কোন মুঘল সম্রাট বাংলার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'?
A
বাবর
B
হুমায়ুন
C
আকবর
D
জাহাঙ্গীর
উত্তরের বিবরণ
• সম্রাট হুমায়ুন — বাংলার নতুন নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'।
• সম্রাট হুমায়ুন (১৫৩০-১৫৫৬):
- মুঘল বংশের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবরের জ্যেষ্ঠপুত্র হুমায়ুন।
- বাবরের শাসনামলে হুমায়ুন বাদাখশান, হিসার ফিরোজা এবং সম্বলের শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- পিতা বাবরের মৃত্যুর পর ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর মাত্র ২৩ বছর বয়সে পিতৃ মনোনয়ন অনুসারে হুমায়ুন ‘নাসির উদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন' নাম ধারণ করে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
- হুমায়ুনের শাসনামলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়।
- সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নতুন নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'।
উল্লেখ্য,
- ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট জহিরউদ্দিন বাবর কর্তৃক ভারতবর্ষে মোগল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সম্রাট আকবর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
- সম্রাট আকবর এর প্রথম পুত্র জাহাঙ্গীর তাঁর পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে নূরুদ্দীন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর উপাধি গ্রহণ করে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর সময়ে ইসলাম খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামে এর নামকরণ করেন ‘জাহাঙ্গীরনগর’।
উৎস: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
সাধারণ পরিষদের নিয়মিত অধিবেশন শুরু হয়-
Created: 5 months ago
A
সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার
B
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার
C
সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় বুধবার
D
সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ মঙ্গলবার
জাতিসংঘ:
• অধিবেশনের সময়:
- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন বসে — সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার।
- সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশন ১৯৪৬ সালে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার হলে বসেছিল।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন বসে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার।
- ২০২২ সাল পর্যন্ত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় মঙ্গলবার ছিলো; কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে দ্বিতীয় মঙ্গলবার অধিবেশন বসে।
প্রশ্নটি তৎকালীন এবং রিয়েল জব পরীক্ষার বিধায় অপশন পরিবর্তন করা হয় নি।
• প্রতিনিধির সংখ্যা:
-অধিবেশনে প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি পাঠাতে পারে, তবে ভোটাধিকার প্রত্যেকেরই একটি করে।
- প্রতি সদস্যের একটি ভোটাধিকার থাকে।
• সভাপতির মেয়াদ:
- সাধারণ পরিষদের সভাপতির মেয়াদ ১ বছর।
--------------------
সাধারণ পরিষদ/United Nations General Assembly:
▪ সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের আলোচনা/বিতর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
- এটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মূখপাত্র, নীতি নির্ধারণী অঙ্গ হিসাবে কাজ করে।
▪ জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশ এর সদস্য। জাতিসংঘের সকল সদস্যই মূলত সাধারণ পরিষদের সদস্য। জাতিসংঘ সনদের চতুর্থ অধ্যায় (৯ - ২২ নং অনুচ্ছেদ) এ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
উৎস: জাতিসংঘ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট,এবং ব্রিটানিকা।
0
Updated: 5 months ago
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ চালু করেছিলেন-
Created: 5 months ago
A
লক্ষ্মণ সেন
B
ইলিয়াস শাহ
C
আকবর
D
বিজয় সেন
⊕ বাংলা নববর্ষ:
- পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন।
- এ দিনটি বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।
- এটি বাঙালি জাতির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব।
- এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা - ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে।
- তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতু নির্ভর।
- এই কৃষি কাজের সুবিধার্থেই মুঘল সম্রাট আকবর — ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
- হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়।
- নতুন সনটি প্রথমে 'ফসলি সন' নামে পরিচিত ছিল যা পরে 'বঙ্গাব্দ' নামে পরিচিত হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোন ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়?
Created: 5 months ago
A
শামীম সিকদার
B
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ
C
হামিদুজ্জামান খান
D
আবদুস সুলতান
• ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের হামিদুজ্জামান খান ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
---------------------
• হামিদুজ্জামান খান:
- একজন বাংলাদেশী ভাস্কর।
- তিনি ১৯৮১ সালে বঙ্গভবনে 'পাখি পরিবার',
- ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমিতে 'মুক্তিযোদ্ধা',
- ১৯৮৮ সালে আশুগঞ্জ জিয়া সারকারখানায় 'জাগ্রত বাংলা'এবং
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে 'স্টেপস' (সিঁড়ি) নির্মাণ করেন- হামিদুজ্জামান খান।
- "His piece titled ‘Steps’ has found a permanent place in the Seoul Olympic Park in Korea."
• অলিম্পিকে বাংলাদেশ:
- ১৯৮০ সালেই মস্কো অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
- কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমস বয়কট করে।
- ১৯৮৪ সালে লস্ অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসে মার্চ পাস্টে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাঠে নামে।
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা অংশ নেন।
- এরপর নিয়মিত অলিম্পিক গেমসে লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে।
- এখন পর্যন্ত কোনো আসরেই পদক জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
উৎস: Bengal Foundation, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯।
0
Updated: 5 months ago