নিচের কোনটি মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান?
A
আইনের শাসন
B
সহমর্মিতা
C
শ্রমের মর্যাদা
D
বর্ণিত সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান
১. নীতি ও ঔচিত্যবোধ – সঠিক ও উপযুক্ত আচরণের প্রতি মনোযোগ।
২. সামাজিক ন্যায়বিচার – সমাজে সমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা।
৩. শৃঙ্খলাবোধ – নিজেক ও সমাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা।
৪. সহনশীলতা – ভিন্নমত বা প্রতিকূল পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার ক্ষমতা।
৫. সহমর্মিতা – অন্যের কষ্ট ও পরিস্থিতি বোঝার মনোভাব।
৬. শ্রমের মর্যাদা – পরিশ্রমের সম্মান ও গুরুত্ব বোঝা।
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা – কার্যকলাপের স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।
৮. আইনের শাসন – আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুসরণ।
৯. নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ – নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন।
১০. সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা – জনগণের কল্যাণে নীতি প্রণয়ন ও প্রয়োগ।
১১. সরকার ও রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা – ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা।

0
Updated: 16 hours ago
সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে ‘দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো ও অংশগ্রহণ’—এই নীতি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করেছিল?
Created: 1 week ago
A
জাতিসংঘ
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংকের মতে, “Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
-
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথমবার সুশাসনের ধারণা প্রদান করে ১৯৮৯ সালে।
অন্যান্য তথ্য:
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
চারটি স্তম্ভ হলো: দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, অংশগ্রহণ।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে 'নব-নৈতিকতা'র প্রবর্তক হলেন -
Created: 4 weeks ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আবদুল মতীন
আরজ আলী মাতুব্বর
-
আরজ আলী মাতুব্বরকে বাংলাদেশের ‘নব-নৈতিকতা’ বা নতুন নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন একজন স্বশিক্ষিত চিন্তাবিদ ও যুক্তিবাদী দার্শনিক, যিনি আনুষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকলেও গভীর দার্শনিক চিন্তাভাবনা করতেন।
-
মাতুব্বর বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, এবং মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জড় জগত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজস্ব দার্শনিক মতবাদ গড়ে তোলেন।
-
তিনি সবরকম অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোবল ও যুক্তি নিয়ে অবস্থান নেন।
-
তার চিন্তাভাবনা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের নামে প্রচলিত অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল।
-
মাতুব্বর সত্য, ন্যায় এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন নৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন।
-
তিনি দার্শনিক ধারার মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বের কথাও বলেছেন।
-
বাংলাদেশের আরেকজন দার্শনিক জি.সি. দেব বস্তুবাদ ও অধ্যাত্মবাদের মিশ্রণে সমন্বয়ী দর্শনের প্রচার করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩)
-
সৃষ্টির রহস্য (১৯৭৭)
-
অনুমান (১৯৮৩)
-
মুক্তমন (১৯৮৮)
-
এছাড়াও কিছু অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি সম্প্রতি আরজ আলী মাতুববর রচনাবলি নামে প্রকাশিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 weeks ago
প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায় - এগুলোকে সদ্গুণ হিসেবে উল্লেখ করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
এরিস্টটল
B
সক্রেটিস
C
প্লেটো
D
জন লক
সদ্গুণ
-
ইংরেজিতে যাকে Virtue বলা হয়, বাংলায় তাকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
মানুষের চরিত্রের যে সব লক্ষণগুলো তার চরিত্রের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, তাদেরকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন:
-
প্রজ্ঞা
-
সাহস
-
আত্মনিয়ন্ত্রণ
-
ন্যায়
-
-
এদের মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ অত্যাবশ্যকীয় সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
অ্যারিস্টটলের মতে, এই সদ্গুণগুলো অভ্যাসের মাধ্যমে অর্জিত হয় এবং কম-বেশি স্থায়ী মেজাজের রূপ নেয়।
-
নৈতিক সদ্গুণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো সময় এবং সমাজভেদে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ভিন্ন হতে পারে।
-
অ্যারিস্টটল তাঁর বিখ্যাত পুস্তক নিকোমেকীয়ান এথিক্স এ সদ্গুণ উদ্ভবের কারণ হিসেবে জীবনে মধ্যপথ অবলম্বনের ওপর জোর দেন।

0
Updated: 2 weeks ago