উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার জাত কোনটি?
A
শুভ্রা
B
ময়না
C
প্রভাতী
D
প্রগতি
উত্তরের বিবরণ
উচ্চ ফলনশীল ফসলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাছাই কৃষির উন্নত প্রযুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ফসলের জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য উচ্চ ফলনশীল জাত নিচে দেওয়া হলো:
-
ভুট্টা: বর্ণালি, শুভ্রা, খই, মোহর।
-
কলা: সিঙ্গাপুরী, কাবুলী, মেহের সাগর, অমৃত সাগর, সবরি, অনুপম, মালভোগ, মর্তমান, চাঁপা, অগ্নিশ্বর, কবরী।
-
আলু: হীরা, আইলসা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, চমক, মরিনী, সুন্দরী, কুফরী, মুলটা।
-
গম: কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব।
-
পেঁয়াজ: সুখ সাগর, ঝিটকা, কৈলাসনগর, তাহেরপুরী, ভাতি।
-
বাঁধাকপি: গ্রীন এক্সপ্রেস, ড্রামহেড, গোল্ডেন ক্রস, প্রভাতী, অগ্রদূত।
-
ধান: বিপ্লব, হিরা, মালা, ইরাটম, ময়না, চান্দিনা, হরিধান, নারিফা, সুফলা, প্রগতি।
-
আম: মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ।
এই জাতগুলি উচ্চ ফলন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য পরিচিত, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।

0
Updated: 13 hours ago
'তমদ্দুন মজলিস'-এর নেতা জনাব আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
রসায়ন বিজ্ঞান
B
গণিত
C
ইতিহাস
D
পদার্থ বিজ্ঞান
তমদ্দুন মজলিশ ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন, যা ইসলামী আদর্শে পরিচালিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সহযোগীরা: প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী সহযোগী ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর ও হাসান ইকবাল।
-
নেতৃত্ব: অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সভাপতি নির্বাচিত হন।
-
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা: উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে তমদ্দুন মজলিশ।
-
পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রভাব: সংগঠনটি ছাত্র-শিক্ষক মহলে বাংলা ভাষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে। একই বছরের মধ্যেই বহু খ্যাতনামা ও অখ্যাত লেখক বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
সরকারি অবস্থা: পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানের গণপরিষদে সরকারি ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হয়, যা বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

0
Updated: 2 weeks ago
পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি কে উত্থাপন করেন?
Created: 1 month ago
A
আব্দুল মতিন
B
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
C
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি
পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব দেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ছিলেন কুমিল্লার সন্তান।
-
তারিখ ও ঘটনা: ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথমবার গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন।
-
প্রস্তাবের কারণ: তিনি সরকারি কাগজপত্রে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গণপরিষদের কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, যেখানে বাংলার ব্যবহার নেই।
-
ভাষার গুরুত্ব: সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
পটভূমি: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতারা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। এর ফলে বাংলার সংখ্যা ও প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করা হচ্ছিল।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।

0
Updated: 1 month ago
বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে কোন ফসলের চাষ তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
ভূট্টা
B
পাট
C
ধান
D
গোল আলু
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে গত ৫০ বছরে ভুট্টা চাষের বৃদ্ধি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতার পর থেকে অন্যান্য ফসল যেমন ধান, পাট ও আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও তুলনামূলকভাবে ভুট্টার উৎপাদন ও চাষাবাদের হার বহুগুণ বেড়েছে।
ভুট্টা উৎপাদন:
-
বিগত ৫০ বছরে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি ঘটেছে ভুট্টা (মেইজ) চাষে।
-
১৯৭১ সালে দেশের ভুট্টা উৎপাদন ছিল মাত্র ২,০০০ মেট্রিক টন, আর চাষের পরিমাণ ছিল ২,৬৫৪ হেক্টর।
-
২০১৯–২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১,৬৫,৫১০ হেক্টর।
-
প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়েছে ০.৮৫ টন থেকে ৬.১৫ টনে।
-
ধান, পাট ও আলুর উৎপাদনও বেড়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে ভুট্টার বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) অনুসারে:
-
স্বাধীনতার পর থেকে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ।
-
গমের উৎপাদন বেড়েছে দুইগুণ।
-
ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
-
সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
অন্যান্য ফসলের বৃদ্ধি:
-
ধান: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৯.৬৭ মিলিয়ন টন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৭০ মিলিয়ন টনে।
-
পাট: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন বেল এবং চাষের পরিমাণ ৮,০০,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়ন বেল, চাষের পরিমাণ ৮২০,০০০ হেক্টর, প্রতি হেক্টরে ফলনও সামান্য বেড়েছে।
-
গোল আলু: ১৯৭১ সালে উৎপাদন ছিল ৪.৫ লাখ মেট্রিক টন এবং চাষের পরিমাণ ৮৫,০০০ হেক্টর। ২০২০ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৯ লাখ মেট্রিক টনে, চাষের পরিমাণ হয়েছে ১,২০,০০০ হেক্টর এবং প্রতি হেক্টরে ফলন বেড়ে হয়েছে ৭.৪ টন।

0
Updated: 2 weeks ago