বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা -
A
প্রধান বিচারপতি
B
আইনমন্ত্রী
C
আইন সচিব
D
অ্যাটর্নি জেনারেল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানে অ্যাটর্নি জেনারেল পদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের পক্ষে আদালতে আইনগত বিষয় উপস্থাপন করেন। এই পদ সংবিধানের চতুর্থ ভাগের নির্বাহী বিভাগের ৫ম পরিচ্ছেদে, অনুচ্ছেদ ৬৪-এ বর্ণিত হয়েছে। নিচে অ্যাটর্নি জেনারেল সম্পর্কিত মূল তথ্য ও তাঁর ক্ষমতা ও দায়িত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
-
বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের একজন অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন।
-
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা (Chief Legal Officer) হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে court proceedings-এ আইনগত দিক উপস্থাপন করেন।
-
রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে Attorney General পদে নিয়োগ দেন।
-
তিনি রাষ্ট্রপতির satisfaction অনুযায়ী সময় পর্যন্ত দায়িত্বে বহাল থাকেন এবং রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত remuneration বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন।
-
Attorney General রাষ্ট্রপতির কাছে written and signed resignation letter জমা দিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন।
-
তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের মতোই status and privileges ভোগের অধিকারী হন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি:
-
তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল duties and responsibilities পালন করেন।
-
তাঁর অধিকার আছে বাংলাদেশের সকল courts of law-এ বক্তব্য উপস্থাপন করার।
-
তিনি legal advisor to the Government of Bangladesh হিসেবে কাজ করেন এবং রাষ্ট্র ও সরকারের আইনগত বিষয়সমূহে পরামর্শ প্রদান করেন।

0
Updated: 15 hours ago
প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (NICAR) কত সালে গঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৮১ সালে
B
১৯৮২ সালে
C
১৯৮৩ সালে
D
১৯৮৪ সালে
NICAR হলো National Implementation Committee for Administrative Reform, যা প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি নামে পরিচিত। এটি ১৯৮২ সালে গঠিত হয় এবং গঠনের সময় তৎকালীন উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক রিয়ার এডমিরাল এম.এ. খানকে সভাপতি করা হয়। কমিটির আহবায়ক হন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আর বর্তমানে এই দায়িত্বে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৮২
-
প্রথম সভাপতি: রিয়ার এডমিরাল এম.এ. খান
-
কমিটির আহবায়ক: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
-
বর্তমান আহবায়ক: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশ সরকার কত সালে ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন’ পাস করে?
Created: 1 week ago
A
২০১০ সালে
B
২০১১ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৩ সালে
পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, প্রতিটি সন্তানকে তার মা-বাবার ভরণপোষণ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
-
বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর এই আইন পাস করে।
-
আইন অনুযায়ী, যদি কোনো মা-বাবার একাধিক সন্তান থাকে, তাহলে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভরণপোষণ নিশ্চিত করবেন।
-
এ দায়িত্ব পালন না করলে সংশ্লিষ্ট সন্তানরা শাস্তির আওতায় আসবেন।
৫ ধারার (১) অনুযায়ী শাস্তি:
-
প্রবীণ ব্যক্তি তার সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে, সন্তানদের এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
-
যদি সন্তানের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে বা নিকটাত্মীয় বৃদ্ধ মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করে, তবে তারা একই শাস্তির অধীন হবেন।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
চাপসৃষ্টিকারী 'সুজন'-এর সম্পাদক কে?
Created: 3 weeks ago
A
রেহমান সোবহান
B
বদিউল আলম মজুমদার
C
সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
D
আদিলুর রহমান খান
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে গড়ে ওঠা একটি নির্দলীয় সংগঠন হলো সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক)। এটি নাগরিক সমাজের এক স্বেচ্ছাব্রতী উদ্যোগ, যা শুরু থেকেই দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করার জন্য কাজ করছে।
-
সুজন দেশের সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংগঠন।
-
এর মূল লক্ষ্য হলো গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, রাষ্ট্রের সকল স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা।
-
সংগঠনটি পরিচালিত হয় দলনিরপেক্ষতা, একতা, সততা, স্বচ্ছতা, সমতা ও অসাম্প্রদায়িকতা নীতির ভিত্তিতে।
-
২০০২ সালের ১২ নভেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটি প্রথম আত্মপ্রকাশ করে, তখন এর নাম ছিল সিটিজেন্স ফর ফেয়ার ইলেকশন্স (সিএফই)।
-
বর্তমানে এর একটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে।
-
সুজনের সভাপতি জনাব এম হাফিজউদ্দিন খান এবং সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
প্রথমে সংগঠনটি কাজ শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করার লক্ষ্যে। তবে পরবর্তীতে এর লক্ষ্য সম্প্রসারিত হয়ে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকেই কেন্দ্র করে।
-
২০০৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
-
সুজন কোনো দাতা সংস্থার অর্থে পরিচালিত এনজিও নয়।
-
এটি একটি নির্দলীয় স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক উদ্যোগ, যা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার চেতনায় গড়ে উঠেছে।
-
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত নাগরিকদের নেতৃত্ব ও অর্থায়নে।

0
Updated: 3 weeks ago