মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর কোন গ্রন্থটি ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেছেন?
A
বীরাঙ্গনা
B
ব্রজাঙ্গনা
C
হেক্টরবধ
D
মেঘনাদবধ
উত্তরের বিবরণ
‘হেক্টরবধ’ (১৮৭১) হলো মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাংলা ভাষায় রচিত গদ্যভাষার প্রথম হোমারের ‘ইলিয়াড’ অনুবাদ, যা মূলত মহাকাব্যের প্রথম কয়েকটি সর্গের অনুবাদ। এই রচনাটি তিনি ১৮৬৭ সালে শুরু করেন, কিন্তু অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ১৮৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এটি হোমারের মূল গ্রিক রচনার প্রথম বাংলা অনুবাদ হিসেবে পরিচিত। গ্রন্থটি বিশেষভাবে ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাব্যরচনা করেছেন—
-
‘মেঘনাদবধ কাব্য’ (১৮৬১)
-
এটি সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ এর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনী অবলম্বন করে রচিত।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের স্বাধীনতামন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি রাবণকে নায়ক এবং রামকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যে আধুনিক মহাকাব্যের সূচনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
‘ব্রজাঙ্গনা’ (১৮৬১)
-
এটি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গীতিকাব্য, যা ওড্ জাতীয় গীতিকবিতা রূপে রচিত।
-
কাব্যটি তিনি দুই খণ্ডে ভাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন—বিরহ ও মিলন, কিন্তু ‘মিলন’ খণ্ডটি সম্পন্ন করতে পারেননি।
-
-
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ (১৮৬২)
-
এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্য, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথমবার পত্রাকারে প্রকাশিত কাব্য হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
-
কাব্যটি মূলত প্রেম, বীরত্ব ও মানসিক আবেগের প্রকাশের মাধ্যমে পাঠককে আকৃষ্ট করে।
-
-
এই সব রচনার মাধ্যমে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে আধুনিক কাব্যধারা ও নতুন ভাবধারার সূচনা করেন।
-
তাঁর কাব্য ও অনুবাদ কাজ পশ্চিমা সাহিত্যধারার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা সাহিত্যে নবযুগের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
কৃষ্ণকুমারী
B
ব্রজাঙ্গনা
C
পদ্মবতী
D
তিলোত্তমাসম্ভব
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক হলো কৃষ্ণকুমারী। নাটকটির রচয়িতা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। এ নাটকের কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে উইলিয়াম টডের “রাজস্থান” নামক গ্রন্থ থেকে। নাটকটি রচিত হয় ১৮৬০ সালে এবং প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে। এ নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে— কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীম সিংহ, জগৎসিংহ ও ধনদাস প্রমুখ।
অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যের প্রথম কেমেডি নাটক হলো পদ্মাবতী। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাব্য ব্রজাঙ্গনা, যা মূলত রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গীতিকাব্য।

0
Updated: 2 weeks ago
মাইকেল মধুসূধন দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 2 days ago
A
১৮২০ সালে
B
১৮২৪ সালে
C
১৮২৮ সালে
D
১৮৩৮ সালে
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন মহাকবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক হিসেবে খ্যাত। তিনি বাংলা সাহিত্যকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন এবং তাঁর বিভিন্ন ছদ্মনাম ও সাহিত্যকর্ম বাংলাভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
-
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা ও কাব্যচর্চা: হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের সময়ই তিনি কাব্যচর্চা শুরু করেন। তাঁর কবিতা তখন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হতো, যেমন জ্ঞানান্বেষণ, Bengal Spectator, Literary Gleamer, Calcutta Library Gazette, Literary Blossom, Comet ইত্যাদি।
-
ধর্মান্তর ও নামের পরিবর্তন: ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯ বছর বয়সে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং তখন থেকে নামের আগে 'মাইকেল' যুক্ত হয়।
-
ইংরেজি কাব্য: Timothy Penpoem ছদ্মনামে তাঁর প্রথম ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ হলো 'The Captive Ladie'।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন: তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন 'পদ্মাবতী' নাটকে। তাঁর প্রথম সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কাব্যগ্রন্থ হলো 'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য'।
-
ছদ্মনাম: মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, যেমন Timothy Penpoem এবং শ্রীমধুসূদন।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী
-
কাব্য: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য), চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
প্রহসন: একেই কি বলে সভ্যতা, বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ

0
Updated: 2 days ago
'মেঘনাদ বধ' কাব্য কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 weeks ago
A
অমিত্রাক্ষর ছন্দে
B
পয়ার ছন্দে
C
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে
D
অক্ষরবৃত্ত ছন্দে
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য। এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে এবং মূলত সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ এর ক্ষুদ্র অংশের ওপর ভিত্তি করে।
কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
-
নয়টি সর্গে বিভক্ত এবং এতে মোট তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
-
সর্গসমূহ: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া।
-
কাব্যটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago