জাতিসংঘ সুশাসনের কয়টি উপাদানের কথা বলেছে?
A
৬টি
B
৮টি
C
৫টি
D
৭টি
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘের সুশাসনের ৮টি উপাদান
জাতিসংঘ সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ৮টি উপাদানের কথা উল্লেখ করেছে:
-
অংশগ্রহণ (Participation)
-
মতামতের উপর নির্ভরশীলতা (Consensus Oriented / Responsiveness)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility / Answerability)
-
কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা (Effectiveness & Efficiency)
-
ন্যাযতা (Equity & Inclusiveness)
-
আইনের শাসন (Rule of Law)
সংস্থাভিত্তিক সুশাসনের উপাদান সংখ্যা:
সংস্থা/নীতিবিদ | উপাদানের সংখ্যা |
---|---|
UNDP | 9 |
জাতিসংঘ | 8 |
বিশ্বব্যাংক | 6 |
UNHCR | 5 |
AFDB | 5 |
ADB | 4 |
IDA | 4 |
কৌটিল্য | 4 |

0
Updated: 16 hours ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
Created: 6 days ago
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 6 days ago
সুশাসনের অভাবে নিম্নের কোনটি পরিলক্ষিত হয়?
Created: 6 days ago
A
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত
B
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি
C
দুর্নীতি বৃদ্ধি
D
বর্ণিত সবগুলো
সুশাসন একটি দেশের কার্যকর ও স্থায়ী পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। সুশাসনের অভাব দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে, যা সমাজ, অর্থনীতি ও প্রশাসনের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
-
দুর্নীতি বৃদ্ধি:
-
সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকরা অবৈধ সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পায়।
-
-
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া:
-
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
-
অদক্ষ নীতি, দুর্নীতি এবং সম্পদের অপব্যবহারের কারণে সম্পদের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না।
-
-
সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি:
-
জনগণের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
-
জনগণ যখন অনুভব করে যে তাদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে না এবং সরকার তাদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ, তখন সামাজিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
-

0
Updated: 6 days ago
সুশাসনের মানদণ্ড কোনটি?
Created: 6 days ago
A
জবাবদিহিতা
B
জনস্বার্থ
C
উন্নয়ন
D
জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
সুশাসন হলো একটি দেশের শাসনব্যবস্থার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতার প্রতীক। এটি সমাজে ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে জনগণ তার অধিকার ও সুযোগসমূহ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
Good Governance মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ এবং কার্যকরী শাসন, যা জনগণের কল্যাণ ও দেশের স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা সুশাসনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গুরুত্ব প্রমাণ করে।
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক অর্থাৎ এটি একাধিক দিক থেকে পর্যালোচনা করা যায়, যেমন রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক।
-
সুশাসন ধারণাটি আপেক্ষিক, কারণ এটি বিভিন্ন দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।
-
এই ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক, যা প্রথমবার ১৯৯০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশে কার্যকরী শাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
-
সুশাসনের মূল মানদণ্ড হলো জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি, অর্থাৎ জনগণ সরকারের কার্যক্রম এবং নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
সুশাসন শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ বা প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্ন নয়; এটি নাগরিক অধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

0
Updated: 6 days ago