জাতিসংঘ ও এর সাথে সম্পর্কিত ব্যাক্তিবর্গ মোট কতবার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
৯ বার
B
১০ বার
C
১১ বার
D
১২ বার
উত্তরের বিবরণ
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার, যা শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অসামান্য অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতিসংঘ ও এর সংস্থাসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মোট ১২ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেছে।
প্রাপ্ত নোবেল শান্তি পুরস্কারসমূহ:
-
২০২০ সাল: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (World Food Programme - WFP)
-
২০১৩ সাল: অর্থনৈতিক ও রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (Organisation for the Prohibition of Chemical Weapons - OPCW)
-
২০০৭ সাল: আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (IPCC) এবং অ্যাল গোর জুনিয়র (Al Gore Jr.)
-
২০০৫ সাল: আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) এবং মোহাম্মদ এলবারাদেই (Mohamed ElBaradei)
-
২০০১ সাল: জাতিসংঘ (UN) এবং কফি আনান (Kofi Annan)
-
১৯৮৮ সাল: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী (UN Peacekeeping Forces)
-
১৯৮১ সাল: জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR)
-
১৯৬৯ সাল: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)
-
১৯৬৫ সাল: জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF)
-
১৯৬১ সাল: দ্যাগ হেমারশোল্ড (Dag Hammarskjöld) — জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব
-
১৯৫৪ সাল: UNHCR (দ্বিতীয়বার)
-
১৯৫০ সাল: রালফ বানচ (Ralph Bunche) — জাতিসংঘ কূটনীতিক ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী
এইসব পুরস্কারের মাধ্যমে জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোর বিশ্বশান্তি, মানবাধিকার, দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবিক সহায়তায় অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রতিফলিত হয়।

0
Updated: 10 hours ago
কোনটি জাতিসংঘের বহুমুখী কারিগরি ও প্রাক-বিনিয়োগ সহযোগিতা বাস্তবায়নের সর্ববৃহৎ মাধ্যম?
Created: 4 months ago
A
UNV
B
DTCD
C
UNFPA
D
UNDP
UNDP
-
UNDP-এর পূর্ণরূপ: United Nations Development Programme (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি)।
-
এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি সহায়ক সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা: ২২ নভেম্বর, ১৯৬৫।
-
সদর দপ্তর: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
-
বর্তমান প্রশাসক: আচিম স্টেইনার।
UNDP-এর কার্যক্রম ও ভূমিকা
-
UNDP জাতিসংঘের কারিগরি সহায়তা কার্যক্রমের সাথে জড়িত বিভিন্ন তহবিল ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে।
-
এটি জাতিসংঘের বহুমুখী কারিগরি ও প্রাক-বিনিয়োগ সহযোগিতা বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
-
সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার এবং নতুন সম্পদ আহরণে সহায়তা করে।
-
প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করে।
-
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সমন্বয় সাধনেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) বলতে জাতিসংঘ নির্ধারিত এমন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বোঝানো হয়, যাদের আর্থ-সামাজিক সূচক তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে নিচে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
UNDP জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত।
-
এটি একজন প্রশাসকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, যিনি উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী বোর্ডের তত্ত্বাবধানে থাকেন।
-
মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) রিপোর্ট প্রকাশ করে UNDP।
উৎস: UNDP-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
সনদ সম্মেলনে উপস্থিত না থেকেও জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয় কোন দেশ?
Created: 1 day ago
A
এস্তোনিয়া
B
বেলারুশ
C
পোল্যান্ড
D
পর্তুগাল
জাতিসংঘ (United Nations Organization) হলো বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি জাতিপুঞ্জের (League of Nations) উত্তরসূরী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
-
জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়: ২৬ জুন, ১৯৪৫
-
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়: ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫
-
স্বাক্ষরের স্থান: সানফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ৫১টি
-
বর্তমান সদস্য দেশ সংখ্যা: ১৯৩টি
সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন সংক্রান্ত তথ্য:
-
১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ৫০টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে এবং জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে।
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য পোল্যান্ড এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না।
-
পোল্যান্ড ৫১তম দেশ হিসেবে ১৫ অক্টোবর, ১৯৪৫ তারিখে সনদে স্বাক্ষর করে।
-
সনদে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে পোল্যান্ডকেও জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
১৯৪৭ সালে প্যালেস্টাইনকে বিভাজনের পরিকল্পনা জাতিসংঘের কোন প্রস্তাবের মাধ্যমে গৃহীত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৮০ নং প্রস্তাব
B
১৮১ নং প্রস্তাব
C
১৬০ নং প্রস্তাব
D
১৬১ নং প্রস্তাব
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তাইন বিভাজনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে যা রেজুলেশন ১৮১-এর মাধ্যমে গৃহীত হয়। এই রেজুলেশন অনুযায়ী ফিলিস্তাইনকে দুটি রাষ্ট্রে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়—
একটি ইহুদি রাষ্ট্র (ইসরায়েল) এবং একটি আরব রাষ্ট্র (ফিলিস্তিন)। তবে আরব জনগণ এটি প্রত্যাখ্যান করে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যা পরবর্তীতে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সূচনা করে।
-
জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন ১৮১ (UN Resolution 181):
• "Partition Plan for Palestine" নামে পরিচিত।
• ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব করা হয়।
• গৃহীত হয় ২৯ নভেম্বর, ১৯৪৭। -
ফলাফল:
• ফিলিস্তিনের আরব জনগণ পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করে।
• ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে আরব জনগণের জন্য বড় বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।
• ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়, যা ইসরায়েলি বাহিনী ও আরব দেশগুলির মধ্যে সংঘর্ষে পরিণত হয়।
• প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়ে তাদের পূর্বপুরুষের ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়।
• ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনার পর থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে যা আজও চলমান। -
ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন (PLO) প্রতিষ্ঠা:
• ১৯৬৪ সালে আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনের সময় ফিলিস্তিনিরা একত্র হয়ে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) গঠন করে।
• ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা দখল করে।
• সামরিক নেতা ইয়াসির আরাফাত নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সংগঠন পিএলওতে যুক্ত হয় এবং নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
• বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রতিষ্ঠিত হয়।
• চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার কিছু অংশের ওপর সীমিত কর্তৃত্ব দেওয়া হয়।

0
Updated: 2 weeks ago