'বাবা বাড়ি নেই' বাক্যটিতে 'বাড়ি' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
A
কর্তায় শূন্য
B
করণে শূন্য
C
অপাদানে শূন্য
D
অধিকরণে শূন্য
উত্তরের বিবরণ
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে (স্থান) অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কোথায়/কখন/কিসে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক। যেমন: বাবা বাড়ি নেই।
0
Updated: 3 months ago
সৎপাত্রে কন্যা দান কর। - নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
Created: 2 months ago
A
কর্ম
B
করণ
C
অপাদান
D
সম্প্রদান
সম্প্রদান কারক:
-
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কে কোনো কিছু দান বা সাহায্য করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়।
-
দানের সঙ্গে সম্প্রদানের একটি সম্পর্ক থাকে। তবে যদি কোনাে কিছু দিয়ে আবার ফেরত নেওয়া হয়, তাহলে তা সম্প্রদান কারক হবে না।
উদাহরণ:
-
ভিখারীকে ভিক্ষা দাও।
-
সৎপাত্রে কন্যা দান কর।
-
সমিতিতে চাঁদা দাও।
-
অন্ধজনে দেহ আলো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 2 months ago
'অধ্যয়নে বিরত হতে নেই।' এখানে 'অধ্যয়নে' কোন কারক?
Created: 3 weeks ago
A
করণ কারক
B
অধিকরণ কারক
C
কর্মকারক
D
অপাদান কারক
অপাদান কারক
সংজ্ঞা:
-
কোনো কিছুর উৎপত্তি, বিচ্যুতি, জাত, গ্রহণ, আরম্ভ, দূরীকরণ বা রক্ষার উৎসকে অপাদান কারক বলা হয়।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদকে “কোথা থেকে?”, “কি থেকে?”, “কিসের থেকে?” ইত্যাদি প্রশ্ন করলে যে কারক পাওয়া যায়, তা অপাদান কারক।
উদাহরণ:
-
বাক্য: ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে।
-
ব্যাখ্যা: রেলগাড়িটি স্টেশন থেকে বিচ্যুত হয়েছে। কোনো বিভক্তি যুক্ত নেই। তাই 'স্টেশন' শব্দটি শূন্য বিভক্তিতে অপাদান কারক।
-
-
বাক্য: অধ্যয়নে বিরত হতে নেই।
-
ব্যাখ্যা: “কি/কিসের থেকে বিরত হতে নেই?” প্রশ্ন করলে উত্তর ‘অধ্যয়নে’ পাওয়া যায়। তাই 'অধ্যয়নে' সপ্তমী বিভক্তিতে অপাদান কারক।
-
0
Updated: 3 weeks ago
বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
বিভক্তি
B
কারক
C
প্রত্যয়
D
অনুসর্গ
কারক, বিভক্তি, প্রত্যয় ও অনুসর্গ
কারক:
কারক হলো বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ক। সহজভাবে বলতে গেলে, কোনো বাক্যে ক্রিয়া (যেমন: খাওয়া, যাওয়া) ও নামপদ (বিশেষ্য বা সর্বনাম) যেভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, সেই সম্পর্ককে কারক বলা হয়।
-
কারক বোঝাতে সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে বিভক্তি বা অনুসর্গ যুক্ত হয়।
-
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২১ সংস্করণ) অনুযায়ী, কারকের ছয়টি ধরন রয়েছে:
-
কর্তা কারক
-
কর্ম কারক
-
করণ কারক
-
অপাদান কারক
-
অধিকরণ কারক
-
সম্বন্ধ কারক
-
২. বিভক্তি:
বিভক্তি হলো সেই বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন যা বাক্যের এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নামপদকে বাক্যে ক্রিয়ার সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. প্রত্যয়:
প্রত্যয় হলো ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত অর্থহীন অংশ, যা দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়। উদাহরণ: “খেলা + ওয়া = খেলাওয়া”।
৪. অনুসর্গ:
অনুসর্গ হলো এমন অব্যয় শব্দ, যা কখনো স্বাধীনভাবে, আবার কখনো নামপদ বা ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে। অন্য কথায়, এটি বাক্যের অর্থ নিখুঁত করতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago