ব্লকচেইন কী?
A
একটি বিকেন্দ্রীভূত ও বিতরণকৃত ডিজিটাল লেজার
B
এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
C
একটি পিয়ার-টু-পিয়ার মেসেজিং অ্যাপ
D
একটি ক্লাউড স্টোরেজ সেবা
উত্তরের বিবরণ
ব্লকচেইন (Blockchain) হলো একটি বিকেন্দ্রীভূত ও বিতরণকৃত ডিজিটাল লেজার সিস্টেম, যেখানে তথ্য বা লেনদেনসমূহ ব্লক আকারে সংরক্ষিত হয় এবং প্রতিটি ব্লক ক্রিপ্টোগ্রাফি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কোনো একক কর্তৃপক্ষ বা কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই; বরং তথ্যসমূহ একটি বিস্তৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সমানভাবে বিতরণ করা থাকে। ফলে তথ্য পরিবর্তন বা জালিয়াতি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, যা ব্লকচেইনকে করে তুলেছে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য।
-
ব্লকচেইন মূলত একটি ডেটাবেজ প্রযুক্তি, যা একটি লেজার বা রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে কাজ করে এবং এই লেজারটি নেটওয়ার্কের বহু কম্পিউটারে ছড়িয়ে থাকে।
-
এই রেকর্ডগুলোর প্রতিটি অংশকে ব্লক (Block) বলা হয়।
-
ব্লকচেইন প্রযুক্তি সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করেন সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) নামে পরিচিত এক গোপন পরিচয়ের প্রোগ্রামার বা প্রোগ্রামারদের একটি দল।
-
২০০৯ সালে তারা এটি বিটকয়েন (Bitcoin) নামক ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রযুক্তিগত কাঠামোর অংশ হিসেবে তৈরি করেন।
-
প্রতিটি লেনদেনের তথ্য একটি ব্লকে যুক্ত হয় এবং একাধিক ব্লক ক্রমানুসারে চেইনের মতো যুক্ত হয়ে তৈরি করে একটি ব্লকচেইন।
-
ব্লকগুলো গাণিতিক অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত থাকে, যার ফলে একক ব্যবহারকারীর পক্ষে তথ্য পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব।
-
যদিও এটি মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে ব্যবহৃত হয়, বর্তমানে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ভোটিং সিস্টেম, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কনট্র্যাক্ট যাচাইসহ আরও বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
-
এটি তথ্যের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত।
বিটকয়েন (Bitcoin) হলো ব্লকচেইন প্রযুক্তিভিত্তিক প্রথম ও সর্বাধিক ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি।
-
এর মালিকরা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিটকয়েনকে অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বাস্তব মুদ্রা (যেমন মার্কিন ডলার, ইউরো ইত্যাদি)-তে রূপান্তর করতে পারেন।
-
এছাড়াও, অনেক বিক্রেতা ও প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা করার সুবিধা প্রদান করে।

0
Updated: 13 hours ago
স্মার্টফোনে ডেটা রূপান্তরের জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
Created: 2 days ago
A
সার্কিট সুইচিং
B
প্যাকেট সুইচিং
C
ফ্রিকোয়েন্সি হপিং
D
সিগন্যাল মড্যুলেশন
স্মার্টফোন (Smartphone) হলো একটি বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন, যা মোবাইল কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি কেবল কল করার জন্য নয়, বরং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন।
স্মার্টফোন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
সর্বপ্রথম IBM প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালে "Simon" নামে স্মার্টফোন ডিজাইন করে।
-
বেলসাউথ প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালে স্মার্টফোন বাজারে প্রবর্তন করে।
-
প্রথম স্মার্টফোনে টাচস্ক্রিন ইন্টারফেস এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ছিল, যেমন ক্যালেন্ডার, ঠিকানা বই, ক্যালকুলেটর এবং অন্যান্য ইউটিলিটি।
-
স্মার্টফোনে ডেটা রূপান্তর ও স্থানান্তরের জন্য প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর উচ্চ গতিসম্পন্ন ও কার্যকরী হয়।

0
Updated: 2 days ago
প্রধানত ডিবাগিং-এর উদ্দেশ্য কী?
Created: 2 weeks ago
A
কোড কম্পাইল করা
B
ডকুমেন্টেশন লেখা
C
কোডে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধন করা
D
পারফরম্যান্স উন্নত করা
ডিবাগিং-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো কোডে থাকা ত্রুটি বা বাগ খুঁজে বের করা এবং তা সংশোধন করা (গ)। প্রোগ্রাম লেখার সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল ঘটতে পারে, যা কোডকে সঠিকভাবে কার্যকর হতে বাধা দেয়। ডিবাগিং প্রক্রিয়া শুধু সিনট্যাক্স জনিত ভুল নয়, বরং লজিক্যাল বা রানটাইম ত্রুটি শনাক্ত করতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে প্রোগ্রামার বুঝতে পারে কোন অংশে সমস্যা হচ্ছে এবং কোন পরিবর্তন করলে কোডটি সঠিকভাবে কাজ করবে।
প্রোগ্রাম ডিবাগিং সম্পর্কে তথ্য:
-
প্রোগ্রাম তৈরির সময় বিভিন্ন কারণে ত্রুটি (Bug) দেখা দিতে পারে, যা প্রোগ্রামের সঠিক কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
-
ডিবাগিং প্রক্রিয়ায় প্রোগ্রামার কোডের ত্রুটিপূর্ণ অংশ সনাক্ত এবং সংশোধন করে।
-
এটি সফটওয়্যার উন্নয়নের একটি অপরিহার্য ধাপ, যা প্রোগ্রামের স্থায়িত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
-
ডিবাগিং শুধুমাত্র কোড পরীক্ষা নয়, বরং প্রোগ্রামিং দক্ষতা বৃদ্ধিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

0
Updated: 1 week ago
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অনুভব করতে কোন ডিভাইসটি প্রয়োজন?
Created: 11 hours ago
A
Headset
B
Keyboard
C
Monitor
D
Printer
VR অনুভবের প্রধান ডিভাইস:
-
সঠিক উত্তর: হেডসেট
কারণ:
-
হেডসেট ব্যবহারকারীর চোখের সামনে সম্পূর্ণ 3D ভিজ্যুয়াল পরিবেশ তৈরি করে।
-
মাথার গতি ও অবস্থান শনাক্ত করতে সেন্সর ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী VR জগতে ঘুরতে এবং বিভিন্ন দিক দেখতে পারে।
-
কীবোর্ড বা মনিটর কেবল ইনপুট বা আউটপুট ডিভাইস; প্রিন্টার সম্পূর্ণ ভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) সংক্ষেপে:
-
কম্পিউটার ও সিমুলেশন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে কল্পনাপ্রসূত পরিবেশ তৈরি।
-
ব্যবহারকারীকে বাস্তবসম্মত 3D অভিজ্ঞতা দেয়।
সফটওয়্যার উদাহরণ:
-
Vizard, VRToolKit, 3D Studio Max, Maya

0
Updated: 11 hours ago