বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দীন আহমেদ
D
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ “প্রথম” এবং মুজিব নগর সরকারের তথ্যগুলো নিম্নরূপ তুলে ধরা যায়। এই তথ্যগুলো বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংক্রান্ত, সামরিক ও সামাজিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
• বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।
• বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা প্রথম বাংলাদেশি ছিলেন মুসা ইব্রাহিম (২৩ মে ২০১০)।
• প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে আরোহণ করেছেন নিশাত মজুমদার।
• দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।
• প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক নিউজ এজেন্সি ছিল বিডিনিউজ।
• প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
• প্রথম এটিএম কার্ড চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
• দেশের প্রথম আদম শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে।
মুজিব নগর সরকার সম্পর্কিত তথ্য:
• গঠিত হয়: ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
• শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
• সদর দপ্তর: ৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
• সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য গঠন করা হয় ৮ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল।
• মোট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ: ১২টি মন্ত্রণালয় এবং ৩টি বিভাগ।
• শপথ পাঠ করান: অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
মুজিব নগর সরকারের প্রধান ব্যক্তিবর্গ:
• প্রথম রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
• উপ-রাষ্ট্রপতি ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
• প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ।
• পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
• অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়: এম. মনসুর আলী।
• স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
• মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি: এম.এ.জি ওসমানী।
• চিফ অব স্টাফ: কর্নেল আবদুর রব।

0
Updated: 8 hours ago
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা কতটি?
Created: 1 month ago
A
১৭টি
B
২০টি
C
৬৪টি
D
১৯টি
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা
-
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় পূর্ব বাংলার মোট ১৭টি জেলা ছিল।
-
দেশভাগের আগে পূর্ব বাংলায় ১৫টি জেলা ছিল।
-
১৯৪৭ সালে নদীয়া জেলার কিছু অংশসহ বৃহত্তর কুষ্টিয়াকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে জেলার সংখ্যা হয়ে যায় ১৬টি।
-
পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট পাকিস্তানে যোগদান করলে জেলা সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭টি।
-
পাকিস্তান শাসনাধীন সময় ১৯৬৯ সালে ঢাকা জেলা থেকে টাঙ্গাইল এবং বরিশাল জেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সৃষ্টি হয়। তখন স্বাধীনতার পূর্বে বৃহত্তর জেলার সংখ্যা হয় ১৯টি।
-
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ও বৃহত্তর জেলা ছিল ১৯টি।
-
পরে ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলা গঠন করা হয়, যাতে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়।
এই প্রশ্নের ক্ষেত্রে যেহেতু “বাংলাদেশ” উল্লেখ আছে, তাই স্বাধীনতার সময়ের জেলা সংখ্যা ১৯টি ধরা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি), জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি বিচার বিভাগের কাজ নয়?
Created: 2 days ago
A
আইনের প্রয়োগ
B
আইনের ব্যাখ্যা
C
সংবিধানের ব্যাখ্যা
D
সংবিধান প্রণয়ন
বিচার বিভাগ দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু মামলার নিষ্পত্তি নয় বরং আইন, শাসন ও সংবিধানের রক্ষা নিশ্চিত করে।
এটি দেশের সমস্ত বিচারকের দ্বারা গঠিত এবং দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপ:
বিচার সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।
-
এটি ব্যক্তির, রাষ্ট্রের এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ সমাধান করে।
আইন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং প্রয়োজনে নিজের মতামতও প্রতিফলিত করে।
-
এই ব্যাখ্যাগুলো পরবর্তীতে উদাহরণ (precedent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাসন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ শুধু মামলার নিষ্পত্তি করে না, শাসন সংক্রান্ত কাজও করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, নাবালকের সম্পত্তি তদারকি করা বা বিদেশী নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা।
পরামর্শ প্রদান
-
শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ প্রায়ই বিচার বিভাগের পরামর্শের উপর নির্ভর করে।
-
বিচার বিভাগ এখানে জ্ঞানসমৃদ্ধ পরামর্শ বা উপদেশ (advice) প্রদান করে।
জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা
-
বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করে।
-
শাসন বিভাগের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে এটি একমাত্র প্রতিরক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা (injunction) জারি করে।
তদন্ত সংক্রান্ত কাজ
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার জনগণের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে বাধ্য।
-
অন্যায়, জোর-জবরদস্তি, অপরাধ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ তদন্ত পরিচালনা করে এবং আইন শাসন নিশ্চিত করে।
সংবিধান সংরক্ষণ
-
বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষক (guardian of the constitution)।
-
সংবিধান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিবাদ সমাধান করে এবং সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করে।
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা
-
ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগের একটি মূল কাজ।
-
এটি মামলা পরিচালনা করে নথি পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং অপরাধীর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্ববৃহৎ কারখানা কোথায়?
Created: 1 month ago
A
চট্টগ্রাম
B
পাকশি
C
সৈয়দপুর
D
আখাউড়া
দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা
বাংলাদেশ রেলপথ, যা সরকারি মালিকানাধীন ও সরকার পরিচালিত, দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা, সৈয়দপুরে দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানার অবস্থান। এজন্য সৈয়দপুরকে প্রায়শই রেলওয়ে শহর বলা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি ১৮৭০ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে স্থাপিত হয়। এই কারখানার কারণে সৈয়দপুর শহরের বিকাশ ও গোড়াপত্তন মূলত ঘটে। কারখানাটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়।
কারখানার কাজের মধ্যে রয়েছে নাট-বল্টু প্রস্তুতি, রেলওয়ের ব্রডগেজ এবং মিটারগেজ লাইনের বগি মেরামত এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় মেরামত। এটি ১১০.২৯ একর জমির ওপর বিস্তৃত এবং এতে মোট ২৮টি শপ (উপকারখানা) রয়েছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ইত্তেফাক।

0
Updated: 1 month ago