অটোয়া চুক্তি বা স্থলমাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (Mine Ban Treaty)-এর মূল লক্ষ্য হলো অ্যান্টি-পারসোনেল ল্যান্ডমাইন বা স্থলমাইনের ব্যবহার, উৎপাদন, সংরক্ষণ ও পরিবহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা। এটি ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং ১ মার্চ, ১৯৯৯ সালে কার্যকর হয়। চুক্তির মাধ্যমে সদস্যদেশগুলো স্থলমাইন অপসারণ, আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে মোট ১৬৪টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ৭ মে, ১৯৯৮ সালে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন প্রদান করে। এই চুক্তি যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• অটোয়া চুক্তি গৃহীত হয় কানাডার অটোয়া শহরে, তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে “Ottawa Treaty”।
• চুক্তির আনুষ্ঠানিক নাম হলো “Convention on the Prohibition of the Use, Stockpiling, Production and Transfer of Anti-Personnel Mines and on Their Destruction.”
• এই চুক্তি অনুসারে সদস্যদেশগুলো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিজেদের মজুদকৃত স্থলমাইন ধ্বংস করতে বাধ্য।
• চুক্তির মাধ্যমে স্থলমাইন অপসারণ কার্যক্রম তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অর্থায়নের কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
• অটোয়া চুক্তির ফলেই বিশ্বব্যাপী স্থলমাইন ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
• চুক্তি বাস্তবায়নে International Campaign to Ban Landmines (ICBL) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা ১৯৯৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে।
• এই চুক্তি মানবিক নিরাপত্তা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।