A
অগ্নিসাক্ষী
B
চিলেকোঠার সেপাই
C
আরেক ফাল্গুন
D
অনেক সূর্যের আশা
উত্তরের বিবরণ
‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস
বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক জহির রায়হান রচিত একটি স্মরণীয় উপন্যাস হলো ‘আরেক ফাল্গুন’। এই উপন্যাসটি মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা, যেখানে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়, বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি এবং সেসময়ের রাজনৈতিক আবহ উপজীব্য হিসেবে উঠে এসেছে। এটি ১৯৬৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
এই রচনায় লেখক ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ, প্রেম-ভালোবাসা, সংগ্রাম ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসটির এক উল্লেখযোগ্য সংলাপ হলো:
"আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো" — যা ভবিষ্যতের আন্দোলনে জনগণের দৃঢ় সংকল্পকে নির্দেশ করে।
উপন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ
-
মুমিন
-
আসাদ
-
রসুল
-
সালমা
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য ও চলচ্চিত্র
-
‘চিলেকোঠার সেপাই’: আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বিখ্যাত রাজনৈতিক উপন্যাস, যা ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে লেখা।
-
‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত।
-
‘অনেক সূর্যের আশা’: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উপমহাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে লেখা সরদার জয়েনউদ্দিন-এর একটি বিশিষ্ট উপন্যাস।
জহির রায়হান: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
-
জন্ম: ১৯৩৫, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
পূর্ণ নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
পেশা: সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।
প্রাপ্ত সম্মাননা
-
উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’-র জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ
-
সোনার কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
জীবন থেকে নেয়া
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
জহির রায়হান
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
মানিক বন্দোপাধ্যায়
D
সৈয়দ শামসুল হক
জহির রায়হান রচিত ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা। বিশেষত ১৯৫৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের অভিজ্ঞতা ও তার প্রভাব এই উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
প্রকাশকাল: ১৯৬৮
-
বিষয়বস্তু: ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ১৯৫২ এবং ১৯৫৫ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের ধারা, ছাত্র-জনতার সক্রিয় অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক চেতনা, প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদি উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
একটি উল্লেখযোগ্য সংলাপ: “আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো।”
জহির রায়হান
-
জন্ম: ১৯৩৫, মজিপুর গ্রাম, ফেনী জেলা
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
-
পেশা: লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা
-
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।
জহির রায়হানের উপন্যাসসমূহ
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
Stop Genocide (প্রামাণ্যচিত্র)-
Let There Be Light (ইংরেজি ভাষায়)
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
সঙ্গম
-
জীবন থেকে নেয়া
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
'উদাসীন পথিকের মনের কথা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 1 week ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
আত্মজৈবনিক উপন্যাস
D
গীতি কবিতার সংকলন
উদাসীন পথিকের মনের কথা
• ‘উদাসীন পথিক' এই ছদ্মনামে মীর মশাররফ হোসেন ব্যক্তিগত জীবনের পটভূমিতে স্বীয় পারিবারিক ইতিহাস ও সমসাময়িক বাস্তব ঘটনার চিত্র তুলে ধরেছেন এ গ্রন্থে।
• “উদাসীন পথিকের মনের কথা” (১৮৯০) কে প্রকৃতপক্ষে উপন্যাস বা আত্মজীবনীমূলক রচনা এর কোনোটাই বলা যায় না। বরং বলতে হয়, গ্রন্থটি লেখকের আত্মজীবননির্ভর কতিপয় বাস্তব ও কাল্পনিক ঘটনার মিশেল উপন্যাসসুলভ সাহিত্যিক উপস্থাপনা।
• এতে লেখকের পারিবারিক ইতিবৃত্ত বর্ণনা এবং নিজের মাতা-পিতাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধার সঙ্গে চিত্রিত হতে দেখা যায়। উদাসীন পথিকের মনের কথায় হিন্দু-মুসলমানের যে মিলন-কামনা আছে, তার গভীর তাৎপর্য স্বীকার করতে হয়।
---------------------------
• মীর মশাররফ হোসেন:
- মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
- ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় তাঁর জন্ম।
- মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
- তিনি আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
- মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
তাঁর রচিত সাহিত্যকর্ম:
• নাটক:
- বসন্তকুমারী,
- জমীদার দর্পণ,
- বেহুলা গীতাভিনয়,
- টালা অভিনয়।
• উপন্যাস:
- বিষাদ-সিন্ধু।
• আত্মজীবনীমূলক রচনা:
- উদাসীন পথিকের মনের কথা,
- গাজী মিয়াঁর বস্তানী,
- আমার জীবনী,
- কুলসুম জীবনী ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
'সূর্য দীঘল বাড়ি' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
Created: 1 week ago
A
শেখ নিয়ামত শাকের
B
জহির রায়হান
C
সুভাষ দত্ত
D
খান আতা
[সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে অপশন ‘ক’ গ্রহণ করা হয়েছে।]
• ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক হলেন শেখ নিয়ামত আলী এবং মসিহউদ্দিন শাকের।
- আবু ইসহাক রচিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি ১৯৭৯ সালে নির্মিত হয়।
- এটি ছিলো সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র।
---------------------------
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
- মোরল গদু ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং প্রথম আলো রিপোর্ট।

0
Updated: 1 week ago