কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতির পুনঃপ্রবর্তন ঘটে?
A
৪র্থ সংশোধনী
B
দ্বাদশ সংশোধনী
C
ত্রয়োদশ সংশোধনী
D
ষোড়শ সংশোধনী
উত্তরের বিবরণ
দ্বাদশ সংশোধনী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯১ সালের ৬ই আগস্ট জাতীয় সংসদে এই সংশোধনী পাস হয় এবং এর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আসে।
-
দ্বাদশ সংশোধনীর মূল বিষয়বস্তু:
১. রাষ্ট্রপতি হন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান, অর্থাৎ তিনি রাষ্ট্রের প্রতীকী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২. প্রধানমন্ত্রী হন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী বা সরকার প্রধান, যিনি সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
৩. মন্ত্রিপরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকে; অর্থাৎ সরকারের জবাবদিহিতা সংসদের প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়। -
অতিরিক্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য:
১. চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।
২. ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
৩. ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৭২ এর ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 3 days ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম

0
Updated: 3 days ago
কোন এলাকাকে 'Marine Protected Area (MPA)' ঘোষণা করা হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
সেন্টমার্টিন
B
সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের এলাকা
C
পটুয়াখালী ও বরগুনা
D
হিরন পয়েন্ট
Marine Protected Area (MPA) সংক্রান্ত বিষয়টি হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও এর আশেপাশের সমুদ্রসীমাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ। এই পদক্ষেপ মূলত পরিবেশ রক্ষা ও সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
-
সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং এর আশেপাশের ১,৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া (MPA) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
-
এর আগে, ১৯৯৯ সালে ৫৯০ হেক্টর এলাকা সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যেটি তখন ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ নামে পরিচিত ছিল।
-
নতুন ঘোষণার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ৭০ মিটার গভীর সমুদ্রও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার চলাচল নিয়ন্ত্রণ, মাছ আহরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্রে বর্জ্য ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ নিক্ষেপ রোধ, প্রবাল উপনিবেশের সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা।

0
Updated: 3 days ago
বিকল্প নীতি উত্থাপন করে -
Created: 15 hours ago
A
রাষ্ট্রপতি
B
সামরিক বাহিনী
C
বিরোধী দল
D
সরকারি দল
বিকল্প নীতি উত্থাপন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিরোধী দল সরকারের নীতিমালার বিশ্লেষণ ও সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে এবং প্রয়োজন মনে করলে উন্নততর বিকল্প নীতি প্রস্তাব করে। এর মাধ্যমে তারা দেশের উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখে।
-
বিরোধী দল বিকল্প নীতি উত্থাপন করে, যা সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
-
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শক্তিশালী বিরোধী দল অত্যাবশ্যক, কারণ তারা সরকারের কার্যক্রমের উপর নজর রাখে।
-
যদি কোনো রাষ্ট্রে কার্যকর ও শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকে, তাহলে স্বৈরাচারী শাসনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
-
বিরোধী দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো সরকারি নীতিমালা যাচাই-বাছাই করা এবং তা জনগণের কল্যাণে কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা।
-
যদি কোনো নীতিমালা জনবান্ধব না হয়, তখন বিরোধী দল দেশের স্বার্থে উন্নততর বিকল্প নীতি প্রস্তাব করতে পারে।
-
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরোধী দল জনগণের কাছে তাদের অবস্থান ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়।

0
Updated: 15 hours ago