বিশ্বব্যাংক সুশাসনের কয়টি স্তম্ভের কথা বলেছেন?
A
৫টি
B
৪টি
C
৮টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
-
সুশাসনের ধারণা:
-
‘সুশাসন’ (Good Governance) ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
-
এতে উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন চিহ্নিত করা হয় এবং বলা হয়, সুশাসনের অভাবেই অনুন্নয়ন ঘটেছে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা: "সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।"
-
-
বিশ্বব্যাংকের ঘোষিত চারটি সুশাসনের স্তম্ভ:
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

0
Updated: 16 hours ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
Created: 6 days ago
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 6 days ago
নৈতিক মূল্যবোধের প্রাথমিক উৎস -
Created: 6 days ago
A
সমাজের সংস্কৃতি
B
পারিবারিক শিক্ষা
C
রাষ্ট্রীয় আইন
D
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
নৈতিক মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেসব মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিকভাবে তৃপ্তি অনুভব করে।
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
নীতিবোধ ও উচিত-অনুচিত বোধ: নৈতিক মূল্যবোধের মূল উৎস।
-
পারিবারিক শিক্ষা: শিশু প্রথম নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা পরিবার থেকে গ্রহণ করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা: শিক্ষালয় ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক উৎসও নৈতিক মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আচরণগত উদাহরণ: অন্যায় থেকে বিরত থাকা, সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা, দুঃস্থকে সহায়তা করা ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য:
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড, যা পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিখে গড়ে ওঠে।

0
Updated: 6 days ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে কোনটি?
Created: 6 days ago
A
ন্যায় ও অন্যায়
B
ভালো ও মন্দ
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো কাজ বা আচরণের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, নৈতিক-অনৈতিক দিক বিচার করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও ব্যাখ্যা:
-
মূল্যবোধ একটি মানবিক গুণাবলী, যা মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল।
-
এটি সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা এবং পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিক-অনৈতিক বিচার করতে সহায়তা করে।
-
এটি আপেক্ষিক এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
-
মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উপাদানসমূহ:
-
নীতিবোধ
-
শৃঙ্খলা
-
মানবিকতা
-
সহমর্মিতা
-
সৌজন্যবোধ
-
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
-

0
Updated: 6 days ago