দশমিক ১০ এর হেক্সাডেসিমাল রূপ কত?
A
A
B
8
C
9
D
B
উত্তরের বিবরণ
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রচলিত সংখ্যা পদ্ধতি, যার ভিত্তি (Base) হলো ১০। এই পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট ১০টি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি হলো ১৬ ভিত্তিক একটি পদ্ধতি, যেখানে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা এবং A থেকে F পর্যন্ত অক্ষর ব্যবহৃত হয়। এখানে A মানে ১০, B মানে ১১, C মানে ১২, D মানে ১৩, E মানে ১৪ এবং F মানে ১৫ বোঝায়। তাই, যখন দশমিক ১০ সংখ্যাটিকে হেক্সাডেসিমালে রূপান্তর করা হয়, তখন সেটি A দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, দশমিক ১০ = হেক্সাডেসিমাল A।
দশমিক, বাইনারি, অক্টাল ও হেক্সাডেসিমাল রূপান্তরের একটি সহজ তুলনামূলক টেবিল নিচে দেওয়া হলো:
দশমিক ---- বাইনারি ---- অক্টাল ---- হেক্সাডেসিমাল
৮ ------------ ১০০০ ---------- ১০ ------------ ৮
৯ ------------ ১০০১ ---------- ১১ ------------ ৯
১০ ----------- ১০১০ ---------- ১২ ------------ A
১১ ----------- ১০১১ ---------- ১৩ ------------ B
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য:
-
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা ১৬ ভিত্তিক (Base 16)।
-
এখানে ব্যবহৃত হয় ০–৯ সংখ্যাগুলো এবং A–F অক্ষরগুলো।
-
A, B, C, D, E, F যথাক্রমে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ বোঝায়।
-
G, H, Z ইত্যাদি অক্ষর এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় না, কারণ এগুলো হেক্সাডেসিমাল ভিত্তিতে স্বীকৃত নয়।
সংখ্যা পদ্ধতির ধরন:
-
সংখ্যা প্রকাশ বা লেখার নিয়মকে সংখ্যা পদ্ধতি (Number System) বলা হয়।
-
ভিত্তি (Base) অনুযায়ী সংখ্যা পদ্ধতির চারটি প্রধান ধরন রয়েছে—
১. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (Decimal Number System) – ভিত্তি ১০
২. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (Binary Number System) – ভিত্তি ২
৩. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (Octal Number System) – ভিত্তি ৮
৪. হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি (Hexadecimal Number System) – ভিত্তি ১৬

0
Updated: 13 hours ago
অপারেটিং সিস্টেম কী ধরনের সফটওয়্যার?
Created: 2 weeks ago
A
Application Software
B
System Software
C
Development Software
D
Utility Software
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) হলো একটি সিস্টেম সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটার চালু হওয়ার পর প্রথম যে সফটওয়্যার কাজ করে।
সিস্টেম সফটওয়্যার সম্পর্কিত মূল তথ্য:
-
কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
-
হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারিক প্রোগ্রামের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করে।
-
কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে।
-
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে এবং ব্যবহারিক প্রোগ্রাম চালানোর জন্য কম্পিউটারকে প্রস্তুত রাখে।
-
উদাহরণ: DOS, Windows XP, Linux, Unix, Mac OS।
-
Compiler, Interpreter, Assembler-এর মতো প্রোগ্রামও সিস্টেম সফটওয়্যারের অন্তর্ভুক্ত।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার:
-
মানুষের বিশেষ কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে।
-
উদাহরণ: MS Word, MS Excel, Oracle, FoxPro, Adobe Photoshop, Paint।
ইউটিলিটি প্রোগ্রাম:
-
অপারেটিং সিস্টেমকে সাহায্য করে কম্পিউটারের কার্যকারিতা পরিচালনা, কনফিগারেশন অপটিমাইজেশন, সমস্যা সমাধান ও রক্ষণাবেক্ষণে।
-
উদাহরণ: Antivirus Programs, Disk Defragmenter, File Manager।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
CPU-এর মূল তিনটি অংশ কী কী?
