রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত-
A
গণমাধ্যম
B
সেনাবাহিনী
C
বিচার বিভাগ
D
শিক্ষক সমাজ
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন ও গণমাধ্যম
-
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
-
বর্তমান সমাজে সুশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
-
গণমাধ্যম একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
-
শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
-
গণতান্ত্রিক সমাজে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা তা প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 16 hours ago
বিশ্বব্যাংক কত সালে সর্বপ্রথম Good Governance প্রত্যয়টি ব্যবহার করে?
Created: 6 days ago
A
১৯৮৯ সালে
B
১৯৯৭ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮৬ সালে
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
-
'সুশাসন' ধারণাটি প্রথম বিশ্বব্যাংক উদ্ভাবন করে।
-
১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
সমীক্ষায় উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন চিহ্নিত করা হয় এবং বলা হয়, সুশাসনের অভাবেই অনুন্নয়ন ঘটে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP অনুযায়ী, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা:
"সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।"
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক চারটি প্রধান স্তম্ভ ঘোষণা করে, যা সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসনের ভিত্তি:
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

0
Updated: 6 days ago
United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের মূল উপাদান কয়টি?
Created: 6 days ago
A
৪টি
B
৫টি
C
৬টি
D
৮টি
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা United Nations Human Rights Council (UNHRC)-এর মতে, সুশাসনের জন্য কিছু মৌলিক উপাদান অপরিহার্য। এ উপাদানগুলো রাষ্ট্র ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও জনগণমুখী শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সুশাসনের মূল উপাদান (UNHRC অনুযায়ী):
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-

0
Updated: 6 days ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 6 days ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 6 days ago