The Foreshadowing of Bangladesh গবেষণা গ্রন্থটির লেখক কে?
A
রেহমান সোবহান
B
আনিসুর রহমান
C
নুরুল ইসলাম
D
হারুন-অর-রশিদ
উত্তরের বিবরণ
'The Foreshadowing of Bangladesh' একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা গ্রন্থ, যার লেখক হারুন-অর-রশিদ। বইটির সম্পূর্ণ নাম হলো The Foreshadowing of Bangladesh: Bengal Muslim League and Muslim Politics, যা মূলত ১৯৪৭ সালের আগে বাংলার মুসলমানদের রাজনৈতিক ইতিহাস ও অবহেলিত ঘটনাবলী তুলে ধরে।
-
হারুন-অর-রশিদ এই গ্রন্থের লেখক এবং একজন সুপরিচিত প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলাম লেখক।
-
তাঁর গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হলো ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, এবং সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন ও গতিধারা।
-
তিনি বিশেষভাবে বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা এবং স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন বিষয়ক গবেষণায় কাজ করেন।
-
বর্তমানে প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণার কাজ করছেন।
-
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তিনি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা-গ্রন্থসমূহ:
-
The Foreshadowing of Bangladesh
-
Inside Bengal Politics 1936-1947: Unpublished Correspondence of Partition Leaders
-
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ
-
বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
-
বাংলাদেশ: রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন (১৭৫৭-২০১৮)
-
আমাদের বাঁচার দাবী: ৬ দফার ৫০ বছর
-
৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ
0
Updated: 8 hours ago
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কি নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
কুষ্টিয়া গ্রেড
B
চুয়াডাঙ্গা গ্রেড
C
ঝিনাইদহ গ্রেড
D
মেহেরপুর গ্রেড
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ও কুষ্টিয়া গ্রেড চামড়া
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের একটি স্থানীয় কালো ছাগল জাত, যা বিশ্বের সেরা ছাগল জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ছাগল মাংস এবং চামড়ার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পরিষ্কার, শুষ্ক ও উঁচু স্থানে থাকতে পছন্দ করে।
-
কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় এই জাতের ছাগলের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি।
-
বিশ্ববাজারে এই ছাগলের চামড়াকে কুষ্টিয়া গ্রেড নামে পরিচিতি রয়েছে।
-
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস অন্যান্য জাতের তুলনায় স্বাদে বেশি ভালো।
-
বড় কোম্পানিগুলো তাদের চামড়াজাত পণ্য তৈরিতে এই ছাগলের চামড়া ব্যবহার করে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্জন:
-
২০০৭ সালে এফএও বিশ্বের ১০০ জাতের ছাগলের মধ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গলকে সেরা জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এই ছাগলের সম্পূর্ণ জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেন।
-
২০২৪ সালে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল জিআই (GI) স্বীকৃতি লাভ করে।
উৎস: বিবিসি বাংলা, ১৮ নভেম্বর ২০২০
0
Updated: 1 month ago
১৯ মে ২০১২ তারিখে কোন বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করেন?
Created: 1 month ago
A
ওয়াসফিয়া নাজনীন
B
মুসা ইব্রাহিম
C
এম.এ. মুহিত
D
নিশাত মজুমদার
নিশাত মজুমদার ও এভারেস্ট জয়
-
নিশাত মজুমদার বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী।
-
তিনি ২০১২ সালের ১৯ মে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন।
-
নিশাতের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অভিযানগুলোর মধ্যে রয়েছে: মেরা, সিংগু চুলি, মাকালু, চেকিগো, শিশাপাংমা, কিয়োজো রি, পিসাং, এলব্রুস, ইমজা সে ও লবুচে পর্বত।
বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ী
-
মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest) প্রথম জয় করেন এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে।
-
বাংলাদেশ ৬৭তম দেশ হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছে।
-
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ছয়জন ব্যক্তি এভারেস্ট জয় করেছেন:
-
মুসা ইব্রাহিম – ২০১০ সালের ২৩ মে
-
এম এ মুহিত – ২০১১ সালের ২১ মে
-
নিশাত মজুমদার – ২০১২ সালের ১৯ মে
-
ওয়াসফিয়া নাজরিন – ২০১২ সালের ২৬ মে
-
বাবর আলী – ২০২৪ সালের ১৯ মে
-
মো. খালেদ হোসেন – ২০১৩ সালের ২০ মে (দুর্ভাগ্যবশত চূড়া থেকে নামার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করায় আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী হিসেবে নিবন্ধিত হননি)
-
উৎস: The Business Standard, ২০ মে ২০২৪, প্রথম আলো, ২৯ আগস্ট ২০২২
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে রোপা আমন ধান কাটা হয়-
Created: 1 month ago
A
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
B
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
C
অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে
D
মাঘ-ফাল্গুন
বাংলাদেশে ধানের মৌসুমভিত্তিক চাষ ও কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আমন ধান
-
আমন ধান দুই প্রকার – রোপা আমন ও বোনা আমন।
-
রোপা আমন হলো সেই ধান, যেখানে আগে আলাদা জমিতে চারা তৈরি করা হয়, পরে তা মূল জমিতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন করা হয়।
-
রোপা আমনের বীজ বপন করা হয় আষাঢ় মাসে, আর মূল জমিতে চারা রোপণ হয় শ্রাবণ থেকে ভাদ্র মাসে।
-
সাধারণত রোপা আমন ধান কাটা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে (ডিসেম্বর – জানুয়ারির শুরুতে)।
আউশ ধান
-
আউশ ধান রোপণ করা হয় মধ্য মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিলের মধ্যে।
-
এটি কাটা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত।
বোরো ধান
-
বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয় মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে।
-
এটি উত্তোলন করা হয় এপ্রিল থেকে মে মাসে।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে বছরে মূলত তিন মৌসুমে ধান চাষ হয় – আউশ, আমন ও বোরো।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস ওয়েবসাইট; কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২১ (বিবিএস)।
0
Updated: 1 month ago