২০২৫ সালের কপ-৩০ সম্মেলনটি আয়োজন করবে কোন দেশ?
A
কাতার
B
আজারবাইজান
C
ব্রাজিল
D
কানাডা
উত্তরের বিবরণ
জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP) বা Conference of the Parties হলো জাতিসংঘের আওতায় আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বৈঠক, যার উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এটি ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (UNFCCC)-এর অধীনে গঠিত হয়। এই সম্মেলন প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রথম COP সম্মেলন ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। COP-২৯ আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ২০২৫ সালের COP-৩০ আয়োজন করবে ব্রাজিল।
• COP সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বনেতারা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হন।
• ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত COP-৩-এ গৃহীত হয় ঐতিহাসিক কিয়োটো প্রটোকল, যা শিল্পোন্নত দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বাধ্যবাধকতা দেয়।
• COP-২১ (২০১৫)-এ গৃহীত প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চুক্তি হিসেবে বিবেচিত, যার লক্ষ্য বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমিত রাখা।
• প্রতিটি COP বৈঠকে সদস্যদেশগুলো জলবায়ু নীতি, অর্থায়ন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং অভিযোজন কৌশল নিয়ে আলোচনা করে।
• জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়ার ঘটনা ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি রোধে এই সম্মেলনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• COP সম্মেলনের মাধ্যমে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে “Climate Finance” বা জলবায়ু তহবিলের কাঠামো নির্ধারণ করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অভিযোজনমূলক সহায়তা প্রদান করে।

0
Updated: 21 hours ago
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাত সমাধানের জন্য সম্প্রতি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 3 weeks ago
A
জেনেভা
B
প্যারিস
C
নিউইয়র্ক
D
লন্ডন
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। এই সম্মেলনটি মূলত স্থগিত থাকার পর নতুন তারিখে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
-
তারিখ: সম্মেলনটি আগামী ২৮-২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
-
পূর্বনির্ধারিত তারিখ: মূলত ১৭-২০ মে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে স্থগিত করা হয়।
-
স্থান: জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নিউইয়র্ক।
-
আয়োজক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আহ্বানে আয়োজন করা হয়েছে।
-
উদ্দেশ্য: জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেবে।
-
ফিলিস্তিনের অবস্থান: জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
জাতিসংঘে মর্যাদা: ফিলিস্তিনের বর্তমানে পর্যবেক্ষক মর্যাদা রয়েছে, তবে পূর্ণ সদস্যপদ এখনো নেই।

0
Updated: 3 weeks ago
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 3 months ago
A
হারারে, ১৯৮৯ সালে
B
বেলগ্রেডে, ১৯৬১ সালে
C
হাভানা, ১৯৭৩ সালে
D
কায়রো, ১৯৭০ সালে
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM) পরিচিতি
পূর্ণরূপ: Non-Aligned Movement (NAM)
প্রতিষ্ঠা: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
সদস্য সংখ্যা: বর্তমানে ১২১টি দেশ
বর্তমান চেয়ারম্যান: উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইওয়েরি মুসেভেনি (মেয়াদ: ২০২৪-২০২৭)
ধরন: এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর স্বার্থ, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষ অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে।
পটভূমি ও সৃষ্টি:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন বিশ্ব দুইটি শক্তিশালী জোটে বিভক্ত হয় — একদিকে পুঁজিবাদী ন্যাটো, অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক ওয়ারশ প্যাক, তখন কিছু রাষ্ট্র এসব সামরিক জোট থেকে নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
-
এ প্রেক্ষাপটেই জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের জন্ম।
সূচনা ও পথচলা:
-
১৮-২৪ এপ্রিল, ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে এশিয়া ও আফ্রিকার ২৯টি দেশের অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক ‘বান্দুং সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ সামরিক জোটে জড়িত না হয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের নীতি গ্রহণ করেন।
-
এরপর ১৯৬১ সালের ১-৬ সেপ্টেম্বর সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রথম NAM শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২৫টি দেশ অংশ নেয়।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
১৯৭৩ সালে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ NAM-এর ৪র্থ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়, যা আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
-
এটি ছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সাম্প্রতিক সম্মেলন:
-
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায়।
তথ্যসূত্র: NAM অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 months ago
'Loss and Damage Fund' চালু প্রস্তাব গৃহীত হয় কোন COP সম্মেলনে?
Created: 1 week ago
A
COP-25
B
COP-26
C
COP-27
D
COP-28
Loss and Damage Fund হলো একটি আন্তর্জাতিক তহবিল যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতির আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এই তহবিলের প্রস্তাব গৃহীত হয় ২৭তম জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন (COP-27)-এ।
মূল তথ্যসমূহ:
-
এই তহবিলের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
-
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো সবচেয়ে বেশি দায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য।
-
২০০৯ সালে উন্নত দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
-
Loss and Damage Fund-এর চূড়ান্ত চুক্তি ২০২২ সালে মিশরের শার্ম এল-শেখে COP-27 শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত হয়।
-
তহবিলের লক্ষ্য হলো উন্নয়নশীল ও দুর্বল দেশগুলোকে জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

0
Updated: 1 week ago