ফ্লিপ-ফ্লপ কত বিট তথ্য সঞ্চয় করতে পারে?
A
16 বিট
B
4 বিট
C
8 বিট
D
1 বিট
উত্তরের বিবরণ
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে একটি মৌলিক স্টোরেজ ডিভাইস, যা একক বিট তথ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম। এটি মূলত দুটি স্থিতির মধ্যে থাকে: ‘0’ বা ‘1’। প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপ কেবল একটি বিট তথ্য ধারণ করতে পারে, অর্থাৎ এক সময়ে মাত্র একটি বাইনারি মান ধরে রাখে। একাধিক বিট সংরক্ষণ করতে হলে একাধিক ফ্লিপ-ফ্লপ সিরিজে ব্যবহার করতে হয়। তাই, ফ্লিপ-ফ্লপের ক্ষমতা হলো ১ বিট। এটি ডিজিটাল মেমোরি এবং রেজিস্টারের ভিত্তি তৈরি করে।
ফ্লিপ-ফ্লপ সম্পর্কে তথ্য:
-
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট, যা এক বিট তথ্য ধারণ করতে পারে।
-
প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপে এক বা একাধিক ইনপুটের জন্য দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।
-
ফ্লিপ-ফ্লপ মূলত সিঙ্গেল বিট নিয়ে কাজ করে এবং মাল্টিপল বিট ধারণ করতে পারে না।
-
এটি এক বিটের ০ বা ১ হতে পারে।
-
এজন্য ফ্লিপ-ফ্লপকে বাইস্টেবল মাল্টিভাইব্রেটর বলা হয়।
ফ্লিপ-ফ্লপের ব্যবহার:
-
বিভিন্ন রেজিস্টার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
সিকোয়েন্সিয়াল সার্কিটে মেমরি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
ডিজিটাল ঘড়ি, ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

0
Updated: 11 hours ago
Unicode মূলত কী সরবরাহ করে?
Created: 13 hours ago
A
একটি প্রোগ্রামিং ভাষা
B
ফাইল কম্প্রেস করার একটি পদ্ধতি
C
সব ভাষার অক্ষরের জন্য একটি এঙ্কোডিং স্ট্যান্ডার্ড
D
একটি ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
ইউনিকোড (Unicode) হলো একটি আন্তর্জাতিক অক্ষর এনকোডিং স্ট্যান্ডার্ড, যা পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার বর্ণমালা, সংখ্যা, প্রতীক ও বিশেষ চিহ্নকে একটি অভিন্ন কোডে প্রকাশ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো—সব ভাষার অক্ষর যেন একইভাবে কম্পিউটার, মোবাইল, ওয়েব বা অন্য যেকোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়।
ইউনিকোডের মূল বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব:
-
এটি একটি আন্তর্জাতিক মান (International Standard) যা পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার জন্য একক এনকোডিং ব্যবস্থা সরবরাহ করে।
-
Unicode ব্যবহারের ফলে একই অক্ষর সব ডিভাইস ও সফটওয়্যারে একইভাবে প্রদর্শিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি, বাংলা, আরবি, চীনা ইত্যাদি প্রতিটি ভাষার জন্য Unicode আলাদা আলাদা কোড পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে।
-
Unicode ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষিক ডকুমেন্ট তৈরি, ওয়েব কনটেন্ট প্রকাশ, ও ডেটা বিনিময় সহজ হয়।
ইউনিকোডের ইতিহাস ও প্রযুক্তিগত তথ্য:
-
১৯৯১ সালে Apple Computer Corporation এবং Xerox Corporation-এর একদল প্রকৌশলী যৌথভাবে এটি উদ্ভাবন করেন।
-
ইউনিকোডের প্রাথমিক সংস্করণে ২ বাইট (১৬ বিট) কোড ব্যবহৃত হতো, যা দিয়ে ৬৫,৫৩৬টি অক্ষর প্রকাশ করা যেত।
-
বর্তমানে Unicode-এর সর্বশেষ সংস্করণে ১,০০,০০০-এরও বেশি অক্ষর অন্তর্ভুক্ত আছে।
-
Unicode মূলত বিশ্বের আধুনিক ও প্রাচীন ভাষার লিখিত পাঠ্যের ইলেকট্রনিক আদান-প্রদান, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদর্শন সহজ করার জন্য তৈরি।
-
Unicode চালুর আগে বিভিন্ন এনকোডিং সিস্টেম (যেমন ASCII) ব্যবহৃত হতো, কিন্তু সেগুলো সীমিত অক্ষর সমর্থন করত এবং ভাষাভেদে আলাদা ছিল।
-
Unicode-এর বিশেষত্ব হলো—এর প্রতিটি অক্ষরের জন্য নির্ধারিত একটি ইউনিক নম্বর (Code Point) থাকে, যা যে কোনো Unicode-সমর্থিত সিস্টেমে একই থাকে।
🔹 সঠিক উত্তর: (গ) — Unicode হলো এমন একটি এনকোডিং স্ট্যান্ডার্ড যা সব ভাষার অক্ষরের জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 13 hours ago
BIOS এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 2 days ago
A
Binary Input Output System
B
Basic Input Output System
C
Base Internal Operating System
D
Boot Internal Operating Software
BIOS (Basic Input Output System) হলো এমন একটি প্রাথমিক সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এটি মাদারবোর্ডে থাকা একটি ইলেকট্রনিক চিপে সংরক্ষিত থাকে এবং কম্পিউটারের সব ধরনের প্রাথমিক নির্দেশ পরিচালনা করে।
BIOS সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য
-
কম্পিউটার কাজ শুরু করার সময় ধাপে ধাপে বিভিন্ন নির্দেশ পালনের মাধ্যমে তার কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
-
পাওয়ার বাটন চাপ দেওয়ার পর প্রথম যে নির্দেশগুলো কার্যকর হয়, সেই নির্দেশগুলো সংরক্ষিত থাকে BIOS চিপে।
-
BIOS মাদারবোর্ডে অবস্থান করে এবং প্রসেসরের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যার উপাদানের সঙ্গে যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
-
এটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে, যেমন কীবোর্ড, মাউস, ডিস্ক ড্রাইভ এবং ডিসপ্লের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ।
-
BIOS-এর নির্দেশাবলী চালু হওয়ার পর, কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম লোড করা সম্ভব হয়।

0
Updated: 2 days ago
কম্পিউটারের কার্যসম্পাদনের গতি প্রধানত কোন উপাদানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
RAM এর ক্যাপাসিটি
B
মনিটরের পিক্সেল ঘনত্ব
C
মাইক্রোপ্রসেসরের ক্লক স্পিড
D
হার্ড ড্রাইভের স্টোরেজ
কম্পিউটারের প্রসেসিং স্পিড মূলত প্রসেসরের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এটি নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখে ক্লক স্পিড, কোর সংখ্যা এবং ক্যাশ মেমোরি। এগুলোর মান যত উন্নত হবে, তত দ্রুত কম্পিউটার ডেটা প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম হবে।
-
প্রসেসরের স্পিড (Clock Speed - GHz)
প্রসেসরের ক্লক স্পিড যত বেশি হবে, ডেটা প্রক্রিয়াকরণের গতি তত দ্রুত হবে। সাধারণত GHz (Gigahertz) এ এটি পরিমাপ করা হয়। -
কোর সংখ্যা (Cores)
একাধিক কোর বিশিষ্ট প্রসেসর একই সময়ে একাধিক কাজ সম্পাদন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: Dual-core, Quad-core, Octa-core প্রসেসর। -
ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory)
এটি প্রসেসরের সাথে যুক্ত একটি উচ্চগতির মেমোরি যা ডেটা দ্রুত অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে এবং প্রসেসিং সময় কমিয়ে আনে।
সিপিইউ (Central Processing Unit)
-
সিপিইউ হলো কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় অংশ, যা ডেটা প্রক্রিয়াজাতকরণের মূল কাজ সম্পাদন করে।
-
প্রাথমিকভাবে সিপিইউ বলতে কম্পিউটারের মধ্যবর্তী অংশকে বোঝানো হতো, কিন্তু বর্তমানে এটি মূলত মাইক্রোপ্রসেসরকে নির্দেশ করে।
-
সিপিইউকে প্রায়ই কম্পিউটারের মস্তিষ্ক (Brain of the Computer) বলা হয়, কারণ সমস্ত নির্দেশনা ও গাণিতিক কাজ এটি সম্পন্ন করে।
সূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago