Most Favored Nation (MFN)' নীতি কোন সংস্থার সাথে সম্পর্কিত?
A
World Bank
B
WTO
C
IMF
D
United Nation
উত্তরের বিবরণ
মোস্ট-ফেভারড-নেশন (Most-Favored-Nation - MFN) নীতি হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। এই নীতি অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি একটি বাণিজ্যিক অংশীদারকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তবে অন্যান্য সদস্য দেশকেও সেই একই সুবিধা দিতে হবে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়।
-
নীতি অনুসারে: কোনো দেশ তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে বৈষম্য করতে পারবে না। একটি দেশকে যে শুল্ক বা বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হবে, তা অন্যান্য দেশকেও সমানভাবে দিতে হবে।
-
WTO-এর অধীনে: MFN নীতি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্যিক আচরণ নিশ্চিত করে।
-
নীতির লক্ষ্য: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমতা, ন্যায্যতা ও প্রতিযোগিতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
-
বিশেষ সুবিধা না দেওয়া: এ নীতির আওতায় কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আলাদা করে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায় না।
-
চুক্তিভুক্ত পণ্যের সমতা: সদস্য দেশের উৎপাদিত পণ্য ও সামগ্রীকে একই পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়, যা বাণিজ্যিক বৈষম্য হ্রাসে সহায়তা করে।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: প্রথমে এই নীতি GATT (General Agreement on Tariffs and Trade)-এর অধীনে কার্যকর ছিল, পরবর্তীতে এটি WTO (World Trade Organization)-এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

0
Updated: 10 hours ago
European Free Trade Association কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৫২ সালে
B
১৯৬০ সালে
C
১৯৬৬ সালে
D
১৯৪৮ সালে
EFTA হলো ইউরোপের একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য সংস্থা, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে।
-
পূর্ণরূপ: European Free Trade Association
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৬০ সালে
-
সদর দপ্তর (সেক্রেটারিয়েট): জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
অফিস: ব্রাসেলস ও লুক্সেমবার্গে
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৪টি (সেপ্টেম্বর, ২০২৫ অনুযায়ী)
-
সদস্য দেশ: আইসল্যান্ড, লিচেস্টেন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, EFTA সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে, যা বৈশ্বিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 3 weeks ago
জাতিসংঘের কোন সংস্থার উদ্যোগে CIRDAP গঠিত হয়েছে?
Created: 4 months ago
A
ESCAP
B
FAO
C
UNCHR
D
UNEP
CIRDAP
- পূর্ণরূপ: Centre on Integrated Rural Development for Asia and the Pacific.
- একটি আঞ্চলিক, আন্তঃসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত একটি সংস্থা।
- জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) উদ্যোগে (CIRDAP) প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ৬ জুলাই, ১৯৭৯ সালে CIRDAP গঠিত হয়।
- সদর দপ্তর: ঢাকা, বাংলাদেশ।
- সদস্য সংখ্যা: ১৫টি।[ এপ্রিল, ২০২৫]
- সদস্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
উৎস: CIRDAP ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মহাবীর
B
নেমিনাথ
C
ঋষভনাথ
D
পার্শ্বনাথ
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
জৈনধর্ম (Jainism)
-
মূল তথ্য:
-
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ধর্ম।
-
বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মমতগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
“জৈন” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জিন” থেকে, যার অর্থ জয়ী।
-
-
ধর্মগ্রন্থ ও সম্প্রদায়:
-
প্রধান ধর্মগ্রন্থ: দ্ব্বাদশ অঙ্গ
-
প্রধান দুটি সম্প্রদায়: শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর
-
জৈনধর্মের মূল নীতি
-
যে মানুষ আসক্তি, আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ ইত্যাদি জয় করে পবিত্র অনন্ত জ্ঞান লাভ করেছে, তাকে জিন বলা হয়।
-
জিনদের আচরণ ও শিক্ষা অনুসরণকারীদের বলা হয় জৈন।
-
ধর্মগুরুদের বলা হয় তীর্থঙ্কর।
-
ইতিহাসে ২৪ তীর্থঙ্করের উল্লেখ রয়েছে।
-
প্রথম তীর্থঙ্কর: ঋষভনাথ
-
সর্বশেষ তীর্থঙ্কর: মহাবীর
মহাবীর ও জৈনধর্মের প্রচার
-
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জৈনধর্মের প্রধান প্রচারক: মহাবীর (২৪তম তীর্থঙ্কর)
-
মহাবীরকে অনেক সময় ভুলবশত ধর্মপ্রবর্তক মনে করা হয়, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ধর্মের প্রচারক ছিলেন।
-
মহাবীরের পূর্বসূরি:
-
২৩তম তীর্থঙ্কর: পার্শ্বনাথ
-
২২তম তীর্থঙ্কর: নেমিনাথ
-
উৎস: Britannica, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (ষষ্ঠ শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago