বোরো ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি?
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ধান উৎপাদন দেশের কৃষির মূল ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অধিকাংশ জমিই ধান চাষের আওতাভুক্ত, যা খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। নিচে ধান উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো—
-
বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ অংশে ধান চাষ করা হয়।
-
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, জেলাভিত্তিক উৎপাদনে ময়মনসিংহ জেলা সর্বাধিক ধান উৎপন্ন করে।
-
বিভাগীয়ভাবে ধান উৎপাদনে রংপুর বিভাগ দেশের শীর্ষে অবস্থান করছে।
-
আউশ ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা হলো কুমিল্লা।
-
আমন ধান উৎপাদনে সর্বাধিক অবদান রাখে দিনাজপুর জেলা।
-
বোরো ধান উৎপাদনে আবারও শীর্ষস্থানে রয়েছে ময়মনসিংহ জেলা।

0
Updated: 15 hours ago
ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
Created: 15 hours ago
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
C
শিল্প মন্ত্রণালয়
D
অর্থ মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের শিল্পখাতকে সুরক্ষা প্রদান ও বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে এর কার্যক্রম ও কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—
-
ট্যারিফ কমিশন প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি দপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে ২৮ জুলাই ১৯৭৩ তারিখে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
-
পরবর্তীতে, ১৯৯২ সালের নভেম্বরে, এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (আইন নং ৪৩, ১৯৯২) অনুসারে পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন নামে পুনর্গঠিত হয়।
-
বর্তমানে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থা, যা দেশের স্থানীয় শিল্পকে unfair competition বা অসম প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং তাদের যথাযথ protection and preservation নিশ্চিত করার কাজ করে।
-
সংস্থাটির পূর্ণ নাম বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট।
-
এর প্রধান একজন চেয়ারম্যান, যিনি সরকারের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা।
-
কমিশনটি মূলত তিনটি শাখায় বিভক্ত—
-
বাণিজ্য নীতিমালা (Trade Policy)
-
বাণিজ্য প্রতিকার (Trade Remedies)
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা (International Cooperation Division)
-
-
প্রতিটি শাখা একজন সদস্য (Member) দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা (Administrative Division) রয়েছে, যা কমিশনের সচিব (Secretary) দ্বারা পরিচালিত হয়।

0
Updated: 15 hours ago
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 15 hours ago
A
দলীয় সংগঠনবিহীন
B
দলীয় কর্মসূচিবিহীন
C
নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া
D
উপরের সবগুলো
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি জনসমষ্টি যারা সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে, মূলত তাদের সমজাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে।
এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা সাধারণত রাজনৈতিক দলের তুলনায় কম, এবং অভিন্ন স্বার্থের কারণে তারা একত্রিত থাকে। সাংগঠনিক দিক থেকে এগুলো রাজনৈতিক দলের তুলনায় দুর্বল হলেও, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের সুবিধার জন্য প্রভাবিত করা।
• চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর লক্ষ্য হলো সরকারি নীতি প্রভাবিত করা।
• এটি এমন জনসমষ্টি যারা সমজাতীয় স্বার্থে উদ্বুদ্ধ এবং রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে।
• সদস্য সংখ্যা রাজনৈতিক দলের তুলনায় কম এবং সদস্যরা অভিন্ন স্বার্থের কারণে ঐক্যবদ্ধ থাকে।
• সাংগঠনিক দিক থেকে রাজনৈতিক দলের তুলনায় দুর্বল।
• প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
• দলীয় সংগঠনবিহীন
• দলীয় কর্মসূচিবিহীন
• নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া
• সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা
• সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়
• সমজাতীয় মনোভাব
• বেসরকারি সংগঠন

0
Updated: 15 hours ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP) জিডিপির কত শতাংশ?
Created: 15 hours ago
A
৩.১%
B
৩.৭%
C
৪.৩%
D
৫.৮%
জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬ অর্থবছরের সামগ্রিক চিত্রটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দিকনির্দেশনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়। এই বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো একটি বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। নিচে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো—
-
বাজেটের ক্রম: এটি বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট, অন্তবর্তীকালীন বাজেটসহ এটি ৫৫তম।
-
বাজেটের শিরোনাম: ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’।
-
বাজেট উত্থাপনকারী: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেটটি উপস্থাপন করেন।
-
বাজেট উত্থাপনের তারিখ: ২ জুন, ২০২৫।
-
বাজেট অনুমোদনের তারিখ: ২২ জুন, ২০২৫।
-
বাজেট কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫।
-
জিডিপির আকার: ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদনক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
-
বাজেটের মোট আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
-
অনুদান ব্যতীত বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।
-
অনুদানসহ বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা।
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন খাত।
-
উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ: পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে, যা অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি সরকারের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ: সুদ খাতে, যা ঋণ পরিশোধের ব্যয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার, যা দেশের মানুষের গড় আয় নির্দেশ করে।
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (ADP): ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির প্রায় ৩.৭%।
-
উন্নয়ন বাজেটে মোট বরাদ্দ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা।
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার: ৬.৫%, যা মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য নির্দেশ করে।

0
Updated: 15 hours ago