"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।" সম্পর্কে কোনটি ভুল?
A
পঙ্ক্তিটির রচয়িতা চর্যাপদে ২টি পদ রচনা করেছেন।
B
পঙ্ক্তিটির রচয়িতা: লুইপা।
C
কোনোটিই নয়
D
এটি চর্যাপদের প্রথম পদ।
উত্তরের বিবরণ
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল" পঙ্ক্তিটি চর্যাপদের প্রথম পদ এবং এর রচয়িতা লুইপা। এটি প্রাচীন যুগের রচনা, যার অর্থ হলো দেহ গাছের মতো, যার পাঁচটি ডাল।
পদটি হলো:
-
কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।
-
দিঢ় করিঅ মহাসুহ পরিমাণ লূই ভণই গুরু পূছিহ জাণ।।
লুইপা সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি প্রবীণ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদের কবি ছিলেন।
-
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র অনুমান অনুযায়ী, লুইপা ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
চর্যাপদে তিনি দুটি পদ রচনা করেছেন, যা হলো ১ ও ২৯ নং পদ।
-
"চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল" পদটিও তার রচনা।

0
Updated: 3 days ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য সংকলন কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
C
সেক শুভোদয়া
D
মঙ্গলকাব্য
চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন এবং গানের সংকলন। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে এই গ্রন্থ আবিষ্কার করেন। চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু উঠে এসেছে। চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র, এবং ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতী অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 3 weeks ago
আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
মাত্রাবৃত্ত
B
স্বরবৃত্ত
C
ছন্দহীন
D
অক্ষরবৃত্ত
চর্যাপদ
-
ভাষা: চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কোথাও স্পষ্ট, কোথাও অস্পষ্ট। একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষাও বলা হয়।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মন্তব্য:
"আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।"
-
ছন্দ: চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত কি না তা বলা সম্ভব নয়; আধুনিক ছন্দ অনুযায়ী এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের ধর্মমত নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদের প্রধান আলোচকগণ:
-
১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কারের পর অনেক পণ্ডিত চর্যাপদ ও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন।
-
বিজয়চন্দ্র মজুমদার – ১৯২০ সালে চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী – চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯৩৮ সালে প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ – ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন এবং ১৯৪২ সালে চর্যাপদের সঠিক পাঠ নির্ণয় করে আলোচনার পথ সহজ করেন।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত – ১৯৪৬ সালে চর্যাগীতির অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago