নিম্নের কোন মতবাদে 'রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে?
A
মার্ক্সবাদ
B
নব্য-উদারতাবাদ
C
বাস্তববাদ
D
গঠনবাদ
উত্তরের বিবরণ
বাস্তববাদ (Realism) হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব যা রাষ্ট্র, জাতীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতার ভূমিকা উপর জোর দেয়। এটি বোঝায় যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রগুলো প্রধান খেলোয়াড় এবং তাদের লক্ষ্য হলো নিজেদের নিরাপত্তা ও প্রভাব বিস্তার।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহ তাদের শক্তি ও স্বার্থ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ধারা হলো ক্ষমতা ভারসাম্য (balance of power) এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মার্ক্সবাদ (Marxism) হলো একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের মধ্য-19শ শতাব্দীর কাজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
এটি তিনটি মূল ধারণার সমষ্টি: দর্শনীয় মানবতত্ত্ব (philosophical anthropology), ইতিহাসের তত্ত্ব (theory of history), এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি (economic and political program)।
-
মার্ক্সবাদ মূলত ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব ও শ্রেণিসংগ্রামকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে।
-
সমাজ ও রাজনীতিকে বোঝার জন্য এটি শ্রেণি সংঘাতকে কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে দেখায়।
নব্য-উদারতাবাদ (Neoliberalism) হলো এমন একটি নীতি ও ভাবধারা যা মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতা (free market competition) এর মূল্যকে গুরুত্ব দেয়।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রবার্ট কোহেন এই তত্ত্বের পরিচয় দেন।
-
নব্য উদারতাবাদ মনে করে যে রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা (international organizations) অপরিহার্য।
-
এটি বিশ্বাস করে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলো পারস্পরিক সুবিধা পেতে পারে।
গঠনবাদ (Constructivism) অনুসারে মানুষের আচরণ নির্ধারিত হয় তাদের পরিচয় (identity) দ্বারা, যা সমাজের মূল্যবোধ, ইতিহাস, প্রথা এবং প্রতিষ্ঠান দ্বারা গঠিত।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন আদর্শ ও সামাজিক কাঠামো।
-
মানুষের আচরণ পারিপার্শ্বিক উপাদান যেমন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়।
-
সরাসরি বলা না হলেও এই তত্ত্ব শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিকে সামগ্রিক কল্যাণকর মনে করে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্যান্য তত্ত্বের মধ্যে Regime Theory, Functionalism উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 12 hours ago
কোথায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
লন্ডন
B
প্যারিস
C
ব্রাসেলস
D
ফ্রাঙ্কফুর্ট
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) হল ইউরো মুদ্রার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক এবং এটি মূলত ইউরোজোনের আর্থিক নীতি পরিচালনা করে। এর উদ্ভব এবং কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিম্নরূপ:
-
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক ধারণা এসেছে ১৯৮৮ সালে, যখন Economic and Monetary Union (EMU) গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
-
১৯৯৪ সালে European Monetary Institute (EMI) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ECB-এর পূর্বসূরী হিসেবে কাজ করে।
-
১ জুন, ১৯৯৮ সালে আমস্টারডাম চুক্তির মাধ্যমে ECB আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, EMI-এর উত্তরসূরী হিসেবে।
-
১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে EU অঞ্চলে একক মুদ্রা 'ইউরো' চালু করা হয়।
-
ECB-এর সদরদপ্তর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কার্যাবলী হলো:
-
EU অঞ্চলে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং পরিবেশ নিশ্চিত করা।
-
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
-
নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
ইউরো নোট ইস্যু ও সরবরাহ করা।
-
ইউরো মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত তথ্য:
-
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদরদপ্তর স্ট্রাসবার্গ, ব্রাসেলস এবং লুক্সেমবার্গে অবস্থিত।
-
EU-এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
-
বর্তমানে EU-এর সদস্য দেশ সংখ্যা ২৭টি।

0
Updated: 3 days ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 3 days ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

0
Updated: 3 days ago
Climate Vulnerable Forum (CVF)-এর প্রতিষ্ঠার স্থান কোথায়?
Created: 12 hours ago
A
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
B
মালে, মালদ্বীপ
C
ঢাকা, বাংলাদেশ
D
আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া
Climate Vulnerable Forum (CVF) হলো একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। এটি জলবায়ু সংক্রান্ত নীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর জন্য কার্যকর সমাধান তৈরি করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠিত হয়: ২০০৯ সালে
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: মালদ্বীপ, মালে
-
বর্তমান সদস্য সংখ্যা: ৭৪টি দেশ
-
বর্তমান সভাপতি দেশ: বার্বাডোস
-
২০০৯ সালের COP-15, Copenhagen সম্মেলনের আগে বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ ১১টি দেশ মালে একত্রিত হয়ে CVF প্রতিষ্ঠা করে।
-
উদ্যোক্তা: মালদ্বীপের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ
-
CVF মূলত climate advocacy, knowledge sharing, এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিতে member states-এর capacity building-এর ওপর গুরুত্ব দেয়।

0
Updated: 12 hours ago