A
কর্তায় শূন্য
B
করণে শূন্য
C
অপাদানে শূন্য
D
অধিকরণে শূন্য
উত্তরের বিবরণ
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে (স্থান) অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কোথায়/কখন/কিসে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক। যেমন: বাবা বাড়ি নেই।

0
Updated: 1 week ago
বাক্যের অন্তর্গত শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 4 days ago
A
সন্ধি
B
পদ
C
কাল
D
কারক
উত্তর: ঘ) কারক
সহজ ব্যাখ্যা:
বাংলা ব্যাকরণে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সেটি কারক নামে পরিচিত।
কারকের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কাজটি করছে, কার উপর কাজটি হচ্ছে, কোথায় কাজটি ঘটছে ইত্যাদি।
উদাহরণ:
রানা বই পড়ে।
→ রানা = কর্তৃকারক (যে পড়ছে)
→ বই = কর্মকারক (যাকে পড়া হচ্ছে)
এই শব্দদুটো ক্রিয়ার (পড়ে) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে কারকের মাধ্যমে।
বাংলা ভাষায় মোট ৬টি কারক রয়েছে:
-
কর্তৃকারক (যে কাজ করে)
-
কর্মকারক (যার উপর কাজ হয়)
-
করণকারক (যার মাধ্যমে কাজ হয়)
-
সম্প্রদান কারক (যার জন্য কিছু দেওয়া হয়)
-
অপাদান কারক (যেখান থেকে কিছু দূরে যায়)
-
অধিকরণ কারক (যেখানে কাজ ঘটে)
তাই বাক্যে শব্দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ‘কারক’ সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
অন্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক) সন্ধি:
দুইটি শব্দ জোড়া লাগলে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়, তাকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
→ এটি শব্দগঠন নিয়ে কাজ করে, বাক্যের শব্দের সম্পর্ক নয়।
খ) পদ:
যখন কোনও শব্দে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন: 'মানুষটি', 'বইয়ে'।
→ এটি শব্দের শ্রেণি নির্ধারণ করে, কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক নয়।
গ) কাল:
কাল হলো কাজটি কখন হয়েছে—বর্তমানে, অতীতে না ভবিষ্যতে।
→ এটি ক্রিয়ার সময় বোঝায়, শব্দের সম্পর্ক নয়।
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক উত্তর হলো ঘ) কারক।

0
Updated: 4 days ago
'দিব তোমা শ্রদ্ধা ভক্তি।' - বাক্যে 'তোমা' কোন কারক?
Created: 2 months ago
A
কর্ম
B
কর্তা
C
অধিকরণ
D
সম্প্রদান
সম্প্রদান কারক
যাকে কোনো কিছু দান বা সাহায্য করার জন্য স্বত্ব পরিত্যাগ করে কিছু দেওয়া হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়। দানের সঙ্গে সম্প্রদানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে কোনো কিছু দেওয়া হলেও যদি তা পরে ফেরত নেওয়া হয়, তাহলে সেটি আর সম্প্রদান কারক হয় না।
উদাহরণ:
-
সৎপাত্রে কন্যা দান কর।
-
সমিতিতে চাঁদা দাও।
-
অন্ধজনে দেহ আলো।
-
দিব তোমা শ্রদ্ধা ভক্তি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ আছে কোন বাক্যটিতে?
Created: 1 week ago
A
ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
B
কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
C
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
D
আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস
• অধিকরণ কারক:
- ক্রিয়ার আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক। আধার বলতে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হওয়ার স্থান, কাল ও ভাবকে বােঝায়।
- অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
- বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোনাে বিষয় বােঝাতে অধিকরণ কারক হয়।
• অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন:
- আধার (স্থান) : আমরা প্রতিদিন কলেজে যাই।
- কাল (সময়): সকালে সূর্য উঠবে।
প্রশ্নে প্রদত্ত,
''আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস'' এই বাক্যে ''আকাশে'' শব্দ দ্বারা স্থানকে বুঝিয়েছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি (এ) আছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।
আবার,
- বাক্যের ক্রিয়াকে কোথায় দ্বারা প্রশ্ন করলেও ‘আকাশে’ উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘আকাশ’ শব্দটি এ বিভক্তিযোগে অধিকরণে সপ্তমী কারক।
অন্যদিকে,
• 'ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা'- এখানে 'ফুলের' সম্বন্ধ কারকের উদাহরণ।
• কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়।- কাজের পরিচয় কী দ্বারা বোঝা যায় ফল দ্বারা। সুতরাং ‘ফলে’ করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

0
Updated: 1 week ago