নিচের কোনটি জলবায়ুর নিয়ামক নয়?
A
সমুদ্রস্রোত
B
জলোচ্ছ্বাস
C
অক্ষাংশ
D
বায়ুপ্রবাহ
উত্তরের বিবরণ
জলবায়ু হলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানের সুদীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার গড় বা সামগ্রিক অবস্থা, সাধারণত ৩০–৩৫ বছরের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নির্ণীত। এটি বৃহৎ এলাকায় প্রযোজ্য হয় এবং দৈনিক আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি পরিবর্তিত হয় না।
• জলবায়ুর সংজ্ঞা: কোনো স্থানের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার গড় বা সামগ্রিক অবস্থা।
• এটি সাধারণত বৃহৎ এলাকা জুড়ে নির্ণীত হয়।
• জলবায়ুর পরিবর্তন নির্ভর করে আবহাওয়ার পরিবর্তনের উপর, তবে প্রতিদিনের ব্যবধানে কোনো অঞ্চলের জলবায়ু বদলায় না।
জলবায়ুর নিয়ামক:
পৃথিবীর সব অঞ্চলের জলবায়ু একরকম নয়; কোনো অঞ্চল উষ্ণ, কোনো অঞ্চল শীতল; কোনো স্থান বৃষ্টিবহুল, আবার কোনো স্থান বৃষ্টিহীন। এই পার্থক্য বিভিন্ন ভৌগোলিক কারণের কারণে হয়। এই কারণগুলোকে জলবায়ুর নিয়ামক বলা হয়।
• প্রধান জলবায়ুর নিয়ামক:
-
অক্ষাংশ
-
উচ্চতা
-
সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
বায়ুপ্রবাহ
-
বনভূমি
-
সমুদ্রস্রোত
-
পর্বতের অবস্থান
-
ভূমির ঢাল ও মৃত্তিকা
অন্যদিকে, জলোচ্ছ্বাস (Tidal Bore) হলো একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, যা সংকীর্ণ ও অগভীর নদীপথ বা মোহনায় প্রবল জোয়ারের সময় সৃষ্ট প্রাচীরাকৃতির উত্থিত তরঙ্গ হিসেবে দেখা দেয়। এটি নদীর স্রোতের বিপরীতে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে, ফলে জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রাচীরের মতো উঁচু হয়ে ওঠে।

0
Updated: 3 days ago
Which of the following organization was the ancestor of WTO?
Created: 1 month ago
A
UNTWO
B
GATT
C
IBRD
D
UNWTO
WTO (World Trade Organization):
-
পরিচিতি: WTO হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বচ্ছতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা ও স্বাধীন প্রবাহ নিশ্চিত করা।
-
প্রতিষ্ঠা: ১ জানুয়ারি, ১৯৯৫।
-
উৎপত্তি: এটি গঠিত হয় General Agreement on Tariffs and Trade (GATT)-এর ভিত্তিতে, যা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালে এবং কার্যকর হয় ১৯৪৮ সালে।
-
সদস্য সংখ্যা: বর্তমানে ১৬৬টি দেশ এর সদস্য (২০২5 অনুযায়ী)।
-
সদরদপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
মহাপরিচালক (Director General): এনগোজি ওকোনজো ইওয়েলা (নাইজেরিয়া) – তিনি ২০২১ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং প্রথম আফ্রিকান ও প্রথম নারী মহাপরিচালক।
-
বাংলাদেশের সদস্যপদ: বাংলাদেশ ১ জানুয়ারি, ১৯৯৫ সাল থেকে WTO-এর সদস্য।
-
ভাষা: WTO-এর কার্যক্রম পরিচালিত হয় মূলত তিনটি সরকারি ভাষায়— ইংরেজি, ফরাসি এবং স্প্যানিশ।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
WTO এর প্রধান কাজ হলো— আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি করা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা।
-
WTO বাণিজ্য সংক্রান্ত ৬০টিরও বেশি চুক্তি পরিচালনা করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— Agreement on Agriculture (AoA), General Agreement on Trade in Services (GATS), Trade-Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPS)।
-
WTO-এর Ministerial Conference হলো সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ, যা দুই বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 1 month ago
আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপত্তি হওয়া ঝড়গুলোকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
Created: 3 days ago
A
টর্নেডো
B
টাইফুন
C
সাইক্লোন
D
হারিকেন
ঘূর্ণিঝড় হারিকেন হলো একটি শক্তিশালী উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড়, যা সাধারণত আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপত্তি হয়। এটি ব্যাপক বৃষ্টি, প্রবল বাতাস এবং বন্যার সৃষ্টি করতে পারে, এবং প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে আঘাত হানতে দেখা যায়।
• হারিকেন মূলত আটলান্টিক ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপন্ন ঝড়।
• এটি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে আঘাত করে।
• হারিকেনের বাতাস সাধারণত প্রতি ঘন্টায় ১১৯ কিলোমিটার (৭৪ মাইল প্রতি ঘন্টা) বেগে প্রবাহিত হয়।
• হারিকেন থেকে ভারী বৃষ্টি এবং বন্যা ঘটতে পারে, যা ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।

0
Updated: 3 days ago
কোনটি অপরিবাহী পদার্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
তামা
B
রূপা
C
কাচ
D
সিলিকন
অপরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বলা হয়। যেমন: কাচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
অধিকাংশ অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহী পদার্থে আধান প্রদান করলে আধান স্থির অবস্থায় সেই স্থানেই আবদ্ধ থাকে, সঞ্চালিত হয় না।
-
তাই দুটি আহিত বস্তুকে অপরিবাহী দিয়ে যুক্ত করলে আধান এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয় না এবং তড়িৎ প্রবাহ তৈরি করে না।
-
অর্থাৎ অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে।
পরিবাহী
-
যে সকল পদার্থের মাধ্যমে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের পরিবাহী বলা হয়। যেমন: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
প্রায় সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী।
-
পরিবাহী পদার্থে আধান দিলে তা কোনো একটি স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে পুরো পদার্থে ছড়িয়ে পড়ে।
-
দুটি আহিত বস্তুকে পরিবাহীর মাধ্যমে যুক্ত করলে আধান সহজেই এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুর মধ্যে প্রবাহিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।
-
পরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করে না বললেই চলে। তবে তাপ প্রয়োগ করলে পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অর্ধপরিবাহী
-
কিছু পদার্থ যেমন সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদির তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি। এদেরকে অর্ধপরিবাহী বলা হয়।
-
অর্থাৎ, এদের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ সম্ভব, তবে পরিবাহীর তুলনায় কম এবং অপরিবাহীর তুলনায় বেশি।
-
একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো:
-
পরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা কমে যায় (রোধ বেড়ে যায়)।
-
কিন্তু অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় (রোধ কমে যায়)।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago