Climate Vulnerable Forum (CVF)-এর প্রতিষ্ঠার স্থান কোথায়?
A
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
B
মালে, মালদ্বীপ
C
ঢাকা, বাংলাদেশ
D
আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া
উত্তরের বিবরণ
Climate Vulnerable Forum (CVF) হলো একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। এটি জলবায়ু সংক্রান্ত নীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর জন্য কার্যকর সমাধান তৈরি করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠিত হয়: ২০০৯ সালে
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: মালদ্বীপ, মালে
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৭৪টি দেশ
-
বর্তমান সভাপতি দেশ: বার্বাডোস
-
২০০৯ সালের COP-15, Copenhagen সম্মেলনের আগে বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ ১১টি দেশ মালে একত্রিত হয়ে CVF প্রতিষ্ঠা করে।
-
উদ্যোক্তা: মালদ্বীপের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ
-
CVF মূলত climate advocacy, knowledge sharing, এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিতে member states-এর capacity building-এর ওপর গুরুত্ব দেয়।

0
Updated: 12 hours ago
'বেল্ট অ্যান্ড রোড' কার্যক্রম শুরু হয় :
Created: 2 days ago
A
২০০০ সাল
B
২০০১ সাল
C
২০১৩ সাল
D
২০১৬ সাল
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)’ হলো চীন প্রবর্তিত একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা মূলত ভৌত অবকাঠামো ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ এবং অন্যান্য অঞ্চলে সংযোগ স্থাপন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি। এই প্রকল্পকে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা নিউ সিল্ক রোড নামেও বলা হয়।
-
প্রবর্তন: ২০১৩ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথম এই প্রকল্পের বিষয়টি প্রকাশ করেন।
-
উদ্দেশ্য: উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ উদ্যোগের বিস্তৃত সংগ্রহের মাধ্যমে পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপকে ভৌত অবকাঠামো দিয়ে সংযুক্ত করা।
-
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ: মে ২০১৮ থেকে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ১৯টি ব্যাকগ্রাউন্ড পেপারের সিরিজ প্রকাশ করেছে এবং একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ঋণ, সংগ্রহ, পরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অবকাঠামোর সাথে BRI-এর সম্পর্কের স্বাধীন বিশ্লেষণ প্রদান করে।
-
PGII পরিকল্পনা: চীনের BRI-এর মোকাবিলায় জি-৭ভুক্ত দেশসমূহ নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যার নাম PGII (Partnership for Global Infrastructure and Investment)।
-
উদ্দেশ্য ও অংশীদারিত্ব: PGII প্রকল্পের মাধ্যমে চীনকে মোকাবিলা করে বৈশ্বিক অবকাঠামো ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণকারী সংস্থা হলো G7।
-
জি-৭ সম্মেলন: ৪৮তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ২০২২ সালের ২৬-২৮ জুন জার্মানির ব্যাভারিয়ান রাজ্যের শ্লোস এলমাই শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 2 days ago
কোথায় ঐতিহাসিক ট্রয় নগর অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
ইটালি
B
গ্রীস
C
তুরস্ক
D
ফ্রান্স
ট্রয় (Troy) হলো একটি প্রাচীন নগরী যা ইতিহাস এবং সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। হোমারের মহাকাব্য ইলিয়াড (Iliad)-এ এর বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক ট্রয় নগরীর বর্ণনা পাওয়া যায় হোমারের Iliad-এ, যেখানে নগরী এবং ট্রোজানদের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে।
-
মহাকাব্য অনুসারে, ট্রোজান রাজপুত্র প্যারিস (Paris) স্পার্টার রানি হেলেন (Helen) কে নাকি নিয়ে ট্রয় পালিয়ে যায়। হেলেন ছিলেন স্পার্টার রাজা মেনেলাউস (Menelaus) এর স্ত্রী।
-
প্যারিসের এ কার্যকলাপে ক্রোধান্বিত হয়ে মেনেলাউস তার ভাই আগামেমনন (Agamemnon) এর সহায়তায় ট্রয় আক্রমণ করেন।
-
গ্রিক ও ট্রোজানদের মধ্যে যুদ্ধ চলে দশ বছর (ten years) ধরে। কথিত আছে, স্বর্গের দেবতারা (gods) এই যুদ্ধের সময় দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধের দিকে সমর্থন দিয়েছেন।
-
পরবর্তীতে গ্রিকদের দ্বারা ট্রয় নগরী সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
ইতিহাস অনুযায়ী:
-
ট্রয় নগরী বর্তমান তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, হেসারলিক বা আনাতোলিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।
-
১৯শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্র্যাঙ্ক কালভার্ট (Frank Calvert) এবং জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক হেনরিক শ্লিম্যান (Heinrich Schliemann) এর প্রচেষ্টায় ট্রয় নগরীর সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়।
-
ট্রয় নগরী এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্যিক পথের (trade route) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৯৮ সালে ট্রয় ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য (UNESCO World Heritage) তালিকায় স্থান পায়।

0
Updated: 3 days ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 3 days ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

0
Updated: 3 days ago