মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন কোন জাতীসত্ত্বায় রয়েছে?
A
গারো
B
সাওতাল
C
মনিপুরি
D
চাকমা
উত্তরের বিবরণ
গারো সমাজ মূলত মাতৃপ্রধান পরিবার বা মাটৃতান্ত্রিক (matriarchal) ব্যবস্থা অনুসরণ করে, যেখানে পরিবার ও সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে মায়ের হাতে থাকে এবং সন্তানরা মায়ের পদবি অনুসরণ করে। গারো জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
-
গারো হলো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশে তাদের প্রধান বসবাস এলাকা হলো টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট এবং গাজীপুর জেলা।
-
বাংলাদেশের পাশাপাশি, ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
নৃবিজ্ঞানীদের মতে, গারোরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর তিব্বতীবর্মণ শাখার বোড়ো উপশাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
গারোদের আদি বাসভূমি ছিল বর্তমান চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিন-কিয়াং প্রদেশ, যেখান থেকে তারা পরবর্তীতে দেশত্যাগ করে তিব্বতে দীর্ঘদিন বসবাস করেছিল।
-
এরপর তারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চল এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় বসতি স্থাপন করে।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রচলিত; মা-ই পরিবারের প্রধান ও সম্পত্তির অধিকারী।
-
পরিবারের সন্তানরা মায়ের পদবি অনুসরণ করে, অর্থাৎ পরিবারের নাম ও উত্তরাধিকার মা থেকে সন্তানদের কাছে যায়।

0
Updated: 8 hours ago
গারোদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের নাম কী?
Created: 2 weeks ago
A
বৈসাবি
B
ওয়ানগালা
C
রথযাত্রা
D
সাংগ্রাই
গারো জনগোষ্ঠী মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। তারা নিজেদের পরিচয়ে বৈচিত্র্য বহন করে এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক প্রথা ও বিশেষ উৎসব গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নববর্ষ ও ধর্মীয় উৎসবও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
-
গারো জনগোষ্ঠী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় গারোদের বসবাস রয়েছে।
-
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে উল্লেখ করে।
-
গারো ভাষায় ‘মান্দি’ শব্দের অর্থ হলো ‘মানুষ’।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
অন্যদিকে,
-
বৈসাবি হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি প্রধান আদিবাসী সম্প্রদায়—ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাদের নববর্ষের উৎসবের সম্মিলিত নাম।
-
রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া হলো আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব।
-
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশী মারমা ও রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারোদের আদি ধর্মের নাম কী?
Created: 2 weeks ago
A
আচিক
B
সাংসারেক
C
ওয়ানগালা
D
কোনটি নয়
গারো উপজাতি
-
মূল নিবাস: ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ি এলাকা।
-
অতিরিক্ত বসতি: শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায়।
-
ধর্ম: আদি ধর্ম সাংসারেক, বর্তমানে অধিকাংশ খ্রিস্টান।
-
ভাষা: নিজস্ব ভাষা আচিক বা গারো ভাষা।
-
সমাজব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক, পরিবারের প্রধান একজন নারী।
-
পোশাক: নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘দকবান্দা ও দকসারি’, পুরুষরা শার্ট, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি পরিধান করে।
-
ঐতিহ্যবাহী উৎসব: ওয়ানগালা।

0
Updated: 2 weeks ago
বর্তমান সময়ে সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে?
Created: 2 weeks ago
A
খিয়াং
B
রাখাইন
C
চাকমা
D
গারো
গারো হলো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী, যারা মূলত মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় ও বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় আবাসিত।
-
অবস্থান: বাংলাদেশে টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর জেলায় গারো সম্প্রদায় বসবাস করে।
-
ভাষা: গারোরা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়: অনেক গারো নিজেদের মান্দি বলে পরিচয় দেন; গারো ভাষায় 'মান্দি' শব্দের অর্থ হলো মানুষ।
-
পরিবার ব্যবস্থা: গারোদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
ধর্ম ও উৎসব: তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক, এবং প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম ওয়ানগালা।

0
Updated: 2 weeks ago