শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
A
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
বিশ্বভারতী
D
শান্তিনিকেতন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট ডিগ্রী এবং ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তাঁর রচিত উপন্যাস: বড় দিদি, পল্লি সমাজ, বিরাজ বৌ, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দেবদাস, গৃহদাহ, দেনাপাওনা, পথের দাবী ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago
'সাবিত্রী ও কিরণময়ী' - চরিত্র দুটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কোন উপন্যাসের?
Created: 3 weeks ago
A
বড়দিদি
B
শেষের পরিচয়
C
চরিত্রহীন
D
শ্রীকান্ত
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাস
-
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এবং প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে।
-
এটি রচিত হয়েছে প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষ সম্পর্ক নিয়ে, তাই উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে ‘চরিত্রহীন’।
-
গল্পে মোট চারটি নারী চরিত্র রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান দুটি চরিত্র: সাবিত্রী ও কিরণময়ী।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাসসমূহ
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয় প্রভৃতি
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) শরৎ রচনাবলী

0
Updated: 3 weeks ago
কত খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'জগত্তারিণী' পদক লাভ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯১৬
B
১৯২৩
C
১৯৩৩
D
১৯০৩
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে এমন একজন সাহিত্যিক যিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বিত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। ১৯০৩ সালে ভাগ্যের খোঁজে তিনি বার্মার রেঙ্গুন শহরে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট অফিসে কেরানি হিসেবে চাকরি গ্রহণ করেন।
প্রবাস জীবনেই তার সাহিত্য চর্চা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তিনি খ্যাতির শিখরে পৌঁছান। ১৯১৬ সালে কলকাতায় ফিরে এসে নিয়মিত সাহিত্য সৃষ্টি শুরু করেন।
১৯২৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অফ লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধি পান। ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শরৎচন্দ্রর উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহের মধ্যে রয়েছে:
-
বড়দিদি,
-
বিরাজ বৌ,
-
গৃহদাহ,
-
পল্লিসমাজ,
-
চরিত্রহীন,
-
পথের দাবী,
-
দেনা পাওনা।
যদিও বিভিন্ন প্রামাণিক উৎস যেমন বাংলাপিডিয়া, ড. সৌমিত্র শেখরের ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যপুস্তক এবং বাংলা একাডেমি চরিতাবিধানে জগত্তারিণী পদক লাভের সঠিক সাল ১৯২৩ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, তথাপি কিছু নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে ভুলক্রমে ১৯২০ সাল উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বই, বাংলা একাডেমি চরিতাবিধান, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বই।

0
Updated: 1 month ago
'অপর্ণা' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন গল্পের চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
মহেশ
B
মামলার ফল
C
মন্দির
D
মেজদিদি
‘মন্দির’ গল্প
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম মন্দির।
-
এই গল্পের জন্য তিনি ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
"বসুমতী" পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ’টি গল্পের মধ্যে “মন্দির” গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেছিলেন।
গল্পের বিষয়বস্তু:
-
অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করলেও দাম্পত্য জীবনে শান্তি পায়নি।
-
অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছিলেন অনেক আগে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমরনাথ
-
অপর্ণা
অন্যান্য গল্পের চরিত্রসমূহ:
-
‘মহেশ’ গল্প: গফুর, আমেনা, মহেশ (একটি ষাঁড়ের নাম), তর্করত্ন, জমিদার শিববাবু
-
‘মামলার ফল’ গল্প: দুই ভাই—শিবু ও শম্ভু
-
‘মেজদিদি’ গল্প: কেষ্টা, কাদম্বিনী, নবীন, বিপিন, হেমাঙ্গিনী
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago