'যাত্রা' উপন্যাসের উপজীব্য কী?
A
দেশভাগ
B
মুক্তিযুদ্ধ
C
ভাষা আন্দোলন
D
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
উত্তরের বিবরণ
‘যাত্রা’ হলো শওকত আলীর লেখা একটি উপন্যাস, যা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকের ঘটনা ও সময়কে কেন্দ্র করে রচিত। উপন্যাসের শুরুতে দেখা যায় মানুষ দলে দলে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এবং মাঝে মাঝে পেছন ফিরে তাকাচ্ছে। এই পলায়ন কেবল শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও প্রতিফলিত হয়।
• উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো অধ্যাপক রায়হান, যিনি মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন।
• এক সময় প্রগতিশীল রাজনীতিক রায়হান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবেন কি নেবেন না—এ সংশয় ও দ্বিধায় শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
• ‘যাত্রা’ উপন্যাসটি ১৯৭২ সালে রচিত হলেও প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে।

0
Updated: 20 hours ago
ঈশ্বরচন্দ্রকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে কোন প্রতিষ্ঠান?
Created: 2 days ago
A
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
B
সংস্কৃত কলেজ
C
হিন্দু কলেজ
D
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী। তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে পরিচিত এবং ভাষা, সাহিত্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ; ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ।
-
পদবি ও স্বাক্ষর: পৈতৃক পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়; স্বাক্ষর করতেন 'ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা' নামে।
-
উপাধি: ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
-
ভাষা ও সাহিত্য: বাংলা গদ্যের প্রবর্তক; বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
-
প্রকাশিত গ্রন্থ: প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'; বাংলা ভাষায় প্রথম মৌলিক গদ্য রচনা 'প্রভাবতী সম্ভাষণ'।
-
ব্যাকরণগ্রন্থ: 'ব্যাকরণ কৌমুদী'।

0
Updated: 2 days ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গল্পগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
আরণ্যক
B
দৃষ্টি প্রদীপ
C
ইছামতী
D
কিন্নরদল
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়ার নিকটবর্তী ঘোষপাড়া-মুরারিপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩২৮ বঙ্গাব্দের (১৯২১) মাঘ প্রবাসীতে প্রথম গল্প 'উপেক্ষিতা' প্রকাশের মাধ্যমে তার সাহিত্যিক জীবন শুরু হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে শরৎচন্দ্রের পরে বিভূতিভূষণই সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাত। তিনি হেমন্তকুমার গুপ্তের সঙ্গে যৌথভাবে দীপক (১৯৩২) পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
-
উপন্যাসসমূহ:
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিত
-
অশনি সংকেত
-
আরণ্যক
-
আদর্শ হিন্দু হোটেল
-
দেবযান
-
ইছামতী
-
দৃষ্টি প্রদীপ
-
-
গল্পগ্রন্থসমূহ:
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
-

0
Updated: 1 week ago
দ্বিজ বংশীদাস কোন কাব্যের অন্যতম কবি ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
মনসামঙ্গল
B
চণ্ডীমঙ্গল
C
পদ্মাপুরাণ
D
ক ও গ উভয়ই
দ্বিজ বংশীদাস মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যিনি মনসামঙ্গল গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি পদ্মাপুরাণ ও মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি হিসেবেও পরিচিত।
প্রধান তথ্যসমূহ—
-
জন্মগ্রহণ করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ারী গ্রামে।
-
কাব্যে ব্যবহৃত শব্দ যেমন ‘মঘ-ফিরিঙ্গি’, ‘বন্দুক-পলিতা’ ইঙ্গিত দেয় যে তিনি সম্ভবত সতেরো শতকে আবির্ভূত।
-
তিনি সংস্কৃত, পুরাণ, আগম ও তন্ত্র শাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন।
-
সুকণ্ঠ গায়ক হিসেবেও তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন।
-
বংশীদাস কবি চন্দ্রাবতীর পিতা, এবং কবি চন্দ্রাবতী রামায়ণের অনুবাদে তাঁর পিতৃপরিচয় তুলে ধরেছেন।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago