নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান হলো-
A
বিবেকের দংশন
B
সততা ও নিষ্ঠা
C
কল্যাণ সাধন
D
বিবেক ও মূল্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
নৈতিকতা
-
সংজ্ঞা: নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে বিচার করার মানদণ্ড।
-
রক্ষাকবচ: নৈতিকতার রক্ষাকবচ হলো বিবেকের দংশন।
-
মূল লক্ষ্য: মানুষের কল্যাণ সাধন।
-
নিয়ন্ত্রক: নৈতিকতার নিয়ন্ত্রক হলো বিবেক ও মূল্যবোধ।
-
শিক্ষা: নৈতিক শিক্ষা প্রাথমিকভাবে পরিবারে শুরু হয়।
-
প্রধান উপাদান: সততা ও নিষ্ঠা।
উল্লেখ্য:
-
নৈতিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Morality।
-
নীতিবিদ ম্যুর বলেন: “শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা।”

0
Updated: 16 hours ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত-
Created: 16 hours ago
A
গণমাধ্যম
B
সেনাবাহিনী
C
বিচার বিভাগ
D
শিক্ষক সমাজ
সুশাসন ও গণমাধ্যম
-
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
-
বর্তমান সমাজে সুশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
-
গণমাধ্যম একমাত্র ব্যবস্থা যা সুশাসনের নিয়ামকগুলোকে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে সুসংহত করতে পারে।
-
শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
-
গণতান্ত্রিক সমাজে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা তা প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 16 hours ago
কোন মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যাপক ব্যর্থতার ফসল হিসেবে সুশাসনের ধারণার উদ্ভব ঘটে?
Created: 6 days ago
A
আফ্রিকা মহাদেশে
B
ইউরোপ মহাদেশে
C
এশিয়া মহাদেশে
D
উত্তর আমেরিকা মহাদেশে
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা এবং এটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত। সুশাসন হলো ন্যায়নীতি অনুসারে দেশ বা রাষ্ট্রকে উত্তমভাবে, সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শাসন করা। অন্যভাবে বলা যায়, এটি রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও শাসিত জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝায়। সুশাসন অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা যা আইনের শাসনকে নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব: মূলত ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার পর ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্যই লাভজনক হওয়ায় এটিকে একটি ‘Win-Win Game’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

0
Updated: 6 days ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 6 days ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 6 days ago