বাংলা ভাষার মূল উৎস কী?
A
হিন্দি ভাষা
B
বৈদিক ভাষা
C
উড়িয়া
D
অনার্য ভাষা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার মূল উৎস হিসেবে অনার্য ভাষাকে ধরা হয়। অনার্য ভাষা বলতে মূলত প্রাচীন পূর্বভারতীয় ভাষাগুলিকে বোঝানো হয়, যেগুলি আদি দ্রাবিড়, মুণ্ডা এবং অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত। বাংলা ভাষার গঠনে আর্য ও অনার্য ভাষার সংমিশ্রণ দেখা যায়।
0
Updated: 3 months ago
‘-অক’ প্রত্যয়ের পরিবর্তে নারীবাচক শব্দে কোন প্রত্যয় বসে?
Created: 1 month ago
A
-নী
B
-আনী
C
-ইকা
D
-মতী
নারীবাচক শব্দ গঠন:
নরবাচক শব্দকে নারীবাচক করতে সাধারণত কিছু প্রত্যয় যোগ করা হয়।
-
‘-অক’ → ‘-ইকা’:
'-অক' প্রত্যয় দিয়ে গঠিত নরবাচক শব্দকে নারীবাচক করার সময় 'অক'-এর পরিবর্তে ‘-ইকা’ বসে।-
উদাহরণ: পাঠক → পাঠিকা, লেখক → লেখিকা, গায়ক → গায়িকা
-
-
‘আনী’ প্রত্যয়:
-
উদাহরণ: ইন্দ্র → ইন্দ্রাণী, শূদ্র → শূদ্রাণী
-
-
‘নী’ প্রত্যয়:
-
উদাহরণ: দুঃখী → দুঃখিনী, শ্বেতাঙ্গ → শ্বেতালিনী
-
-
‘মতী’ প্রত্যয়:
-
উদাহরণ: আয়ুম্মান → আয়ুষ্মতী, বুদ্ধিমান → বুদ্ধিমতী
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষায় মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 month ago
A
২৫ টি
B
৩০ টি
C
৩২ টি
D
৩৭ টি
• ভাষার ক্ষুদ্রতম একককে ধ্বনি বলে।
- বাংলা ভাষায় ৩৭টি মৌলিক ধ্বনি রয়েছে।
- এই ধ্বনিগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
• মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি: [ই], [এ], [ অ্যা], [আ], [অ], [ও], উ]।
• মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি: [প], [ফ], [ব], [ভ], [থ], [দ], [ধ], [ট], [ঠ], [ড], [ঢ], [চ], [ছ], [জ], [ঝ], [ক], [খ], [গ], [ঘ], [ম], [ন], [ঙ] [স], [শ], [হ], [ল], [র], [ড়], [ঢ়]। এখানে তৃতীয় বন্ধনী দিয়ে ধ্বনি বা উচ্চারণ নির্দেশ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
শাহ মুহম্মদ সগীর কোন সুলতানের রাজত্বকালে ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
B
ইলিয়াস শাহ
C
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন নুসরত শাহ
• শাহ মুহম্মদ সগীর:
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম মুসলিম কবি। তিনি ইউসুফ-জোলেখা কাব্যের রচয়িতা। তার কর্মকাল ছিল গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের (১৩৮৯-১৪১০ খ্রিস্টাব্দ) শাসনকালে।
• ইউসুফ-জোলেখা কাব্য:
-
এটি শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত একটি কাহিনি কাব্যগ্রন্থ।
-
কাব্যটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম উদাহরণ।
-
কবি কাব্যের রাজবন্দনা অংশে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি সুলতান গিয়াসউদ্দিনের আজ্ঞাপালক সভাকবি হিসেবে কাজ করেছেন।
উক্তি (রাজবন্দনা অংশ থেকে):
"মনুষ্যের মৈদ্ধে জেহ্ন ধর্ম অবতার।
মহা নরপতি গ্যেজন পিরথিম্বীর সার।"
• অনুবাদকর্ম:
শাহ মুহম্মদ সগীর পারস্যের জামী রচিত 'ইউসুফ জুলেখা' কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেন। এটি ইউসুফ-জোলেখা ধারার আদি গ্রন্থ।
• উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাইবেল না পড়েও, কোরান ও ফেরদৌসির সূত্র থেকে তিনি কাহিনির বুনিয়াদ নেন।
-
পরবর্তীতে আরও অনেক মধ্যযুগের কবি ইউসুফ জুলেখা নামের কাব্য রচনা করেন, যেমন: আব্দুল হাকিম ও শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ।
-
তবে এ ধারার প্রথম কাব্য রচনা করেন শাহ মুহম্মদ সগীরই।
0
Updated: 1 month ago