BCIM করিডোরে নিম্নের কোন চারটি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
A
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা
B
বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মায়ানমার
C
ভুটান, চীন, ভারত, নেপাল
D
ভারত, চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান
উত্তরের বিবরণ
BCIM অর্থাৎ বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ regional economic initiative। এটি মূলত চারটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতি, বাণিজ্য ও ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিত।
• পূর্ণ নাম ও ইতিহাস: মূল নাম হলো BCIM Regional Economic Cooperation বা "Kunming Initiative", যা ১৯৯৯ সালে কুনমিং, চীনে ঘোষণা করা হয়।
• উদ্যোক্তা দেশসমূহ: বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমার।
• প্রারম্ভিক ধারণা: ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশি প্রফেসর রেহমান সোবহান মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কের ধারণা দেন, যা করিডোরের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
• প্রস্তুতি ও প্রস্তাবনা: ২০১৩ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ভারতে সফরে গিয়ে BCIM করিডোরের প্রস্তাব দেন, এবং একই বছরে চীন-ভারত যৌথ বিবৃতিতে করিডোর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা হয়।
• দৈর্ঘ্য: মোট প্রায় ২৮০০ কিলোমিটার।
যোগাযোগ ও রুট:
• শুরু: কলকাতা, ভারত
• বাংলাদেশের অংশ: যশোর, ঢাকা, সিলেট
• ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল: ইম্ফল (মণিপুর), শিলচর (আসাম)
• মায়ানমার: কালে, মনিওয়া, মান্ডালে, লাশিও, মিউজ
• শেষ: কুনমিং, চীনের ইউনান প্রদেশ
মূল উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম: চার দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বাজার সংযোগ ও regional trade ও investment উন্নয়ন।

0
Updated: 12 hours ago
'নাগার্নো কারাবাখ' কোন দুটি দেশের করিডোর?
Created: 2 months ago
A
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া
B
আর্মেনিয়া-লাটভিয়া
C
কাজাখস্তান-আজারবাইজান
D
রাশিয়া-আর্মেনিয়া
নাগার্নো কারাবাখ পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত একটি বিতর্কিত অঞ্চল, যা দীর্ঘদিন ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে উত্তেজনার প্রধান উৎস। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা এই দুই দেশের মধ্যে অঞ্চলটি ঘিরে প্রায় তিন দশক ধরে বিরোধ চলে আসছে।
১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পরিস্থিতি স্থায়ী হয়নি—ছোট-বড় সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এই অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে আজও দুই দেশের মধ্যে কোনও স্থায়ী চুক্তি হয়নি।
আন্তর্জাতিক মহল নাগার্নো কারাবাখকে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও বাস্তবে অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত আর্মেনিয়দের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এসেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দী বিনিময় এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
২০২০ সালের যুদ্ধবিরতি:
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়: ৯ নভেম্বর, ২০২০
-
কার্যকর হয়: ১০ নভেম্বর, ২০২০
-
স্থান: মস্কো, রাশিয়া
-
মধ্যস্থতাকারী: রাশিয়া
এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘাত কিছুটা স্তিমিত হলেও অঞ্চলটি এখনও অস্থিরতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 2 months ago