'ছ্যাঁক-ছ্যাঁক' কোন ধরনের শব্দ দ্বিত্ব?
A
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
B
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
C
অনুকার দ্বিত্ব
D
যৌগিক দ্বিত্ব
উত্তরের বিবরণ
যে শব্দের মাধ্যমে কোনো কিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক শব্দধ্বনির অনুকৃতি প্রকাশ পায়, তাকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়। এই ধরনের শব্দ সাধারণত প্রকৃতির শব্দ, প্রাণীর আওয়াজ, কিংবা মানুষের অনুভূতির প্রকাশ অনুকরণ করে। ধ্বন্যাত্মক শব্দে প্রায়ই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি বা প্রলম্বন ঘটে, যা শব্দটির তীব্রতা, ধারাবাহিকতা বা বহুত্বের ধারণা প্রদান করে। বক্তার আবেগ বা প্রকাশ-প্রবণতার ওপর নির্ভর করে এগুলোর পুনরাবৃত্তি একাধিকবারও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ—
-
সাঁ করে তিরটা ছুটে গেল।
-
সাঁ সাঁ করে তিরগুলো ছুটে গেল।
-
সাঁ সাঁ সাঁ সাঁ করে তির ছুটে যাচ্ছে।
উপরের বাক্যগুলোতে “সাঁ” ধ্বনি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তিরের গতি ও তীব্রতার ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
ধ্বন্যাত্মক একক শব্দের দ্বিত্বের উদাহরণ:
ইস্-ইস্, উহ্-উহ্, কুট কুট, কোঁৎ কোঁৎ, কুটুস-কুটুস, খুটখুট, খুটুর-খুটুর, ঘেউ-ঘেউ, ছি-ছি, ছ্যা-ছ্যা, ছ্যাঁক-ছ্যাঁক, ঠুকঠুক, ঠকর-ঠকর, ডুগডুগ, দুমদুম, দুপদুপ, ধূপধুপ, ধুপুর-ধুপুর, ফোঁস্-ফোঁস্, ভোঁস্-ভোঁস্, শোঁ-শোঁ, শাঁ-শাঁ, সাঁই-সাঁই, হুশ-হুশ, হুম্-হুম্, হিস্-হিস্।

0
Updated: 3 days ago
১২) 'জ্বলজ্বল' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 1 month ago
A
অনুকার দ্বিত্ব
B
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
C
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
D
পদাত্মক দ্বিত্ব
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
প্রাকৃতিক কোনো ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দ তৈরি হয়, তাকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে বলা হয় ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব।
উদাহরণ:
কুট কুট, খক খক, সাঁই সাঁই, খুটুর খুটুর, টুং টুং, জ্বলজ্বল, ঝমঝম, টসটস, থকথক, শোঁ শোঁ, চকচক, ভটভট, ধুপধুপ, টুপটাপ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
অনুভূতিজাত দ্বিরুক্ত শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ছমছম
B
ঝমঝম
C
টিকটিক
D
ঠিক ঠিক
অনুভূতির দ্বিরুক্ত শব্দ:
“ছমছম” একটি দ্বিরুক্ত শব্দ, যা ভয়ের অনুভূতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
👉 ভয়ে গা ছমছম করছে।
অব্যয়ের দ্বিরুক্তি কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়?
১. ভাব প্রকাশে (গভীর অনুভূতি বোঝাতে)
👉 তার দুঃখ দেখে সবাই “হায় হায়” করছিল।
👉 “ছি ছি”, এটা তুমি কী করলে?
২. পুনরাবৃত্তি বা বারবার ঘটনার বোঝাতে
👉 “বার বার” কামানের গর্জন শোনা গেল।
৩. বিশেষ অনুভূতি বোঝাতে
👉 গায়ে “ছমছম” ভাব হচ্ছে ভয়ে।
👉 ফোঁড়াটা “টন টন” করছে।
-
বিশেষণ বোঝাতে (কোনো কিছুর রূপ বা অবস্থা বোঝাতে)
👉 পিলসুজে বাতি জ্বলছে “মিটি মিটি”। -
ধ্বনির অনুকরণে শব্দ (ধ্বনিব্যঞ্জনা)
👉 “ঝির ঝির” করে হাওয়া বইছে।
👉 বৃষ্টি পড়ে “টাপুর টুপুর” শব্দ করছে।
ধ্বনি অনুকরণে তৈরি কিছু শব্দ
-
ঝমঝম: বৃষ্টির শব্দ
-
চুকচুক: দুধ খাওয়ার সময়ের শব্দ
-
মড়মড়: গাছ ভেঙে পড়ার শব্দ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯)

0
Updated: 2 months ago
কোনটি দ্বিত্ব ব্যঞ্জনের উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
জন্ম > জম্ম
B
কাঁদনা > কান্না
C
সকাল > সক্কাল
D
ক ও খ উভয়ই
বাংলা ভাষায় দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বা হলো এমন প্রক্রিয়া যেখানে শব্দের অন্তর্গত কোনো ব্যঞ্জনের জোর বা প্রাধান্য বৃদ্ধির জন্য তার পুনরাবৃত্তি হয়।
-
উদাহরণ:
-
পাকা → পাক্কা
-
সকাল → সক্কাল
-
অন্যদিকে, সমীভবন হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে কিছুটা সমতা লাভ করে।
-
উদাহরণ:
-
জন্ম → জম্ম
-
কাঁদনা → কান্না
-
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago