স্ট্যাটিক র্যাম কোন উপাদান দিয়ে তৈরি?
A
ট্রানজিস্টর
B
রেজিস্টার
C
ফ্লিপ-ফ্লপ
D
ক্যাপাসিটর
উত্তরের বিবরণ
স্ট্যাটিক র্যাম (SRAM) মূলত ফ্লিপ-ফ্লপ (Flip-Flop) ব্যবহার করে তৈরি হয়। একটি ফ্লিপ-ফ্লপ হলো এমন একটি সার্কিট যা এক বিট বা এক বাইট তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং বিদ্যুৎ চলমান অবস্থায় তা ধরে রাখতে পারে। SRAM-এ প্রতিটি মেমরি সেল সাধারণত চার থেকে ছয়টি ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করে, যা ডেটা সংরক্ষণ এবং রিড/রাইট অপারেশন সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এর ফলে SRAM অনেক দ্রুত এবং DRAM-এর তুলনায় স্থিতিশীল থাকে, কারণ এটি রিফ্রেশের প্রয়োজন হয় না। SRAM মূলত ক্যাশ মেমরি এবং প্রসেসরের ব্লকে দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্ট্যাটিক র্যাম (Static RAM) সম্পর্কে তথ্য:
-
স্ট্যাটিক র্যাম ফ্লিপ-ফ্লপ দ্বারা গঠিত, যা বাইনারি বিট ০ ও ১ ধারণ করে।
-
ধারণকৃত ডেটা মেমোরিতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।
-
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে মেমোরিতে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায়।
-
স্ট্যাটিক র্যাম অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন, তাই এটি ভিডিও র্যাম, ক্যাশ মেমোরি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
ফ্লিপ-ফ্লপ সম্পর্কিত তথ্য:
-
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট, যা এক বিট তথ্য ধারণ করতে পারে।
-
প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপে এক বা একাধিক ইনপুটের জন্য দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।
-
ফ্লিপ-ফ্লপ মূলত সিঙ্গেল বিট নিয়ে কাজ করে এবং একাধিক বিট ধারণ করতে পারে না।
-
এটি এক বিটের "০ অথবা ১" হতে পারে।
-
এজন্য ফ্লিপ-ফ্লপকে বাইস্টেবল মাল্টিভাইব্রেটর বলা হয়।

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি গিগাবাইটের চেয়ে বড়?
Created: 11 hours ago
A
বাইট
B
কিলোবাইট
C
টেরাবাইট
D
মেগাবাইট
কম্পিউটারে ডেটা মাপার জন্য বিভিন্ন একক ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর মধ্যে বাইট সবচেয়ে ছোট, যা একটি অক্ষর বা সংখ্যা সংরক্ষণ করতে পারে। এর চেয়ে বড় হলো কিলোবাইট, যা সাধারণত ১০২৪ বাইটের সমান। এরপর আসে মেগাবাইট, যা ১০২৪ কিলোবাইটের সমান। এর পরে গিগাবাইট, যা ১০২৪ মেগাবাইটের সমান। গিগাবাইটের চেয়ে বড় একক হলো টেরাবাইট, যা ১০২৪ গিগাবাইটের সমান। এটি সাধারণত বড় ফাইল বা ডেটা স্টোরেজ বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
বিট ও বাইট:
-
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ অথবা ১ অংককে বিট বলে।
-
বিট ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক একক।
-
ডেটা ও তথ্য পরিমাপের জন্য বিটকে একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ডেটা পরিমাপের এককসমূহ:
-
১ নিবল = ৪ বিট
-
১ বাইট = ৮ বিট
-
১ কিলোবিট = ১০০০ বিট
-
১ মেগাবিট = ১০০০ কিলোবিট
-
১ গিগাবিট = ১০০০ মেগাবিট
-
১ টেরাবিট = ১০০০ গিগাবিট
-
১ কিলোবাইট = ১০২৪ বাইট
-
১ মেগাবাইট = ১০২৪ কিলোবাইট
-
১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট
-
১ টেরাবাইট = ১০২৪ গিগাবাইট
-
১ পেটাবাইট = ১০২৪ টেরাবাইট

