একচোখা' কোন সমাস?
A
কর্মধারয় সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
উত্তরের বিবরণ
বহুব্রীহি সমাস এমন এক বিশেষ ধরনের সমাস, যেখানে সমস্যমান পদগুলির কোনোটিই নিজস্ব অর্থে ব্যবহৃত হয় না; বরং তারা মিলিত হয়ে অন্য কোনো পদ বা অর্থকে নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘বহুব্রীহি’ শব্দটির আদি অর্থ হলো “যার অনেক ধান আছে”, অর্থাৎ বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি। এখানে “বহু” ও “ব্রীহি” শব্দ দুটি মিলে এমন এক ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে যার অনেক ধান আছে—নিজেদের অর্থ নয়, বরং অন্য বস্তুকে প্রকাশ করছে।
প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি হলো সেই ধরনের বহুব্রীহি সমাস যেখানে সমাসে যুক্ত শব্দগুলোর শেষে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয়। এতে গঠিত নতুন শব্দ সাধারণত কোনো বৈশিষ্ট্য বা গুণ প্রকাশ করে।
যেমন—
-
এক দিকে চোখ যার = একচোখা (চোখ + আ)
-
ঘরের দিকে মুখ যার = ঘরমুখো (মুখ + ও)
-
নিঃ (নেই) খরচ যার = নি-খরচে (খরচ + এ)
এছাড়াও এই শ্রেণিতে পড়া আরও কিছু শব্দ হলো: দোটানা, দোমনা, একগুঁয়ে, অকেজো, একঘরে, দোনলা, দোতলা, ঊনপাঁজুরে ইত্যাদি।

0
Updated: 3 days ago
সমাস সাধিত অশুদ্ধি ঘটেছে কোন শব্দে?
Created: 2 weeks ago
A
মহিমমণ্ডিত
B
রাজগণ
C
সুবুদ্ধি
D
যুবরাজা
বাংলা ভাষায় সমাস সাধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় অশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার হয়ে যায়, যা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দ বাংলায় প্রথমবার একবচনে ধনী, গুণী, মানী, পাপী ইত্যাদি রূপ নেয়। কিন্তু নিঃ-উপসর্গ যোগ হয়ে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকে না। তখন ধন, গুণ, মান, পাপ ইত্যাদি শব্দ সমানভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
নেই ধন যার = নির্ধন
-
নেই গুণ যার = নির্গুণ
-
নেই পাপ যার = নিষ্পাপ
অতএব, নির্ধনী, নির্গুণী, নিষ্পাপী ইত্যাদি অশুদ্ধ রূপ।
কিছু সমাস সাধিত অশুদ্ধ ও শুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ নিচে দেওয়া হলো—
-
অশুদ্ধ: পিতাহারা → শুদ্ধ: পিতৃহারা
-
অশুদ্ধ: যুবরাজা → শুদ্ধ: যুবরাজ
-
অশুদ্ধ: মহিমামণ্ডিত → শুদ্ধ: মহিমমণ্ডিত
-
অশুদ্ধ: রাজাগণ → শুদ্ধ: রাজগণ
-
অশুদ্ধ: মাতাজাতি → শুদ্ধ: মাতৃজাতি
-
অশুদ্ধ: সুবুদ্ধিমান → শুদ্ধ: সুবুদ্ধি
-
অশুদ্ধ: নির্দোষী → শুদ্ধ: নির্দোষ
-
অশুদ্ধ: অর্ধরাত্রি → শুদ্ধ: অর্ধরাত্র
-
অশুদ্ধ: নিরভিমানী → শুদ্ধ: নিরভিমান
-
অশুদ্ধ: দিবারাত্রি → শুদ্ধ: দিবারাত্র
-
অশুদ্ধ: নীরোগী → শুদ্ধ: নীরোগ
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
“তেপান্তর’ কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
অব্যয়ীভাব
B
দ্বিগু
C
নিত্য সমাস
D
বহুবীহি
সমাহার বা সমষ্টি বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষ্য পদ হয়। তবে অনেক ব্যাকরণবিদ দ্বিগু সমাসকে কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
ত্রিকাল (তিন কালের সমাহার), চৌরাস্তা (চৌরাস্তার সমাহার), তেমাথা (তিন মাথার সমাহার), শতাব্দী (শত অব্দের সমাহার), পঞ্চবটী (পঞ্চবটের সমাহার), ত্রিপদী (ত্রি বা তিন পদের সমাহার), ত্রিফলা (ত্রি বা তিন ফলের সমাহার), নবরত্ন (নব বা নয় রত্নের সমাহার), তেপান্তর (তিন বা তে প্রান্তরের সমাহার)

0
Updated: 1 month ago
'সতীর্থ' কোন সমাস?
Created: 1 week ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
অব্যয়ীভাব সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
বহুব্রীহি সমাস হলো সেই সমাস যেখানে পূর্ব বা পর কোন পদের সরাসরি অর্থ বোঝানো হয় না, বরং একটি তৃতীয় অর্থ প্রকাশ পায়।
-
উদাহরণ:
-
দশ আনন যার = দশানন
-
চার পা বিশিষ্ট প্রাণী = চতুষ্পদ
-
পদ্ম নাভিতে যার = পদ্মনাভ
-
সমান তীর্থ যাদের = সতীর্থ
-
সমান উদর যার = সহোদর
-

0
Updated: 1 week ago