বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র নারী সদস্য কে ছিলেন?
A
সাজেদা চৌধুরী
B
নুরজাহান মোর্শেদ
C
রাফিয়া আক্তার ডলি
D
রাজিয়া বানু
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও সদস্যঃ
→ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে গঠিত হয়েছিল।
→ কমিটিতে মোট ৩৪ জন সদস্য ছিলেন।
→ আওয়ামী লীগ থেকে ছাড়া একমাত্র সদস্য ছিলেন ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
→ কমিটির প্রধান বা সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
→ সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু, যিনি নারী নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
→ ১৯৭২ সালের ১১ অক্টোবর কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন।
→ চূড়ান্ত খসড়া ড. কামাল হোসেন, কমিটির সভাপতি এবং দেশের তখনকার আইনমন্ত্রী, ১২ অক্টোবর গণপরিষদে পেশ করেন।
→ গণপরিষদ ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর খসড়াটি গ্রহণ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।
এই প্রক্রিয়ায় দেখা যায় যে বেগম রাজিয়া বানুর অংশগ্রহণ নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

0
Updated: 8 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের নাম কি?
Created: 2 months ago
A
বাংলাদেশের সংবিধান
B
বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধিমালা
C
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
D
প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সংবিধান
বাংলাদেশের সংবিধান
⇒ বাংলাদেশের সংবিধানের নাম হলো "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
সংবিধান হলো একটি দেশের মূল আইন, যেটি দেশের শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব, এবং সরকারের কাঠামো নির্ধারণ করে।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ দেশের জন্য একটি সংবিধান তৈরির কাজ শুরু হয়।
-
এই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ৪০৩ সদস্য নিয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয় এবং এদের মধ্য থেকে ৩৪ জনের একটি কমিটি গঠন করে সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর এই খসড়া গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয় এবং পঠন শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।
-
তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
⇒ বাংলাদেশের প্রথম হস্তলিখিত সংবিধান ছিল মোট ১০৯ পাতার, যার মধ্যে মূল লেখা ছিল ৯৩ পৃষ্ঠায়।
-
এটি হাতে লিখেছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ এবং অঙ্গসজ্জা করেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ছিল "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য এই মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেছিলেন।
⇒ সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো:
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩টি
-
ভাগ: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
প্রস্তাবনা: ১টি
-
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: ৪টি — জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা
-
এখন পর্যন্ত সংবিধান ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের মেয়াদকাল-
Created: 1 month ago
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৬ বছর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী (সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ ১১৮) দেশটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
-
কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়।
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চারজন নির্বাচন কমিশনার থাকেন।
-
একাধিক কমিশনার থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের মেয়াদ ৫ বছর, যা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে গণ্য হবে।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে রদ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১২তম
B
১৩তম
C
১৪তম
D
১৫তম
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংশোধনী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (১৩তম সংশোধনী) ২৭ মার্চ ১৯৯৬-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
-
দেশের প্রথম সংবিধানসম্মত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান নিয়োগ পান।
-
প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন।
-
তিনি ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদের নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করেন।
-
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্ক ফোরাম, কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান।
-
এর ফলে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
মনে রাখার বিষয়:
-
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মোট ৪ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে: ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮।
পঞ্চদশ সংশোধনী (১৫তম সংশোধনী) ৩০ জুন ২০১১:
-
সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
-
রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়, তবে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম বহাল রাখা হয়।
-
জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৪৫-এর পরিবর্তে ৫০ করা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago