শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
A
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
বিশ্বভারতী
D
শান্তিনিকেতন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট ডিগ্রী এবং ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তাঁর রচিত উপন্যাস: বড় দিদি, পল্লি সমাজ, বিরাজ বৌ, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দেবদাস, গৃহদাহ, দেনাপাওনা, পথের দাবী ইত্যাদি।
0
Updated: 3 months ago
শরৎচন্দ্রের কোন নায়িকা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে প্রেমিককে জেলে পাঠিয়েছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
দেবদাস' উপন্যাসের পার্বতী
B
'পল্পীসমাজ' উপন্যাসের রমা
C
'গৃহদাহ' উপন্যাসের অচলা
D
'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের রাজলক্ষ্মী
‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসে রমা ও রমেশের মধ্যে এক গভীর মানবিক এবং সামাজিক দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে। রমা, রমেশের মঙ্গলাকাঙ্খিনী এবং গোপন অনুরাগিনী হয়ে কোর্টে দাঁড়িয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, যা সমাজের নিরুপায়তা ও ব্যক্তিগত সংকটের প্রতিফলন।
• ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাস সম্পর্কিত তথ্য:
-
উপন্যাসটির রচয়িতা: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
-
প্রকাশকাল: ১৯১৬, ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ১৯১৫ সালে প্রথম প্রকাশ।
-
উপন্যাসের পটভূমি: বাংলার গ্রামীণ সমাজের নীচতা ও ক্ষুদ্র রাজনীতি।
-
মূল বিষয়: এক আদর্শবাদী যুবক ও যুবতীর সম্পর্ক এবং তাদের অভিশপ্ত প্রেমকাহিনি।
-
প্রধান চরিত্র: রমা, রমেশ, বেণী, বলরাম।
• উপন্যাসের অংশবিশেষ:
“কিন্তু আজ জ্বালা করা তো দূরের কথা, কোথাও সে একবিন্দু উত্তাপের অস্তিত্বও অনুভব করিল না। মনে মনে একটু হাসিয়া তাহাকে উদ্দেশ করিয়া কহিল, তোমার হাত দিয়ে ভগবান আমাকে এমন সার্থক করে তুলবেন, তোমার বিষ আমার অদৃষ্টে এমন অমৃত হয়ে উঠবে, এ যদি তুমি জানতে রমা, বোধ করি কখনও আমাকে জেলে দিতে চাইতে না।”
0
Updated: 2 weeks ago
"যেটা খারাপ তাকে মেরামত করে, সংস্কার করে আবার দাঁড় করানো উচিত নয়" – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই চিন্তার জোরালো প্রতিফলন ঘটে কোন উপন্যাসে?
Created: 2 weeks ago
A
গৃহদাহ
B
চরিত্রহীণ
C
শেষ প্রশ্ন
D
পথের দাবী
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উক্তি “যেটা খারাপ তাকে মেরামত করে, সংস্কার করে আবার দাঁড় করানো উচিত নয়” তাঁর ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের মূল ভাবনার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই উপন্যাসে তিনি বিবাহ ও পারিবারিক জীবনের ত্রুটিপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দেখিয়েছেন যে, ভাঙা সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা সমাজ ও ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
উপন্যাসে অচলা, সুরেশ ও মহিমের সম্পর্ক এই ধারণার বাস্তব প্রতিফলন। অচলা ও মহিমের সম্পর্ক পুনর্গঠনের ব্যর্থ চেষ্টা এবং তার পরিণতি লেখকের উক্তির সত্যতা প্রকাশ করে। শরৎচন্দ্র এই কাহিনির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, একটি অসুস্থ সম্পর্ককে জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা মানে আরও বড় ক্ষতির দিকে ধাবিত হওয়া।
0
Updated: 2 weeks ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য সম্পর্কে কোনটি তাৎপর্যপূর্ণ বর্ণনা?
Created: 2 weeks ago
A
তাঁর রচনায় তৎসম শব্দের ব্যবহার নগণ্য
B
'শ্রীকান্ত' তাঁরা আত্মজীবনী
C
বর্ণ-বিভাজন তিনি মোটেই মান্য করেননি
D
তাঁর উপন্যাসে প্লটের তুলনায় চরিত্রের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় কাহিনির তুলনায় চরিত্রচিত্রণের গভীরতা ও প্রাণবন্ততা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তাঁর উপন্যাসে মানুষের মানসিক জটিলতা, আবেগ এবং সমাজবাস্তবতার চিত্র এমনভাবে ফুটে ওঠে যে প্লট অপেক্ষা চরিত্রই বেশি প্রাধান্য পায়।
-
আত্মজীবনী হলো লেখকের নিজের লেখা নিজের জীবনের বিবরণ, যা হতে পারে চিঠি, ডায়েরি, স্মৃতিকথা বা পূর্ণাঙ্গ বই আকারে।
-
আত্মজৈবনিক শব্দটি বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে “জীবন-সম্পর্কিত”, অর্থাৎ লেখক নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যরূপে প্রকাশ করেন।
-
শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি আত্মজৈবনিক ধাঁচে রচিত, যার চারটি খণ্ডে লেখকের জীবনদর্শন ও অভিজ্ঞতার ছায়া দেখা যায়।
-
উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো শ্রীকান্ত, অভয়া, ইন্দ্রনাথ, অন্নদাদিদি এবং রাজলক্ষ্মী (পিয়ারী)।
-
শরৎচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাস যেমন ‘চরিত্রহীন’, ‘পথের দাবী’, ‘পল্লিসমাজ’— এগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তিনি বহু চরিত্রের জীবনের মাধ্যমে সমাজ ও মানবজীবনের গভীর দিকগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন, ফলে কাহিনি বা প্লট তুলনামূলকভাবে গৌণ হয়ে গেছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো— ঘ) তাঁর উপন্যাসে প্লটের তুলনায় চরিত্রের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়।
0
Updated: 2 weeks ago