দেশের প্রথম 'জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ' কোথায় উদ্বোধন করা হয়েছে?
A
রাজশাহী
B
নারায়ণগঞ্জ
C
কুমিল্লা
D
ঢাকা
উত্তরের বিবরণ
দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ অবস্থিত নারায়ণগঞ্জে। এটি নির্মিত হয়েছে ২১ জন শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন। এই স্মৃতিস্তম্ভটি বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলনের স্মরণে গৃহীত প্রথম জাতীয় স্থাপনা হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
-
১৪ জুলাই ২০২৫ সালে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভটির উদ্বোধন করা হয়।
-
উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা—
১. আইন উপদেষ্টা: ড. আসিফ নজরুল
২. শিল্প উপদেষ্টা: আদিলুর রহমান খান
৩. শিক্ষা উপদেষ্টা: অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার
৪. রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা: ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
৫. পরিবেশ উপদেষ্টা: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান -
বৈষম্যের বিরুদ্ধে টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনে, অর্থাৎ ৩৬ জুলাই পর্যন্ত, নারায়ণগঞ্জে ৫৬ জন শহীদ ও ৩৭০ জন আহত হন।
-
নিহতদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা, যাদের নামেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত।
-
শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয় সরকার, যার বাস্তবায়ন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
-
স্থাপত্য নকশায় দেশের জাতীয় সংগ্রামের প্রতীক ও আন্দোলনের চেতনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
-
স্মৃতিস্তম্ভটি এখন নারায়ণগঞ্জবাসীসহ সারাদেশের মানুষের শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
-
এটি শুধু একটি স্মারক নয়, বরং ন্যায়, সমতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য জনগণের ত্যাগের চিরস্থায়ী সাক্ষ্য বহন করছে।

0
Updated: 3 days ago
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান (মুগ্ধ) কত তারিখে শহীদ হন?
Created: 1 week ago
A
১৩ জুলাই ২০২৪
B
১ আগস্ট ২০২৪
C
১৮ জুলাই ২০২৪
D
২৬ জুলাই ২০২৪
মীর মাহফুজুর রহমান (মুগ্ধ) ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের ১৯ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী, যিনি ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন।
-
২০২৩ সালের মার্চে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি খুলনা থেকে ঢাকায় চলে যান।
-
১৮ জুলাই ২০২৪ রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
-
মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আন্দোলনরত শ্রান্ত ও ক্লান্ত শিক্ষার্থী ও জনতাকে বলছিলেন: "ভাই, পানি লাগবে? পানি?"

0
Updated: 1 week ago
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কখন গঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
০৮ আগস্ট ২০২৪
B
১০ আগস্ট ২০২৪
C
১২ আগস্ট ২০২৪
D
০৫ আগস্ট ২০২৪
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পরে ৮ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার:
- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে।
- এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
- প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা: ২৩ জন।
উল্লেখ্য,
- শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পরে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে দেশ পরিচালনার জন্য সাংবিধানিক সরকার কাঠামো দরকার হয়।
- বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ নামে কোন ব্যবস্থার উল্লেখ নেই। তবে কাছাকাছি ধরনের একটি ব্যবস্থার কথা আগে বলা ছিল, যেটি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
- সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে মতামত দেয় সুপ্রিমকোর্ট। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা বলা আছে,"যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে আইনের এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।''
- সর্বোচ্চ আদালত 'সুপ্রিম কোর্ট' সংবিধানের আলোকে এই সরকারের বৈধতা দিয়েছেন।

0
Updated: 2 months ago
কত তারিখে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়?
Created: 3 days ago
A
৪ আগস্ট, ২০২৪
B
৫ আগস্ট, ২০২৪
C
৪ আগস্ট, ২০২৫
D
৫ আগস্ট, ২০২৫
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঐতিহাসিক দলিল, যার মাধ্যমে এই অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে।
এটি দেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের দলিল হিসেবে বিবেচিত।
-
এই ঘোষণাপত্রের উদ্দেশ্য হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে শুধু একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত একটি গণআন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
-
অন্যদিকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের প্রতীকস্বরূপ একটি দলিল।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
-
ঘোষণাপত্রে মোট ২৮টি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
এই ২৮ দফায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, “বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।”

0
Updated: 3 days ago