'চার ইয়ারী কথা' কোন ধরনের রচনা?
A
কাব্যগ্রন্থ
B
গল্পগ্রন্থ
C
প্রবন্ধ
D
উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
'চার ইয়ারী কথা' প্রমথ চৌধুরীর লেখা একটি গল্পগ্রন্থ যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। গল্পগ্রন্থে চার বন্ধুর প্রেমকাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যেখানে নায়িকারা সবাই ইউরোপীয়। গল্পের নায়িকাদের চরিত্রে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়; প্রথম নায়িকা উন্মাদ, দ্বিতীয় চোর, তৃতীয় প্রতারক এবং চতুর্থ নায়িকা মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। বইটিতে ভাষার চাতুর্য, পরিহাসপ্রিয়তা এবং সূক্ষ্ম ব্যঙ্গের মাধ্যমে ভাবালু প্রেমকাহিনীকে প্রতিবাদী রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এটি প্রমথ চৌধুরীর গল্পগ্রন্থ।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৯১৬ সালে।
-
গল্পে চার বন্ধুর প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
-
নায়িকারা সবাই ইউরোপীয়।
-
প্রথম নায়িকা: উন্মাদ, দ্বিতীয় নায়িকা: চোর, তৃতীয় নায়িকা: প্রতারক, চতুর্থ নায়িকা: মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ।
-
ভাষার চাতুর্য, পরিহাসপ্রিয়তা এবং সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর অন্যান্য গল্পগ্রন্থ:
-
আহুতি
-
নীললোহিত
-
গল্প সংগ্রহ

0
Updated: 3 days ago
'জয়গুন' কোন রচনার চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
সারেং বৌ
B
পদ্মার পলিদ্বীপ
C
সূর্য-দীঘল বাড়ী
D
পুতুল নাচের ইতিকথা
‘জয়গুন’ হলো ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসের একটি চরিত্র।
‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ উপন্যাস:
-
রচয়িতা: আবু ইসহাকের প্রথম উপন্যাস
-
প্রকাশকাল: ১৯৫৫
-
বিষয়: বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের বিশ্বস্ত দলিল
অন্যান্য চরিত্র:
-
হাসু
-
মায়মুনা
-
শফি
-
ডা. রমেশ চক্রবর্তী
‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ উপন্যাসের চরিত্র:
-
ফজল
-
এরফান মাতব্বর
-
আরশেদ মোল্লা
-
জঙ্গুরুল্লা
-
জরিনা
-
রুপজান
‘সারেং বৌ’ উপন্যাসের চরিত্র:
-
কদম সারেং
-
নবীতুন
‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
শশী
-
কুসুম
-
গোপাল
-
সেনদিদি
-
যাদব পণ্ডিত
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'মিলির হাতে স্টেনগান'- গল্পটি কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
B
শহীদুল জহির
C
শওকত ওসমান
D
শওকত আলী
‘দুধভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থ
-
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত একটি বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ হলো ‘দুধভাতে উৎপাত’।
-
বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে।
-
এই গ্রন্থের ‘মিলির হাতে স্টেনগান’ গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত।
-
এতে মোট চারটি গল্প রয়েছে—
১. মিলির হাতে স্টেনগান
২. দুধভাতে উৎপাত
৩. পায়ের নিচে জল
৪. দখল
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩–১৯৯৭)
-
জন্ম: ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার গোহাটি গ্রামে (মাতুলালয়)।
-
পূর্ণনাম: আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস।
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক।
-
জীবদ্দশায় তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং প্রগতিশীল ও মানবতাবাদী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতেন।
-
তাঁর রচনায় সমাজবাস্তবতা ও সময়চেতনা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে।
-
পুরস্কারসমূহ:
-
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮২)
-
সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার (১৯৯৫, খোয়াবনামা উপন্যাসের জন্য)
-
আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬, কলকাতা)
-
-
মৃত্যু: ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি, ঢাকা।
তাঁর রচনা
উপন্যাস:
-
চিলেকোঠার সেপাই
-
খোয়াবনামা
গল্পগ্রন্থ:
-
অন্য ঘরে অন্য স্বর
-
খোঁয়ারি
-
দুধভাতে উৎপাত
-
দোজখের ওম
উৎস:বাংলা ভাষা ও জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, দুধভাতে উৎপাত (গল্পগ্রন্থ), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কবর
B
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
C
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
D
ওরা কদম আলী
'কবর' নাটক ও এর পটভূমি
-
লেখক: অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী।
-
পটভূমি: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এটি ভাষা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে লেখা প্রথম নাটক।
-
লেখার প্রেক্ষাপট: ১৯৫৩ সালে জেলে থাকা অবস্থায় বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চৌধুরীকে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য একটি নাটক লেখার অনুরোধ করেন। এই অনুরোধের ভিত্তিতে মুনীর চৌধুরী নাটকটি রচনা করেন।
-
প্রকাশ ও মঞ্চায়ন: নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয় ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের মাধ্যমে। পরে ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
'কবর' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী
-
নাটকটি মূলত মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw-এর 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের প্রভাবিত হয়ে রচিত।
-
নাটকের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের একটি মিছিলে পুলিশ গুলি চালায় এবং শহরে কারফিউ জারি করে লাশগুলো রাতের আঁধারে কবরস্থানে নিয়ে যায়।
-
পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং একজন নেতা (নাটকে নাম উল্লেখ নেই) লাশগুলো একত্রে মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু গোর-খোদক বাধা দেয়।
-
কবরস্থানে থাকা স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়, লাশগুলো আন্দোলনকারীর, তাই এভাবে কবরস্থ করা যাবে না।
-
অবশেষে লাশগুলো উঠে দাঁড়ায় এবং ঘোষণা করে তারা কবরে যাবে না। এতে ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যান।
সমকালীন অন্যান্য নাটক
-
'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' – সৈয়দ শামসুল হক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য।
-
'জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন' – সেলিম আল দীন, ১৯৭২ সালে ডাকসু মঞ্চস্থ ও নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত।
-
'ওরা কদম আলী' – মামুনুর রশীদ, ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জীবনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ চেতনা তুলে ধরেছে।
মুনীর চৌধুরীর জীবন ও সাহিত্য
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক এবং বাগ্মী।
-
শিক্ষাজীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নাট্যকর্ম
মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটক:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago