কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে কোন বাঙালি বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন?
A
কুদরত-ই-খুদা
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
জামাল নজরুল ইসলাম
D
আব্দুল মতিন চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি মহাবিশ্ব ও ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য বিশ্বখ্যাত। তিনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, কসমোলজি এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত জটিল তত্ত্ব নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন।
-
জন্ম: ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯, ঝিনাইদহ।
-
শিক্ষা ও গবেষণা: তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম তত্ত্ব, কসমোলজি এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্বে কাজ করেছেন।
-
প্রকাশনা: ১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে তাঁর বই ’The Ultimate Fate of the Universe’ প্রকাশিত হয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়।
-
বাংলা গবেষণা: বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর সবচেয়ে পরিচিত বাংলা বই ‘কৃষ্ণগহ্বর’, যা ব্ল্যাক হোল সম্পর্কিত।
-
গবেষণার অবদান: আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এছাড়াও সৌরজগতের গ্রহের অবস্থান ও তার পৃথিবীর ওপর প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন।
-
সন্মাননা: ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদক’ ভূষিত হন।
-
মৃত্যু: ১৬ মার্চ ২০১৩, চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 8 hours ago
পাকিস্তান কবে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
Created: 3 weeks ago
A
ফেব্রুয়ারি ২০, ১৯৭৪
B
ফেব্রুয়ারি ২১, ১৯৭৪
C
ফেব্রুয়ারি ২২, ১৯৭৪
D
ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৯৭৪
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে অনেক দেশ স্বীকৃতি দিলেও পাকিস্তান ও কয়েকটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ তখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
অবশেষে ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওআইসির ইসলামিক সম্মেলনের আগে বিষয়টি নতুন রূপ নিল। মুসলিম দেশগুলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে চাপ প্রয়োগ করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে বলেছিল। এর ফলে, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ পাকিস্তান অবশেষে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল। এর পরদিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান সফর করেন।
এরপর, ৫–৯ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে উপমহাদেশে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পাশাপাশি ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী দেশে ফিরে যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও ইরানও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
উৎস: বিভিন্ন পত্রিকা রিপোর্ট ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago
(তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। তখনকার সময়ের সঠিক উত্তর এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা থেকে বর্তমান তথ্য দেখে নিন) বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য কত বরাদ্দ আছে?
Created: 1 month ago
A
১,৭২,০০০ কোটি টাকা
B
১,৭৩,০০০ কোটি টাকা
C
১,৭০,০০০ কোটি টাকা
D
১,৭১,০০০ কোটি টাকা
[এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫
• বাজেটের ক্রম: ৫৩তম (অন্তর্বর্তীকালীনসহ ৫৪তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম)।
• বাজেট উত্থাপন: ১ জুন, ২০২৪।
• বাজেট উত্থাপনকারী: অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
• বাজেটের আকার: ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকা।
• রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫,৪১,০০০ কোটি টাকা।
• বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP): ২,৬৫,০০০ কোটি টাকা।
• বাজেট ঘাটতি: ২,৫৬,০০০ কোটি টাকা।
• পরিচালন ব্যয়: ৫,৬,৯৭১ কোটি টাকা।
• উন্নয়ন ব্যয়: ২,৮১,৪৫০ কোটি টাকা।
সূত্র- ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় বাজেট।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ 'স্টেলা মেরিস' রপ্তানি হয়েছে-
Created: 1 month ago
A
ফিনল্যান্ডে
B
ডেনমার্কে
C
নরওয়েতে
D
সুইডেনে
জাহাজ রপ্তানি: বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮ সালে, যখন ঢাকার আনন্দ শিপইয়ার্ড ডেনমার্কের জন্য ছোট আকারের “স্টেলা মরিস” জাহাজ রপ্তানি করে। প্রতিষ্ঠানটি সেই বছর ডেনমার্কে অত্যাধুনিক কন্টেইনার জাহাজ “স্টেলা মেরিস” রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য জাহাজ রপ্তানির নতুন পথ উন্মুক্ত করে এবং দেশটিকে জাহাজ রপ্তানিকারক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি দেয়।
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্প সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসেবে বিবেচিত। এর পর চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড জার্মানির গ্রোনা শিপিং কোম্পানি থেকে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের জন্য ৮টি জাহাজ নির্মাণের অর্ডার পায়।
বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও উচ্চ গতিসম্পন্ন জাহাজ হলো ‘এনজিয়ান’, যা জার্মান ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জার্মান কমরোসকি মারিটিম জিএমবিএইচ-এর প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উৎস: আনন্দ শিপইয়ার্ড ওয়েবসাইট, বাংলাপিডিয়া, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago