কোন দেশের উদ্যোগে Climate Vulnerable Forum (CVF) গঠিত হয়?
A
বাংলাদেশ
B
শ্রীলঙ্কা
C
ফিজি
D
মালদ্বীপ
উত্তরের বিবরণ
Climate Vulnerable Forum (CVF) হলো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে একত্রিত করে। এর লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক জলবায়ু নীতি নির্ধারণে এই দেশগুলোর স্বার্থ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
• CVF গঠিত হয় ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনের সময়, মালদ্বীপের উদ্যোগে।
• ফোরামের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৮টি দেশ।
• সংস্থাটির বর্তমান সভাপতি দেশ হলো ঘানা।
• CVF মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা এবং জলবায়ু কর্মসূচিতে সমন্বয় সাধনের জন্য কাজ করে।

0
Updated: 3 days ago
নিচের কোনটি ওজোন স্তরের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ সীমিতকরণ বিষয়ক প্রটোকল?
Created: 3 days ago
A
কিয়েটো প্রটোকল
B
মন্ট্রিল প্রটোকল
C
বাসেল কনভেনশন
D
কার্টাগেনা প্রটোকল
মন্ট্রিল প্রটোকল হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ওজোন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্তকারী রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার সীমিত করা। এটি বৈশ্বিক পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
• গৃহীত হয়: ১৯৮৭ সালে।
• উদ্দেশ্য: ওজোন স্তরের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, বিশেষ করে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) সীমিত করা।
• চুক্তির স্থান: মন্ট্রিল, কানাডা।
• কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জানুয়ারি, ১৯৮৯।
• এই প্রটোকল বাস্তবায়নের ফলে CFC গ্যাসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, বৈশ্বিক পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও প্রটোকল হলো:
-
কিয়েটো প্রটোকল: গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধের লক্ষ্যে।
-
বাসেল কনভেনশন: ক্ষতিকর বর্জ্য চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত।
-
জৈব নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রটোকল: কার্টাগেনা প্রটোকল।

0
Updated: 3 days ago
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য দেশের সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 month ago
A
১০ টি
B
১৫ টি
C
২০ টি
D
২৫ টি
জাতিসংঘ:
- ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ সনদ কার্যকরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ গঠিত হয়।
- এর আগে ১৯৪৫ সালের ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়।
- জাতিসংঘ সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত।
- দাপ্তরিক ভাষা ৬টি।
- এগুলো হচ্ছে ইংরেজি, চীনা, স্প্যানিশ, ফরাসি, রুশ ও আরবি।
- জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। (আগস্ট, ২০২৫)
- তিনি পর্তুগালের নাগরিক।
- জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ৫১টি।
- এর বর্তমান সদস্য ১৯৩টি। (আগস্ট, ২০২৫)
- জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ২টি (ভ্যাটিকান ও ফিলিস্তিন)।
- জাতিসংঘের সর্বশেষ সদস্য দক্ষিণ সুদান।
- ২০১১ সালের ১৪ জুলাই, ১৯৩তম দেশ হিসেবে জাতিসংঘে যোগদান করে।
- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য দেশের সংখ্যা ১৫টি।
- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ০৫টি।
- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০টি।
তথ্যসূত্র - জাতিসংঘ ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
খিলাফত আন্দোলন এর নেতা ছিলেন -
Created: 1 week ago
A
মাওলানা মোহাম্মদ আলী
B
মাওলানা শওকত আলী
C
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
D
বর্ণিত সবাই
খিলাফত আন্দোলন ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত এক গুরুত্বপূর্ণ প্যান-ইসলামি আন্দোলন। এর মূল কারণ ছিল ব্রিটিশদের নীতি অনুযায়ী তুরস্কের সুলতানের খেলাফত দুর্বল ও বিভক্ত করা, যা ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ ও রাজনৈতিক অবস্থানকে জটিল করে তোলে।
-
১৯২০ সালে সেভার্স চুক্তির অধীনে ব্রিটিশ সরকার তুরস্ক তথা অটোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করলে এর বিরুদ্ধে ভারতীয়রা যে আন্দোলন গড়ে তোলে, তা খিলাফত আন্দোলন নামে পরিচিত।
-
এটি ছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে গঠিত একটি প্যান-ইসলামি আন্দোলন।
-
ভারতের মুসলমানেরা তুরস্কের সুলতানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা বা ধর্মীয় নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্কের সুলতান জার্মানির পক্ষ নিলে ভারতীয় মুসলমানেরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন, কারণ ধর্মীয়ভাবে তাঁরা খলিফার অনুগত, অথচ রাজনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শাসনের অধীন থাকতে বাধ্য ছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে জার্মানি পরাজিত হলে, জার্মানির পক্ষ নেওয়ার শাস্তি হিসেবে তুরস্ককে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এবং দুই ভাই মাওলানা শওকত আলী ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

0
Updated: 1 week ago