বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ কবে শেষ হবে?
A
২০৩১
B
২০৩৫
C
২০৪১
D
২০৪৫
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। এটি রূপকল্প ২০২১-এর ধারাবাহিকতায় ঘোষণা করা হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৈরি।
এই পরিকল্পনা চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যথা সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি।
-
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল: ২০২১-২০৪১।
-
রূপকল্প ২০৪১ প্রধান লক্ষ্য: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন।
-
রূপকল্প-২০৪১ চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ: সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি।
উদ্দেশ্যসমূহ:
-
জনসংখ্যা: ২০৪১ সালে সম্ভাব্য জনসংখ্যা ২১ কোটি ৩ লাখ।
-
মাথাপিছু আয়: ১২,৫০০ ডলার (২০৪১ সালের মূল্যমানে ১৬,০০০ ডলারের বেশি)।
-
বিদ্যুতের চাহিদা: ২০৪১ সালে ৫১ হাজার মেগাওয়াট।
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধি: ২০৪১ অবধি বার্ষিক ৯.৯০% প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা।
-
বিনিয়োগ/জিডিপি অনুপাত: ৪৬.৮৮ শতাংশে বৃদ্ধি করা।
-
রাজস্বনীতি চ্যালেঞ্জ: কর-জিডিপি অনুপাত জিডিপির ২০% এ উন্নীত করা।
-
দারিদ্র্য নিরসন: ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩% বা এর নিচে আনা।
-
গড় আয়ু বৃদ্ধি: ৮০ বছর।
-
স্বাস্থ্যসেবা: মোট জনসংখ্যার ৭৫% কে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
-
শিক্ষা: ২০৪১ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি।
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ: ১% এরও নিচে নামানো।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল ছিল ২০১০-২০২১।

0
Updated: 8 hours ago
'অগ্নিশ্বর' কি ফসলের উন্নত জাত?
Created: 1 month ago
A
ধান
B
কলা
C
পাট
D
গম
উচ্চ ফলনশীল ফসলের বিভিন্ন জাত
কৃষিকাজে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন বাড়ে। কিছু প্রধান ফসল ও তাদের উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো হলো:
১. কলার উচ্চ ফলনশীল জাত:
সিঙ্গাপুরী, কাবুলী, মেহের সাগর, অমৃত সাগর, সবরি, অনুপম, মালভোগ, মর্তমান, চাঁপা, অগ্নিশ্বর, কবরী।
২. আলুর উচ্চ ফলনশীল জাত:
হীরা, আইলসা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, চমক, মরিনী, সুন্দরী, কুফরী, মুলটা।
৩. গমের উচ্চ ফলনশীল জাত:
কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব।
৪. ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত:
বিপ্লব, হিরা, মালা, ইরাটম, ময়না, চান্দিনা, হরিধান, নারিফা, সুফলা, প্রগতি।
৫. আমের উচ্চ ফলনশীল জাত:
মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ।
তথ্যসূত্র: জাতীয় কৃষি বাতায়নঃ, জাতীয় কৃষি তথ্য সার্ভিস।

0
Updated: 1 month ago
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
অতীশ দিপঙ্কর
B
শিলভদ্র
C
মা হুয়ান
D
মেগাস্থিনিস
হিউয়েন সাঙ ও তাঁর নালন্দা অধ্যয়ন
হিউয়েন সাঙ ছিলেন চীনা এক বিখ্যাত পরিব্রাজক এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ফা-হিয়েনের পরবর্তী তীর্থযাত্রী হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভ্রমণলিপি থেকে সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বাংলার কিছু ইতিহাস জানা যায়। সে সময় উত্তর ভারতে সম্রাট হর্ষবর্ধন, বাংলায় শশাঙ্ক এবং আসামে ভাস্করবর্মণ শাসন করছিলেন।
ভ্রমণ ও অধ্যয়ন:
-
৬২৯ সালে হিউয়েন সাঙ চীন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং উত্তরের বাণিজ্যপথ হয়ে মধ্য এশিয়ার কুশ হয়ে উত্তর ভারতে পৌঁছান।
-
কনৌজনগরে সম্রাট হর্ষবর্ধনের আতিথ্য লাভ করেন।
-
নালন্দা মহাবিহারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে অধ্যাপকদের কাছ থেকে বৌদ্ধ দর্শন, যুক্তি ও ধর্মশাস্ত্র শিখেন।
-
নালন্দার অধ্যক্ষ আচার্য শীলভদ্র ছিলেন তাঁর প্রধান শিক্ষক। শীলভদ্র নিজে সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব ও সাংখ্যদর্শন অধ্যয়ন করেছিলেন।
বাংলা ও শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য:
-
৬৩৮ সালের দিকে হিউয়েন সাঙ বাংলায় পৌঁছান।
-
তাঁর লেখা থেকে শশাঙ্কের ইতিহাস, হর্ষবর্ধনের সঙ্গে শশাঙ্কের বৈরিতা এবং শশাঙ্কের ধর্মনীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
প্রত্যাবর্তন ও পরবর্তী জীবন:
-
৬৪৫ সালে চীনে ফিরে তিনি উষ্ম সংবর্ধনা পান।
-
৬৬৪ সাল পর্যন্ত বৌদ্ধ রচনাগুলোর চীনা অনুবাদে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করেন।
শৈশব ও প্রারম্ভিক শিক্ষা:
-
শৈশব থেকেই ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন জ্ঞানী লেখকদের পাঠে আগ্রহী ছিলেন।
-
লুওইয়াং নগরে ১৩ বছর বয়সে বৌদ্ধভিক্ষু সম্প্রদায়ে প্রবেশ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা কার কর্তৃত্বে প্রযুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
মন্ত্রী
D
সচিব
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা
অনুচ্ছেদ ৫৫: মন্ত্রিসভা
-
বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকবে, যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ও তিনি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী নিয়ে এই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।
-
প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বা তাঁর নির্দেশে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।
-
মন্ত্রিসভা যৌথভাবে জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
-
সরকারের সব নির্বাহী কাজ রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত বলে গণ্য হবে।
-
রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত আদেশ বা চুক্তি কীভাবে স্বাক্ষরিত বা সত্যায়িত হবে, তা রাষ্ট্রপতি নিজেই বিধি দ্বারা নির্ধারণ করবেন। এসব আদেশ বা চুক্তি আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না, যদি তা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত বা প্রমাণীকৃত হয়।
-
রাষ্ট্রপতি সরকারি কাজের বিভাগ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করবেন।
তথ্যসূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago