ক্রায়োসার্জারি প্রায়ই কোন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়?
A
হাড় ভাঙা
B
উচ্চ রক্তচাপ
C
ত্বকের ক্ষত
D
ডায়াবেটিস
উত্তরের বিবরণ
ক্রায়োসার্জারি মূলত ত্বকের ক্ষত বা অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যেমন মোল, ওয়ার্ট বা ক্যান্সারযুক্ত ক্ষত। এই পদ্ধতিতে অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করে ক্ষত বা অস্বাভাবিক কোষকে জমিয়ে ধ্বংস করা হয়। এতে চারপাশের সুস্থ টিস্যুর ওপর প্রভাব খুব কম পড়ে এবং ক্ষতের পুনরাবৃত্তি কম হয়। হাড় ভাঙা, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সাধারণত ক্রায়োসার্জারি ব্যবহার করা হয় না, কারণ এসব অবস্থার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি বেশি কার্যকর। তাই ক্রায়োসার্জারি প্রায়শই ত্বকের ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ক্রায়োসার্জারি:
-
এটি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে অত্যন্ত ঠান্ডা (সাধারণত তরল নাইট্রোজেন) ব্যবহার করে শরীরের অস্বাভাবিক বা ক্যান্সারগ্রস্ত কোষ বা টিস্যু ধ্বংস করা হয়।
ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ:
-
তরল নাইট্রোজেন
-
তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড
-
নাইট্রাস অক্সাইড
-
আর্গন
-
ইথাইল ক্লোরাইড
-
ফ্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন
ক্রায়োসার্জারির ব্যবহার:
-
ওয়ার্টস অপসারণ
-
চোখের লেন্স বা ছানি অপসারণ
-
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিউমার নির্মূল
-
কিছু হৃদরোগজনিত সমস্যা নির্মূল
-
হেমোরয়েড নির্মূল
-
স্ত্রীরোগ ও ইউরোলজিক টিউমারের নিয়ন্ত্রণ

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি Infrastructure as a Service (IaaS) মডেলের সঠিক উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
Amazon EC2
B
Google Workspace
C
WordPress CMS
D
Productivity Application Suite
IaaS (Infrastructure as a Service) হলো ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের একটি মডেল, যেখানে ব্যবহারকারীকে ভার্চুয়াল সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং এবং অন্যান্য মৌলিক অবকাঠামো প্রদান করা হয়। ব্যবহারকারী এই মডেলে নিজের মতো করে সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন, ওএস ইত্যাদি ইনস্টল করতে পারে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রধান সার্ভিস মডেল:
ক্লাউড কম্পিউটিংকে সেবার ধরন অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. Infrastructure-as-a-Service (IaaS) বা অবকাঠামোগত সেবা:
-
অবকাঠামো যেমন নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, ভার্চুয়াল মেশিন, ভার্চুয়াল স্টোরেজ ইত্যাদির অ্যাক্সেস প্রদান করে।
-
সুবিধা: সবকিছু ব্যবহারকারী নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
-
অসুবিধা: সমস্ত ব্যবস্থাপনা ব্যবহারকারীকে নিজেই করতে হয়।
-
উদাহরণ: Amazon EC2 (Elastic Compute Cloud)
২. Platform-as-a-Service (PaaS) বা প্লাটফর্মভিত্তিক সেবা:
-
সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন না ভাড়া দিয়ে প্লাটফর্ম প্রদান করা হয়, যার উপরে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।
-
উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure
৩. Software-as-a-Service (SaaS) বা সফটওয়্যার সেবা:
-
ক্লাউডে চলমান রেডিমেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।
-
উদাহরণ: Google Docs, যা মাইক্রোসফট অফিসের ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন প্রভৃতির কাজ করতে সক্ষম।
অন্যান্য উদাহরণ:
-
Google Workspace → SaaS, যেমন Gmail, Google Docs, Sheets
-
WordPress CMS → SaaS বা PaaS, ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী
-
Productivity Application Suite → SaaS, যেমন Microsoft 365, Google Docs
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
IoT তে Edge Computing মূলত কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
Created: 11 hours ago
A
স্ক্রিনের রেজোলিউশন বাড়ানো
B
ব্যাটারির আয়ু কমানো
C
দূরবর্তী সার্ভারে তথ্য সংরক্ষণ করা
D
