অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের কোন অংশের কর্মকর্তা?
A
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
B
বিচার বিভাগ
C
নির্বাহী বিভাগ
D
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ
উত্তরের বিবরণ
অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, যিনি সরকারের আইন সম্পর্কিত কাজের প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সরকারকে আইনগত পরামর্শ দেন এবং দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে সরকারের পক্ষে বিচার পরিচালনা করেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের সরকারের chief legal advisor।
-
তিনি Bangladesh Supreme Court-এ সরকারের প্রধান আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ সরকারের principal legal advisor এবং সরকারকে আইনগত দিক থেকে সহায়তা প্রদান করেন।
-
তার পদাধিকার অনুযায়ী তিনি Bangladesh Bar Council-এর সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেলকে সহায়তা করেন কিছু Additional Attorney Generals, Deputy Attorney Generals, এবং Assistant Attorney Generals।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল একটি সাংবিধানিক পদ নয়, বরং একটি statutory position।
-
সংবিধানের ধারা ৬৪(১) অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি যেকোনো ব্যক্তি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য, তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান,
-
তিনি ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল,
-
এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত।

0
Updated: 8 hours ago
'রেহেনা মরিয়ম নূর' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন-
Created: 3 weeks ago
A
জেরেমি চুয়া
B
আবদুল্লাহ মােহাম্মদ সাদ
C
রাজীব মহাজন
D
আজমেরী হক বাঁধন
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন প্রতিভাবান তরুণ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
এটি ২০২১ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আন সার্তে রিগা’ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে, যা দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
চলচ্চিত্রটি মূলত দৃঢ় চরিত্র ও কঠিন সিদ্ধান্তের গল্প বলেছে। জীবনে মানুষকে নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি তাকে কঠিন মূল্য দিতে হয় এবং তা জানার পরও অবিচল থাকে,
তখন তাকে দৃঢ় চরিত্রের মানুষ বলা যায়। ঠিক এমনই একজন চরিত্রের গল্প ফুটে উঠেছে ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এ।

0
Updated: 3 weeks ago
মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
B
তাজউদ্দীন আহমদ
C
এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান
D
খন্দকার মোশতাক আহমদ
মুজিবনগর সরকার (১৯৭১)
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল।
-
পরবর্তীতে এই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে এবং ইতিহাসে এটি মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত হয়।
সরকারের প্রধান পদাধিকারীরা
-
রাষ্ট্রপতি – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানে কারাবন্দী থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই দায়িত্ব নির্ধারিত হয়)।
-
উপ-রাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি – সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
-
প্রধানমন্ত্রী – তাজউদ্দিন আহমেদ।
-
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী – এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান।
-
অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী – এম. মনসুর আলী।
-
পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী – খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনা করতে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণী

0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তান কবে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
Created: 3 weeks ago
A
ফেব্রুয়ারি ২০, ১৯৭৪
B
ফেব্রুয়ারি ২১, ১৯৭৪
C
ফেব্রুয়ারি ২২, ১৯৭৪
D
ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৯৭৪
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে অনেক দেশ স্বীকৃতি দিলেও পাকিস্তান ও কয়েকটি ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ তখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
অবশেষে ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওআইসির ইসলামিক সম্মেলনের আগে বিষয়টি নতুন রূপ নিল। মুসলিম দেশগুলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে চাপ প্রয়োগ করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে বলেছিল। এর ফলে, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ পাকিস্তান অবশেষে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল। এর পরদিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান সফর করেন।
এরপর, ৫–৯ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে উপমহাদেশে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পাশাপাশি ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী দেশে ফিরে যায়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও ইরানও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
উৎস: বিভিন্ন পত্রিকা রিপোর্ট ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago