নিউ স্টার্ট চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কে স্বাক্ষর করেন?
A
জো বাইডেন
B
বারাক ওবামা
C
বিল ক্লিনটন
D
জর্জ ডব্লিউ বুশ
উত্তরের বিবরণ
New START বা New Strategic Arms Reduction Treaty হলো যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস সংক্রান্ত চুক্তি। ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর START-I চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন এবং রাশিয়ার পুতিন সরকার নতুন নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। পরবর্তীতে দুই দেশ ৮ এপ্রিল, ২০১০ সালে চেক রিপাবলিকের প্রাগ শহরে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। এটি ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে কার্যকর হয়। চুক্তির প্রাথমিক মেয়াদ ছিল ১০ বছর, যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল ছিল। তবে ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
• New START চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা হ্রাস করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
• চুক্তি অনুসারে উভয় দেশ তাদের স্থাপিত কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড সংখ্যা ১,৫৫০টির মধ্যে সীমিত রাখতে সম্মত হয়।
• উভয় দেশের স্থাপিত পারমাণবিক মিসাইল ও বোমারু বিমান ৭০০টির বেশি না রাখার বিধানও চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
• চুক্তিতে পরিদর্শন, তথ্য বিনিময় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া যুক্ত ছিল, যাতে উভয় পক্ষের অস্ত্র হ্রাস কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
• এটি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ঠান্ডা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে সহযোগিতার একটি মাইলফলক সৃষ্টি করেছিল।
• চুক্তি স্থগিতের পর বৈশ্বিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায় পড়েছে এবং নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
কোন চুক্তিতে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
ন্যাটো (NATO)
B
সিটিবিটি (CTBT)
C
এনপিটি (NPT)
D
সল্ট (SALT)
CTBT (Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty) একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সামরিক ও বেসামরিক সকল প্রকার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
এই চুক্তিটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এবং স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬। এ পর্যন্ত ১৮৭টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং ১৭৮টি দেশ তা অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ এই চুক্তিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে। বাংলাদেশ ২৪ অক্টোবর, ১৯৯৬ সালে CTBT-তে স্বাক্ষর করে এবং ৮ মার্চ, ২০০০ সালে ৫৪তম দেশ হিসেবে এর অনুমোদন প্রদান করে। স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশ ছিল ১২৯তম দেশ।
CTBTO (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty Organization) হলো সেই সংস্থা যা CTBT বাস্তবায়ন তদারকি করে। এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। CTBTO-এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়।
অন্যদিকে, ১৯৬৩ সালের ৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মস্কোতে স্বাক্ষরিত হয় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি, যার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল, মহাকাশ ও পানির নিচে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংস্থা:
-
NPT (Non-Proliferation of Nuclear Weapons): পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।
-
NATO (North Atlantic Treaty Organization): উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট।
-
SALT (Strategic Arms Limitation Talks): যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্র সীমিত করার আলোচনাপ্রক্রিয়া।
তথ্যসূত্র: Arms Control Association।

0
Updated: 2 months ago
’প্যাক্ট অব প্যারিস’ চুক্তির উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করা
B
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা
C
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করা
D
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ করণ
Pact of Paris বা Kellogg–Briand Pact হলো একটি আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি, যা রাষ্ট্রগুলোকে যুদ্ধকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে পরিত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে পরিচালিত করে।
-
চুক্তির মূল লক্ষ্য:
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা
-
সমস্যা সমাধান শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিশ্চিত করা
-
বিশ্বজুড়ে নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা
-
-
চুক্তির নাম: Pact of Paris / Kellogg–Briand Pact
-
স্বাক্ষরের তারিখ: ২৭ আগস্ট, ১৯২৮
-
কার্যকর হয়েছে: ২৪ জুলাই, ১৯২৯
-
মূল উদ্যোক্তা: Frank B. Kellogg (যুক্তরাষ্ট্র) ও Aristide Briand (ফ্রান্স)
-
স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের সংখ্যা: শুরুতে ১৫টি, পরে বেড়ে ৬২টি
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
জেনেভা কনভেনশনের কোন চুক্তিটির বিষয়বস্তু ‘যুদ্ধ-বন্দিদের প্রতি আচরণ সংক্রান্ত বিধানাবলি নির্দেশ করে?
Created: 2 weeks ago
A
দ্বিতীয় চুক্তি
B
তৃতীয় চুক্তি
C
চতুর্থ চুক্তি
D
প্রথম চুক্তি
জেনেভা কনভেনশন ১৯৪৯ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সৈন্য এবং বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গঠিত। এই কনভেনশনের আওতায় মোট চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
-
প্রথম জেনেভা কনভেনশন চুক্তি: যুদ্ধকালীন সময়ে ভূমি বা স্থল যুদ্ধে আহত ও অসুস্থ সৈন্যদের প্রতি আচরণ ও সুরক্ষা সংক্রান্ত।
-
দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন চুক্তি: সমুদ্র বা জলের যুদ্ধে আহত, অসুস্থ এবং জাহাজডুবির শিকার সৈন্যদের প্রতি আচরণ ও সুরক্ষা সংক্রান্ত। এটি ১৯০৭ সালের "হেগ চুক্তি" সংশোধন করে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
-
তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন চুক্তি: যুদ্ধ-বন্দিদের প্রতি আচরণ সংক্রান্ত।
-
চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন চুক্তি: যুদ্ধক্ষেত্র বা অবরুদ্ধ অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা সংক্রান্ত।

0
Updated: 2 weeks ago