Created: 2 weeks ago
A
RAM, ROM, Hard Disk
B
Input, Output, Storage unit
C
Mouse, Keyboard, Monitor
D
ALU, CU, Memory Unit
CPU (Central Processing Unit) হলো কম্পিউটারের প্রধান উপাদান, যা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মূল কাজ সম্পন্ন করে। এটিকে প্রায়ই কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়, কারণ সমস্ত গণনা, নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণ মূলত সিপিইউ-এর মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। একটি কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও সামগ্রিক ক্ষমতা প্রধানত সিপিইউ-এর উপর নির্ভর করে।
সিপিইউ সাধারণত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে গঠিত—
-
গাণিতিক যুক্তি ইউনিট (Arithmetic Logic Unit - ALU): এটি সকল প্রকার গাণিতিক (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) এবং যৌক্তিক (তুলনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ) কাজ সম্পন্ন করে।
-
নিয়ন্ত্রণ ইউনিট (Control Unit - CU): এটি কম্পিউটারের অন্যান্য অংশের কাজ সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ করে, নির্দেশনা কোথা থেকে আসবে এবং কিভাবে কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করে।
-
রেজিস্টার বা মেমোরি ইউনিট (Registers/Memory Unit): এটি অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করে, যাতে প্রসেসিং চলাকালীন ডেটা দ্রুত ব্যবহার করা যায়।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা (2F)16 এর ডেসিমাল মান কত?
Created: 1 month ago
A
52
B
47
C
57
D
67
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা হলো একটি সংখ্যা ব্যবস্থা যা ১৬টি সংখ্যা ব্যবহার করে—0 থেকে 9 এবং A থেকে F। এখানে A=10, B=11, … F=15।
দেওয়া হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা হলো (2F)₁₆ । এটিকে ডেসিমাল সংখ্যায় রূপান্তর করতে হলে, প্রতিটি অঙ্কের মানকে ১৬-এর ঘাত অনুযায়ী গুণ করতে হয়।
প্রথম অঙ্ক 2 → ১৬¹ দ্বারা গুণ হবে → 2 × 16 = 32।
দ্বিতীয় অঙ্ক F → ১৬⁰ দ্বারা গুণ হবে → 15 × 1 = 15।
এবার দুইটি ফলাফল যোগ করলে হয় → 32 + 15 = 47।
হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর:
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তরের জন্য সংখ্যাটির প্রত্যেক অংককে নিজ নিজ স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত গুণফলসমূহকে যোগ করতে হবে। এভাবে প্রাপ্ত যোগফলই হবে উক্ত হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার সমতুল্য দশমিক সংখ্যা।
হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার সময় প্রত্যেক অংককে ১৬ দ্বারা গুণ করতে হবে।
গুণ করার সময় স্থানীয় মান অনুযায়ী ১৬ এর ঘাত ০ হতে বাড়তে থাকবে। যেমন- একক স্থানীয় অংকটিকে ১৬⁰ দ্বারা, দশক স্থানীয় অংকটিকে ১৬¹ দ্বারা, শতক স্থানীয় অংকটিকে ১৬² দ্বারা,.....গুণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাটির কোন অংক A,B,C,D,E ও F হলে যথাক্রমে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ দিয়ে গুণ করতে হবে।
প্রাপ্ত গুণফলকে যোগ করলে উক্ত হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাটির সমতুল্য দশমিক মান পাওয়া যাবে।
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তরের জন্য সংখ্যাটির প্রত্যেক অংককে নিজ নিজ স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত গুণফলসমূহকে যোগ করতে হবে। এভাবে প্রাপ্ত যোগফলই হবে উক্ত হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার সমতুল্য দশমিক সংখ্যা।
হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার সময় প্রত্যেক অংককে ১৬ দ্বারা গুণ করতে হবে।
গুণ করার সময় স্থানীয় মান অনুযায়ী ১৬ এর ঘাত ০ হতে বাড়তে থাকবে। যেমন- একক স্থানীয় অংকটিকে ১৬⁰ দ্বারা, দশক স্থানীয় অংকটিকে ১৬¹ দ্বারা, শতক স্থানীয় অংকটিকে ১৬² দ্বারা,.....গুণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাটির কোন অংক A,B,C,D,E ও F হলে যথাক্রমে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ দিয়ে গুণ করতে হবে।
প্রাপ্ত গুণফলকে যোগ করলে উক্ত হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাটির সমতুল্য দশমিক মান পাওয়া যাবে।
উদাহরণ
(2F)16=2×161+F×160(2F)₁₆ = 2 × 16¹ + F × 16⁰(2F)16=2×161+F×160
= 2 × 16 + 15 × 1
= 32 + 15
= 47
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago