হামিদুজ্জামান খান
D
আবদুস সুলতান
• ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের হামিদুজ্জামান খান ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
---------------------
• হামিদুজ্জামান খান:
- একজন বাংলাদেশী ভাস্কর।
- তিনি ১৯৮১ সালে বঙ্গভবনে 'পাখি পরিবার',
- ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমিতে 'মুক্তিযোদ্ধা',
- ১৯৮৮ সালে আশুগঞ্জ জিয়া সারকারখানায় 'জাগ্রত বাংলা'এবং
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে 'স্টেপস' (সিঁড়ি) নির্মাণ করেন- হামিদুজ্জামান খান।
- "His piece titled ‘Steps’ has found a permanent place in the Seoul Olympic Park in Korea."
• অলিম্পিকে বাংলাদেশ:
- ১৯৮০ সালেই মস্কো অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
- কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমস বয়কট করে।
- ১৯৮৪ সালে লস্ অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসে মার্চ পাস্টে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাঠে নামে।
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা অংশ নেন।
- এরপর নিয়মিত অলিম্পিক গেমসে লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে।
- এখন পর্যন্ত কোনো আসরেই পদক জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
উৎস: Bengal Foundation, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯।

0
Updated: 4 months ago