উৎসের কাছাকাছি তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা
Edge Computing মূলত IoT-তে ব্যবহৃত হয় উৎসের কাছাকাছি তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য। অর্থাৎ, ডেটা সরাসরি দূরবর্তী ক্লাউড সার্ভারে পাঠানোর পরিবর্তে ডিভাইস বা লোকাল নোডে প্রাথমিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এর ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয় এবং ল্যাটেন্সি কমে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইডথের ওপর চাপ কমে, কারণ সব তথ্য সার্ভারে পাঠাতে হয় না। এই প্রক্রিয়া IoT ডিভাইসের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন এমন কাজ, যেমন স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম বা হেলথ মনিটরিং, আরও নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর করে তোলে।
IoT (Internet of Things) সম্পর্কিত তথ্য:
-
IoT এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বস্তু (যন্ত্র, সেন্সর, ডিভাইস) ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং তথ্য আদান-প্রদান করে।
-
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক যন্ত্র যেমন গাড়ির গ্যারেজের দরজা, গাড়ি কন্ট্রোল, ফ্যান, টিভি, দরজার ইলেকট্রিক লক ইত্যাদি IoT-এর মাধ্যমে অটোমেটিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
ঘরের ইলেকট্রনিক যন্ত্র যেমন টিভি, ফ্রিজ, লাইট ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
Edge Computing সম্পর্কিত তথ্য:
-
মূল লক্ষ্য হলো ডেটা উৎসের কাছাকাছি কম্পিউটিং প্রসেসিং করা, যেমন সেন্সর, IoT ডিভাইস বা স্মার্টফোন।
-
ডেটা ক্লাউড বা সেন্ট্রাল সার্ভারে পাঠানোর পূর্বেই প্রাথমিক প্রসেসিং সম্পন্ন করা যায়।
Edge Computing-এর সুবিধা:
-
Latency কমে: ডেটা দ্রুত প্রসেস হওয়ায় রিয়েল-টাইম রেসপন্স সম্ভব হয়।
-
Bandwidth খরচ কমে: সব ডেটা ক্লাউডে পাঠানোর দরকার হয় না, ফলে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ কম ব্যবহার হয়।
-
Security বাড়ে: লোকালি ডেটা প্রসেসিং-এর মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় ঝুঁকি কমে।

0
Updated: 11 hours ago
ভ্যাকুয়াম টিউবের স্থলে ট্রানজিস্টরের পথচলা শুরু হয় কোন প্রজন্মের কম্পিউটারে?
Created: 2 weeks ago
A
দ্বিতীয় প্রজন্ম
B
তৃতীয় প্রজন্ম
C
চতুর্থ প্রজন্ম
D
পঞ্চম প্রজন্ম
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের মূল উপাদান ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব, যা আকারে বড়, বিদ্যুৎ খরচ বেশি এবং সহজেই নষ্ট হয়ে যেত। এসব সীমাবদ্ধতা কাটানোর জন্য দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে ট্রানজিস্টর ব্যবহার শুরু হয়। ট্রানজিস্টর আকারে ছোট, কম শক্তি খরচ করে, দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য। এর ফলে কম্পিউটারগুলো দ্রুততর, ছোট এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়ে ওঠে। এই পরিবর্তন কম্পিউটার প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী অগ্রগতি হিসেবে ধরা হয়। তাই ভ্যাকুয়াম টিউবের স্থলে ট্রানজিস্টরের ব্যবহার শুরু হয় দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার:
-
সময়কাল: ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪
-
বাংলাদেশে ব্যবহার শুরু: ১৯৬৪ সালে IBM 1620 কম্পিউটার দিয়ে
উদাহরণসমূহ:
-
IBM 1401, CDC 1604, RCA 301, RCA 501, BCR 300, GE 200, Honeywell 200, IBM 1620
বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
ম্যাগনেটিক কোর মেমরির ব্যবহার
-
ট্রানজিস্টরের ব্যবহার, ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে
-
আকারে সংকুচিত এবং বেশি নির্ভরযোগ্য
-
উন্নত ইনপুট-আউটপুট ব্যবস্থা
-
অপেক্ষাকৃত বেশি তথ্য ধারণক্ষমতা
পরবর্তী প্রজন্মের সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
তৃতীয় প্রজন্ম: সিলিকন চিপ ভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) ব্যবহার
-
চতুর্থ প্রজন্ম: মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার
-
পঞ্চম প্রজন্ম: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অধিক শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago