বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কোন স্থানে সমাহিত করা হয়?
A
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
B
মৌলভীবাজার
C
যশোর
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ছিলেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এক অসাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ, যিনি তার অদম্য সাহস ও নেতৃত্বের জন্য দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
-
জন্ম: ৭ মার্চ ১৯৪৯ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা জীবন: ১৯৫৩ সালে পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়।
-
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক: ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
-
উচ্চশিক্ষা ও সেনাবাহিনীতে যোগদান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৩ অক্টোবর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সে যোগ দেন।
-
সামরিক কমিশন: ১৯৬৮ সালের ২ জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
-
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ নম্বর সেক্টরের মহোদিপুর সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন।
-
যুদ্ধ পরিচালনা: আরগরারহাট, কানসাট ও শাহপুর এলাকায় তিনি অসাধারণ বীরত্বের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করে মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ: ১২ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ চালায়।
-
শহীদ হওয়া: যুদ্ধে অপরিসীম সাহসিকতা প্রদর্শনের পর ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর স্নাইপার বুলেটে তিনি শহীদ হন।
-
সমাধি: পরদিন তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চত্বরে তাঁকে সমাহিত করেন।

0
Updated: 15 hours ago
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে কোন জেলায় সমাহিত করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
খুলনা
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
রাজশাহী
D
সিলেট
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ছিলেন একজন সাহসী নৌসেনা যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ত্যাগ ও বলিদান প্রদর্শন করেন। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য এবং বাংলাদেশের নৌ বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালে, এবং তাঁর জন্মস্থান বাঘচাপড়া, নোয়াখালী।
-
১৯৫৩ সালে তিনি নৌ বাহিনীতে জুনিয়ার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ২নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
-
সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের জন্য সকল সেক্টর থেকে প্রাক্তন নৌসেনাদের আগরতলায় আনা হয় এবং নৌ বাহিনীর প্রাথমিক কাঠামো গঠন করা হয়।
-
ভারত সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দুটি টাগবোট উপহার দেয়, যা কোলকাতার গার্ডেনরীচ নৌ ওয়ার্কশপে বাফার গান ও মাইন পড লাগিয়ে গানবোটে রূপান্তরিত করা হয়।
-
গানবোট দুটির নামকরণ করা হয় 'পদ্মা' ও 'পলাশ'।
-
মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে 'পলাশের' ইঞ্জিন রুম আর্টিফিশার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
-
তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন বীরশ্রেষ্ঠের দেহাবশেষ বাংলাদেশে এনে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
সিপাহী মোস্তফা কামাল
B
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ
C
ল্যান্স নায়েক নূর মােহাম্মদ শেখ
D
সিপাহী হামিদুর রহমান
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত বীরশ্রেষ্ঠরা
মিরপুরে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দুইজন বীরশ্রেষ্ঠকে সমাহিত করা হয়েছে। তারা হলেন:
১. বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
২. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান
-
জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩, খদ্দখালিশপুর গ্রাম, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
-
১৯৭১ সালে অল্প সময়ের জন্য আনসার বাহিনীতে কাজ করার পর, ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সেনাবাহিনীতে ১ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। অক্টোবর ১৯৭১-এর শেষ দিকে মৌলভীবাজারের ধলই সীমান্ত চৌকিতে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সহযোদ্ধাসহ আক্রমণ চালান। চৌকির ৫০ গজের মধ্যে গিয়ে সাহসী লড়াই চালিয়ে সীমান্ত চৌকি ও সংলগ্ন এলাকা মুক্ত করেন। এ সময় তিনি শহীদ হন।
-
মৃত্যুর পর তার দেহ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমবাসা গ্রামে সমাহিত করা হয়। ৩৬ বছর পর, ১১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে তাঁর দেহাবশেষ ঢাকায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনঃসমাহিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
-
শহীদ হন: ২০ আগস্ট ১৯৭১। প্রথমে পাকিস্তানের করাচির মাসরুর বিমান বেসে সমাহিত ছিলেন।
-
শাহাদতের ৩৫ বছর পর, ২৪ জুন ২০০৬ তারিখে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পাকিস্তান থেকে দেহ দেশে আনা হয় এবং মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনঃসমাহিত করা হয়।
উৎস: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 weeks ago
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের কবর কোন জেলায়?
Created: 2 months ago
A
নাটোর
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
জয়পুরহাট
D
নওগাঁ
বাংলার মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাত বীরশ্রেষ্ঠের একজন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তাঁর কবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত, যেখানে তাঁর বীরত্বগাথা চিরকাল ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করে থাকবে।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালের ৭ই মার্চ, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ১৯৫৩ সালে, পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পরে ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু দেশমাতৃকার টানে ১৯৬৭ সালের ৩ অক্টোবর তিনি ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালের ২ জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ৭ নম্বর সেক্টরের মহদীপুর সাব-সেক্টরের অধীনে অংশগ্রহণ করেন। আরগরারহাট, কানসাট ও শাহপুর অঞ্চলে তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাফল্যের সাথে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলেন।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রমণ শুরু করেন।
পরবর্তী ১৪ ডিসেম্বর সকালে, অসম সাহসিকতা প্রদর্শনকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্নাইপার গুলিতে তিনি শহীদ হন। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী, তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ এলাকায় দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago