A
হিন্দি ভাষা
B
বৈদিক ভাষা
C
উড়িয়া
D
অনার্য ভাষা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার মূল উৎস হিসেবে অনার্য ভাষাকে ধরা হয়। অনার্য ভাষা বলতে মূলত প্রাচীন পূর্বভারতীয় ভাষাগুলিকে বোঝানো হয়, যেগুলি আদি দ্রাবিড়, মুণ্ডা এবং অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত। বাংলা ভাষার গঠনে আর্য ও অনার্য ভাষার সংমিশ্রণ দেখা যায়।

0
Updated: 6 days ago
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
Created: 1 month ago
A
দুই ভাগে
B
তিন ভাগে
C
চার ভাগে
D
পাঁচ ভাগে
বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে অর্থভিত্তিক তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: যৌগিক শব্দ, রূঢ় শব্দ, এবং যোগরূঢ় শব্দ। এই শ্রেণিবিন্যাস ভাষার গভীরতা ও বৈচিত্র্য বোঝার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. যৌগিক শব্দ
যেসব শব্দে উপসর্গ, মূল শব্দ এবং প্রত্যয়ের অর্থ একত্রে মিলিয়ে পরিণত শব্দের অর্থ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
-
মূল শব্দ ও প্রত্যয়ের অর্থ মিলেই পূর্ণ শব্দের অর্থ গঠিত হয়।
উদাহরণ:
-
কর্তব্য = কৃ (করা) + তব্য (যোগ্য) → অর্থ: যা করা উচিত
-
বাবুয়ানা = বাবু + আনা → অর্থ: যিনি বাবুর মতো আচরণ করেন
২. রূঢ় বা রূঢ়ী শব্দ
যেসব শব্দ তাদের গঠন অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ না করে ভাষাচর্চায় সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো রূঢ় শব্দ নামে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
গঠন অনুযায়ী প্রত্যাশিত অর্থ নয়, বরং ব্যবহারিক বা প্রথাগত অর্থ বহন করে।
উদাহরণ:
-
সন্দেশ: প্রকৃত অর্থ ‘সংবাদ’, অথচ এখন ব্যবহৃত হয় ‘মিষ্টান্ন’ হিসেবে।
-
চিকন: মূল অর্থ ‘চকচকে’, বর্তমান ব্যবহারে বোঝায় ‘সরু’।
৩. যোগরূঢ় শব্দ
যেসব শব্দ সমাসবদ্ধ হলেও তারা মূল শব্দ বা ব্যাসবাক্যের অর্থ প্রকাশ না করে একেবারে নতুন অর্থে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বলা হয় যোগরূঢ় শব্দ।
বৈশিষ্ট্য:
-
মূল শব্দ দুটি পৃথক অর্থ প্রকাশ করলেও একত্রে নতুন ও আলাদা একটি ধারণা প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
-
জলদ = জল + দ (দাতা) → প্রকৃত অর্থ: যে জল দেয়, ব্যবহারিক অর্থ: মেঘ
-
পঙ্কজ = পঙ্ক (কাদা) + জ (জন্ম) → প্রকৃত অর্থ: যা কাদায় জন্মে, ব্যবহারিক অর্থ: পদ্মফুল
বাংলা ভাষার শব্দার্থভিত্তিক এই শ্রেণিবিন্যাস ভাষার গঠন ও ব্যবহারিক দিক অনুধাবনে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে। শব্দের উৎস, গঠন ও প্রয়োগ একত্রে বিবেচনা করলেই আমরা এর গভীরতা ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারি।
উৎস:
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কে সর্বপ্রথম বাংলা টাইপ সহযোগে বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ করেন?
Created: 1 week ago
A
স্যার উইলিয়াম জোনস্
B
স্যার উইলিয়াম ক্যারী
C
রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
D
ব্রাসি হ্যালহেড
১৭৭৮ সালে নাথানিয়াল ব্রাসি হ্যালহেড বাংলা ভাষার ব্যাকরণ A Grammer of the Bengal Language বাংলা টাইপ সহযোগে মুদ্রণ করেন।
- এ গ্রন্থেই প্রথম বাংলা হরফ মুদ্রিত হয়।
- গ্রন্থটি ইংরেজীতে রচিত হলেও এর কিছু উদাহরণে বাংলা হরফ ব্যবহার করা হয়।
- নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হ্যালহেডই প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago
ভাষার কয়টি মৌলিক অংশ থাকে?
Created: 3 weeks ago
A
২
B
৩
C
৪
D
কোনটিই নয়
ভাষা একটি সংগঠিত পদ্ধতি যা মূলত চারটি মৌলিক উপাদানে গঠিত:
১. ধ্বনি (Phonology) – শব্দের ধ্বনিগত গঠন।
২. অর্থ (Semantics) – শব্দ বা বাক্যের অর্থ।
৩. ব্যাকরণ (Grammar/Syntax) – শব্দের সঠিক বিন্যাস ও গঠন।
৪. প্রয়োগ (Pragmatics) – বাক্য বা ভাষার ব্যবহারিক দিক ও প্রাসঙ্গিকতা।
এই উপাদানগুলো মিলেই একটি ভাষাকে পূর্ণতা প্রদান করে।

0
Updated: 3 weeks ago