0
Updated: 11 hours ago
NFC প্রযুক্তির মূল ব্যবহার কী?
Created: 2 weeks ago
A
রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে দূরবর্তী কমিউনিকেশন
B
স্বল্প দূরত্বে ডিভাইস সংযোগ ও তথ্য বিনিময়
C
দ্রুত ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সুবিধা
D
FM/AM রেডিও সিগন্যাল ট্রান্সমিশন
NFC (Near Field Communication) হলো একটি স্বল্প-পরিসরের বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা ব্যবহার করে খুব কাছাকাছি থাকা (প্রায় ৪ সেন্টিমিটার বা তার কম) দুটি ডিভাইস তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
NFC সম্পর্কিত মূল তথ্য:
-
পূর্ণরূপ: Near Field Communications
-
এটি তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে দুইটি ডিভাইস বা বস্তুকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে তথ্য বিনিময় করতে সাহায্য করে।
-
কার্যকর দূরত্ব প্রায় ৪–১০ সেন্টিমিটার।
-
সর্বোচ্চ ডেটা স্থানান্তরের গতি ৪২৪ কিলোবিট/সেকেন্ড।
-
NFC প্রযুক্তি ২০০৪ সালে সনি, নকিয়া ও ফিলিপস-এর যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়।
-
এটি RFID (Radio Frequency Identification) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৩.৫৬ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ডেটা প্রেরণ করে।
NFC-এর সাধারণ ব্যবহার:
-
মোবাইল পেমেন্ট: যেমন Google Pay, Apple Pay
-
ট্যাগ রিডিং: NFC ট্যাগ থেকে তথ্য পড়া, যেমন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে টিকেটিং
-
ফাইল ট্রান্সফার: ছোট ফাইল বা ডেটা শেয়ার করা
-
স্মার্ট ডিভাইস কন্ট্রোল: স্মার্ট হোম ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
RDBMS-এর সম্পূর্ণ রূপ কী?
Created: 1 week ago
A
Relational Database Management System
B
Random Database Management System
C
Real-time Database Management System
D
Recursive Database Management System
RDBMS এর পূর্ণরূপ হলো Relational Database Management System। এটি একটি সফটওয়্যার সিস্টেম যা ডেটা সংরক্ষণ, পরিচালনা এবং অ্যাক্সেস করার জন্য ব্যবহৃত হয়। RDBMS ডেটাকে টেবিল আকারে সংরক্ষণ করে, যেখানে সারি (row) ও কলামের মাধ্যমে তথ্য গঠন করা হয়। এটি ডেটার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম এবং SQL (Structured Query Language) ব্যবহার করে ডেটা যোগ, পরিবর্তন, মুছা বা অনুসন্ধান করা যায়। RDBMS ডেটার সততা, নিরাপত্তা এবং পুনঃব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, Oracle, MySQL, PostgreSQL এবং Microsoft SQL Server একটি RDBMS-এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সঠিক উত্তর হলো Relational Database Management System।
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS) সম্পর্কে আরও তথ্য:
-
একাধিক টেবিলের সম্পর্কযুক্ত ডাটার সমষ্টি কে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়।
-
RDBMS হলো এমন একটি ডাটাবেজ সিস্টেম যেখানে একাধিক টেবিল থাকে।
-
এই টেবিলগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট ফিল্ডের মাধ্যমে সম্পর্ক (Relation) তৈরি করা হয়, যা ডেটার সংগঠন এবং যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করে।
-
RDBMS ব্যবহার করলে ডেটা মডেলিং, জটিল অনুসন্ধান এবং রিপোর্টিং সহজ হয়।
চাওয়াতে আমি চাইলে RDBMS-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সম্পর্কেও সংযোজন করতে পারি।

0
Updated: 1 week ago