কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত সান্ধ্য দৈনিক পত্রিকা কোনটি?
A
লাঙ্গল
B
নবযুগ
C
ধূমকেতু
D
কল্লোল
উত্তরের বিবরণ
আসছে
0
Updated: 3 months ago
'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের সংকলিত কবিতা নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রলয়োল্লাস
B
ধূমকেতু
C
বিদ্রোহী
D
অগ্রপথিক
বাখ্যা:
-
‘অগ্নিবীণা’ হলো কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
এই কাব্যের জনপ্রিয় কবিতা হলো ‘বিদ্রোহী’, যার জন্য তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে খ্যাত হন।
-
কাব্যগ্রন্থটির প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস।
-
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে।
কাব্যের কবিতাসমূহ (মোট ১২টি):
১. প্রলয়োল্লাস
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বর-ধারিণী মা
৪. আগমণী
৫. ধূমকেতু
৬. কামাল পাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মহররম
-
অন্যদিকে, ‘অগ্রপথিক’ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের ‘জিঞ্জির’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
কাজী নজরুল ইসলাম:
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), চুরুলিয়া, বর্ধমান।
-
ডাক নাম: ‘দুখু মিয়া’।
-
বাংলা সাহিত্যে খ্যাত: ‘বিদ্রোহী কবি’।
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে পরিচিত: ‘বুলবুল’।
সুতরাং, অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী ও বিপ্লবী সাহিত্যিক প্রতিভা প্রকাশ পায়।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন কবে?
Created: 1 month ago
A
২৪ মে, ১৮৯৯
B
২৩ মে, ১৯০৯
C
২৪ মে, ১৮৯৭
D
২২ মে, ১৮৯৯
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), চুরুলিয়া গ্রাম, বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ।
-
কাজী নজরুল ইসলাম মোট ১৩ বার ঢাকায় আসেন, প্রথমবার আসেন ১৯২৬ সালে।
-
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫ বার উপস্থিত ছিলেন।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত থেকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়।
-
১৯৭৪ সালের ৯ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে তাকে ডি. লিট উপাধি প্রদান করা হয়।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
-
মৃত্যু: ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (বাংলা ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ), ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
-
সমাহিত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের কোন গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত হয়নি?
Created: 1 month ago
A
অগ্নিবীণা
B
বিষের বাঁশি
C
ভাঙার গান
D
চন্দ্রবিন্দু
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের মধ্যে বেশ কিছু গ্রন্থ ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে কিছু গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ করা হলেও শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়নি। নিচে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
-
যুগবাণী: এটি ছিল প্রবন্ধ গ্রন্থ এবং নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ বই। 'নবযুগ' পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি নিবন্ধ একত্র করে এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২৩ নভেম্বর ১৯২২ সালে ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারায় ব্রিটিশ সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করে (গেজেট নং ১৬৬৬১পি)। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বইটিকে ভয়ংকর বলে আখ্যা দেওয়া হয়, কারণ এতে উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ১৯৪৭ সালে।
-
বিষের বাঁশি: এটি একটি কবিতাগ্রন্থ। ২২ অক্টোবর ১৯২৪ সালে (মতান্তরে ২৪ অক্টোবর) গেজেট ঘোষণায় (গেজেট নং ১০৭২পি) বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয় ২৭ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে।
-
ভাঙার গান: আরেকটি কবিতাগ্রন্থ, যা ১১ নভেম্বর ১৯২৪ সালে নিষিদ্ধ করা হয়।
-
প্রলয়শিখা: ১৯৩০ সালের আগস্টে প্রকাশিত এই কবিতাগ্রন্থটি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ সালে নিষিদ্ধ করা হয় (গেজেট নং ১৪০৮৭পি)। এতে থাকা ‘যতীন দাশ’, ‘পূজা অভিনয়’, ‘হবে জয়’, ‘জাগরণ’, ‘নব ভারতের হলদিঘাট’ প্রভৃতি কবিতাকে রাজদ্রোহমূলক আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
-
চন্দ্রবিন্দু: এটি একটি গানের সংকলন বা গীতিগ্রন্থ। ১৪ অক্টোবর ১৯৩১ সালে এটি নিষিদ্ধ হয় (গেজেট নং ১৭৬২৫)।
এছাড়া নজরুলের আরও কিছু গ্রন্থ যেমন অগ্নিবীণা, সঞ্চিতা, ফণিমনসা, সর্বহারা, রুদ্রমঙ্গল বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে অগ্নিবীণা গ্রন্থের কিছু অংশ বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত কবিতা সেন্সরের শিকার হয়েছিল।
বিশেষত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের রাজনৈতিক কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ করে এবং কবিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ১৯২২ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ নিষিদ্ধ হয়েছিল—যুগবাণী, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, প্রলয়শিখা ও চন্দ্রবিন্দু। এর মধ্যে প্রথম নিষিদ্ধ বই ছিল যুগবাণী এবং সর্বশেষ নিষিদ্ধ গ্রন্থ ছিল চন্দ্রবিন্দু।
0
Updated: 1 month ago