রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
A
গীতাঞ্জলি
B
পূরবী
C
শেষ লেখা
D
শেষ প্রশ্ন
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি কবি, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার ও চিত্রশিল্পী হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে। তিনি এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী, যিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তাঁর অনন্য কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’-র জন্য।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্রা
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপূট
-
সেঁজুতি
-
শেষলেখা
-
কবি-কাহিনী
-
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মে মানবতাবাদ, প্রকৃতিপ্রেম, সমাজচেতনা, প্রেম ও আত্মিক মুক্তির গভীর প্রতিফলন দেখা যায়।
-
তাঁর রচনাগুলো বাংলা ভাষাকে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদা এনে দেয়।
-
তিনি রচনা করেন আমার সোনার বাংলা, যা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
-
তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজও বিশ্বখ্যাত শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র।
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর একটি হলো ‘শেষ প্রশ্ন’, যা বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে গভীর মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ।

0
Updated: 15 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যবরণ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
১৮৬১ সালে
B
১৯৬১ সালে
C
১৯৪১ সালে
D
১৯৬০ সালে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক, যিনি বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যে অমর অবদান রেখেছেন।
তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
-
১৯১৫ সালে তিনি ইংরেজি কর্তৃক প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান, যা ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ফিরিয়ে দেন।
-
১৯৪০ সালে তাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি প্রদান করা হয়।
-
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
স্বদেশি আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ঘরে-বাইরে
B
প্রায়শ্চিত্ত
C
গোরা
D
বিষবৃক্ষ
‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাস হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চলিত ভাষায় লেখা প্রথম উপন্যাস, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে।
-
উপন্যাসটির পটভূমি: স্বদেশি আন্দোলন।
-
পাশ্চাত্য ঔপন্যাসিক স্টিভেনসনের ‘প্রিন্স অটো’ উপন্যাসের সাথে ভাবসাদৃশ্য রয়েছে।
-
স্টিভেনসনের চরিত্র সেরাফিনা, অটো ও গোনড্রেমাক যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথের বিমলা, নিখিলেশ ও সন্দীপ-এর প্রতিসম।
-
তবে স্টিভেনসনের উপস্থাপনা ব্যঙ্গাত্মক ও মিলনাত্মক, আর রবীন্দ্রনাথের কাহিনী সকরুণ ও সিরিয়াস।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
বিমলা
-
নিখিলেশ
-
সন্দীপ
অন্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
‘গোরা’ উপন্যাস: ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম ও নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিতে লেখা।
-
‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটক: রবীন্দ্রনাথের শেষ মানভূমিক নাটক, টলস্টয়ের নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ নীতি ও গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
-
‘বিষবৃক্ষ’: বঙ্কিমচন্দ্র রচিত উপন্যাস, যেখানে বিধবা বিবাহ, পুরুষের একাধিক বিবাহ, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারবোধ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

0
Updated: 2 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলো‒
Created: 3 months ago
A
পরশুরাম
B
নীললোহিত
C
ভানুসিংহ ঠাকুর
D
গাজী মিয়া
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে নানা পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি মোট নয়টি ছদ্মনামে লিখতেন, যা তাঁর লেখনীতে বৈচিত্র্য আনার এক অভিনব প্রয়াস:
-
ভানুসিংহ ঠাকুর
-
অকপটচন্দ্র ভাস্কর
-
আন্নাকালী পাকড়াশী
-
দিকশূন্য ভট্টাচার্য
-
নবীন কিশোর শর্মণঃ
-
ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ
-
বাণী বিনোদ বিদ্যাবিনোদ
-
শ্রীমতি মধ্যমা
-
শ্রীমতি কনিষ্ঠা
এদের মধ্যে “ভানুসিংহ ঠাকুর” ছদ্মনামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মাধ্যমে তিনি প্রাচীন পদাবলির ঢঙে কবিতা রচনা করেন।
✒️ অন্যান্য সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম:
রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও বাংলা সাহিত্যে অন্যান্য খ্যাতিমান লেখকরা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, যেমন:
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রাজশেখর বসু — উভয়ের ছদ্মনাম ছিল: পরশুরাম
(তবে অধিক পরিচিতভাবে রাজশেখর বসু “পরশুরাম” ছদ্মনামে ব্যঙ্গরসাত্মক রচনার জন্য বিখ্যাত।) -
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় — সাহিত্যে তাঁর ভিন্ন স্বর প্রকাশ পায় এই ছদ্মনামগুলোর মাধ্যমে:
-
নীললোহিত
-
সনাতন পাঠক
-
নীল উপাধ্যায়
-
-
মীর মোশাররফ হোসেন — বাংলা মুসলিম উপন্যাসের অন্যতম পথিকৃৎ, তাঁর ছদ্মনাম ছিল:
-
গাজী মিয়াঁ
-
📚 উপসংহার:
বাংলা সাহিত্যে ছদ্মনামের ব্যবহার কেবল লেখকের নাম গোপন রাখার কৌশল নয়, বরং এটি ছিল সৃষ্টিশীলতা, রসিকতা ও বহুস্তরীয় সাহিত্যচর্চার একটি অনন্য দিক। এই ছদ্মনামগুলো আজও পাঠকের কাছে কৌতূহল ও আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago